লড়াইয়ে টিকে থাকল বার্সা

প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
গোল করায় ভিদালকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন মেসি -ওয়েবসাইট
ম্যাচের শুরুর দিকে লিওনেল মেসির পাস খুঁজে নিল আর্তুরো ভিদালকে। এই চিলিয়ান মিডফিল্ডার ডি-বক্সের ভেতর থেকে নিলেন জোরালো শট। পোস্টে লেগে বল জড়াল রিয়াল ভায়াদোলিদের জালে। ওই গোলই গড়ে দিল ম্যাচের ভাগ্য। তাতে লা লিগার শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকল বার্সেলোনা। শনিবার রাতে প্রতিপক্ষের মাঠে ১-০ গোলে জিতেছে কিকে সেতিয়েনের দল। এই জয়ে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ব্যবধান আবারও ১ পয়েন্টে নামিয়ে এনেছে বার্সেলোনা। ৩৬ ম্যাচ থেকে বার্সার পয়েন্ট হলো ৭৯। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়ালের পয়েন্ট ৮০। এ মৌসুমে প্রতিপক্ষের মাঠে টানা দুটি জয় স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের বিরল অর্জন! আরেকটা অর্জন, গোল না পেলেও মেসি গোল বানিয়ে দেওয়ার রেকর্ডে জাভিকে ছুঁয়েছেন। এক দশকেরও বেশি আগে এক মৌসুমে ২০টি অ্যাসিস্ট নিয়ে বার্সেলোনায় যে রেকর্ডটি গড়েন জাভি, সেটি বোধ হয় বাকি দুটি ম্যাচে অক্ষত থাকছে না। যদিও শনিবারের এ ম্যাচ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছিল। রিয়াল ভায়াদোলিদ শক্ত দল। অনাকাঙ্ক্ষিত করোনা-বিরতির পর আবার শুরু লিগে নিজেদের মাঠে তারা হারেনি। প্রতিপক্ষের মাঠে বার্সেলোনা শুরু থেকেই ছিল দারুণ। লুইস সুয়ারেজকে বিশ্রাম দিয়ে কোচ কিকে সেতিয়েন আক্রমণভাগ সাজান মেসি-গ্রিজমান-ভিদালকে নিয়ে। প্রচলিত ৪-৩-৩ পদ্ধতি পাল্টে শুরু করেন ৩-৫-২ পদ্ধতিতে। ফল পাওয়া যায় নগদ নগদ। সেমেদো-মেসির ওয়ান-টুর পর মেসি পাস দেন ভিদালকে। চিলিয়ান মিডফিল্ডার সংকীর্ণ জায়গা থেকে দূরের পোস্টে অসাধারণ শটে গোল করেন (১-০)। তবে চার মিনিট পর নেলসন সেমেদোর পাস থেকে আতোঁয়ান গ্রিজমান যেভাবে গোল নষ্ট করেছেন তা তার মতো ফরোয়ার্ডের নামের সঙ্গে যায় না। সেমেদো ও রিকি পুইজও গোল করার মতো সুযোগ পেয়েছিলেন। বার্সার আক্রমণে ভায়াদোলিদের রক্ষণ একটু হড়বড় করলেও ব্যবধান আর বাড়তে দেয়নি তারা। তবে বিরতির খানিক আগে কিকে পেরেজ বার্সেলোনা-বক্সে বল নিয়ে গিয়ে পড়ে না গেলে সমতায় ফিরতো ভায়াদোলিদ। দ্বিতীয়ার্ধে আবার ৪-৩-৩ পদ্ধতিতে ফেরেন সেতিয়েন। বার্সেলোনাও কেমন নিষ্প্রভ হয়ে পড়ে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেসি-বুসকেটস-ভিদালদের শক্তি যেন নিঃশেষ হয়ে যেতে থাকে। চেপে বসতে থাকে ভায়াদোলিদ। ঘড়ির কাঁটা টিক টিক করে, আর হৃৎকম্পন বাড়তে থাকে বার্সেলোনার। দুবার অবশ্য পেনাল্টির আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে বার্সেলোনার, তবে এ অর্ধে ভীষণ ব্যস্ত সময়ই গেছে গোলকিপার আন্দ্রে টের-স্টেগেনের। শেষ পর্যন্ত তিনটি পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পেরেছে তারা, এই ঢের। আর তাতে এখনও লা লিগা লড়াইয়ে টিকে থাকা গেল। টিকে থাকাই! ভাগ্য যে নিজেদের হাতে নেই। বার্সেলোনা জেতে, পরের ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ জিতে আবারও বাড়িয়ে নেয় ব্যবধান। এখন যা মাত্র এক পয়েন্টের। ৩৫ ম্যাচ শেষে রিয়ালের ৮০ পয়েন্ট, ৩৬ ম্যাচে ৭৯ বার্সেলোনা। গ্রানাডার মাঠে গিয়ে যদি রিয়াল মাদ্রিদ পা হড়কায় তবেই না সত্যিকারের রোমাঞ্চ ফেরে লা লিগায়!