এশিয়া কাপ বাতিল হয়নি : পিসিবি

প্রকাশ | ১০ জুলাই ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
এবারের এশিয়া কাপ নিয়ে যেন একপ্রকার সার্কাসে মেতেছে ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড। বুধবার ভারতীয় ক্রিকেটের প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলি জানিয়েছেন, বাতিল হয়ে গেছে এবারের এশিয়া কাপ। কিন্তু পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আবার এটিকে উড়িয়ে দিয়েছেন পিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান সামিউল হাসান। আসন্ন এশিয়া কাপের আয়োজক দেশ পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এখনো এশিয়া কাপ বাতিল করা হয়নি। এমনকি গাঙ্গুলির মন্তব্যকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুযায়ী, সামিউল হাসান সাফ জানিয়েছেন, এশিয়া কাপ আয়োজনের ব্যাপারে ভারতীয় বোর্ডের চেয়ারম্যান গাঙ্গুলির কথার কোনো মূল্য নেই। কেননা এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়ভার পুরোপুরি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি)। সামিউল হাসান বলেছেন, 'এশিয়া কাপের ব্যাপারে সৌরভ গাঙ্গুলি যা বলেছে, তার কোনো প্রভাব নেই। সে যদি প্রতি সপ্তাহেও এ বিষয়ে কথা বলে থাকে, তবু এর কোনো মূল্য থাকবে না।' তিনি আরও যোগ করেন, 'এশিয়া কাপের বিষয়ে সব সিদ্ধান্ত নেবে এসিসি। বাতিলের ঘোষণা দিতে পারেন শুধু এসিসি চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান পাপন। আমরা যতটুকু জানি, এসিসির পরবর্তী সভার তারিখ এখনো ঠিক হয়নি। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।' এসিসি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রধান নাজমুল হাসান পাপন বর্তমানে ইংল্যান্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। এশিয়া কাপের ব্যাপারে একমাত্র তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন। এ ব্যাপারে দেশের এক গণমাধ্যমকে বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস বলেন, 'আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো এটি নিয়ে কিছু শুনিনি। বিসিবি সভাপতি এখন লন্ডনে আছেন। সেখানে বৃহস্পতিবার তার অপারেশন হওয়ার কথা। এ মুহূর্তে তার সঙ্গে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। তবে টুর্নামেন্টটা এ বছর যথাসময়ে আয়োজন নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে এটা আমরাও শুনেছি।' এদিকে পিসিবি মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যানের কথার ঠিক উল্টোটাই বলেছেন পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি। তিনি আবার গাঙ্গুলির সুরে সুর মিলিয়ে বলেছেন, সত্যিই বাতিল হয়ে গেছে এবারের এশিয়া কাপ। এটি আগামী বছর হতে পারে বলে জানিয়েছেন পিসিবি বিগ বস। ভারতের আরেক সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউকে এহসান মানি বলেছেন, 'এসিসি চেষ্টা করছে আগামী বছর এশিয়া কাপ আয়োজন করতে। চলতি বছর এটি করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হবে। আমরা এ বছর এটি শ্রীলংকায় আয়োজনের কথা ভেবেছিলাম। কারণ সেখানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ তুলনামূলক কম। এখানে কোনো রাজনীতির প্রভাব ছিল না। ক্রিকেটকে নিরাপদ রাখতেই এমনটা ভাবা হয়েছিল।'