ফুটবলারদের জন্য বাফুফের মেডিক্যাল গাইডলাইন প্রস্তুত

প্রকাশ | ১১ জুলাই ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বকে সামনে রেখে ফুটবল কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে মেডিক্যাল গাইডলাইন তৈরির কাজ শেষ করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ফিফার গাইডলাইন মেনে দেশের সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির মেডিক্যাল কমিটি এটি তৈরি করেছে। এতে করোনাভাইরাসের ধাক্কা সামলে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের মাঠে ফেরার প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে বাস্তবে পরিণত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার মেডিক্যাল কমিটির উপ-চেয়ারম্যান ডা. আলী ইমরান অনুশীলন ক্যাম্পে জাতীয় বুটারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গাইডলাইন জমা দিয়েছেন। আগামী ৮ অক্টোবর বাছাইপর্বের ম্যাচে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেজন্য আগস্টের শেষদিকে প্রস্তুতি শুরু করার কথা রয়েছে জেমি ডের দলের। ডা. ইমরান গণমাধ্যমকে বলেছেন, 'যদি আমরা চারপাশের নেতিবাচক প্রভাবগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি এবং খেলোয়াড় ও অফিসিয়ালরা মাস্ক পরা, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা ও ভিড়ের মধ্যে না যাওয়ার মতো নির্দেশনাগুলো মেনে চলেন, তবে কোভিড-১৯ মুক্ত পরিবেশ পাওয়া সম্ভব।' সকল ফুটবলার, কোচ, কর্মকর্তা ও সাপোর্ট স্টাফের পাশাপাশি ক্যাটারিং সার্ভিস, স্টেডিয়াম ও ডরমেটরির স্টাফদের প্রত্যেকের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করানোর সুপারিশও করেছে মেডিক্যাল কমিটি। ফুটবলারদের বহনকারী যানবাহনের চালক ও সহযোগীদের পরীক্ষা করানোর প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়ে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) এলিট প্যানেলের মেডিক্যাল অফিসার ডা. ইমরান যোগ করেছেন, 'কোনো আক্রান্ত ফুটবলার কিংবা কোনো আক্রান্ত ব্যক্তি জাতীয় দলের সঙ্গে থাকলে প্রশিক্ষণ পুনরায় শুরু করার কোনো সুযোগ নেই। ফিফা তাদের নিজস্ব গাইডলাইন চূড়ান্ত করার আগে ছয়টি কনফেডারেশন, মেডিক্যাল অফিসিয়াল ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে। ফুটবলের শীর্ষ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি স্পষ্টভাবে বলেছে যে, নিজ নিজ দেশের মহামারি পরিস্থিতি ও বিদ্যমান স্বাস্থ্যসেবার ভিত্তিতে ফেডারেশনগুলো তাদের গাইডলাইন প্রণয়ন করবে। পুরো দলের একসঙ্গে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানোর পরিবর্তে অনুশীলন ক্যাম্প শুরুর কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা আগে ছোট ছোট দলে ভাগ করে খেলোয়াড়দের পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন ডা. ইমরান। যেখানে অনুশীলন হবে সেখানে ভ্রমণ করার আগে ফুটবলারদেরকে আইসোলেশনে রাখার পক্ষপাতী তিনি। তিনি উলেস্নখ করেছেন যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যেতে পারে এবং বাফুফে চাইলে ওই দিনেই রিপোর্ট পাওয়া যেতে পারে। সবশেষে মেডিক্যাল কমিটি তাদের গাইডলাইনে সুপারিশ করেছে যে, কারও শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই তাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।