দুর্নীতির মামলা

ভারতীয় বোর্ডের বিশাল জয়

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
আইপিএলের প্রথম দিককার কমিশনার ললিত মোদি, যাকে দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত করা হয়েছিল। সেই ললিত মোদির আমলে করা এক দুর্নীতি মামলায় জয়লাভ করল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। শুধু জয়লাভ করাই নয়, ৮৫০ কোটি রুপিও অর্জন করল সৌরভের নেতৃত্বাধীন বোর্ড। আর্থিক মন্দার বাজারে এটাকে অনেক বড় সুখবরই বলা চলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের জন্য। ১০ বছরের পুরানো দুর্নীতি মামলায় জয় হলো বিসিসিআইয়ের। ফলে একটি এসক্রো অ্যাকাউন্টে পড়ে থাকা প্রায় সাড়ে ৮০০ কোটি রুপি এবার নিজেদের কাজে লাগাতে পারবে বিসিসিআই। ২০১০ সালে আইপিএল কমিশনার থাকাকালীন সময়ে ললিত মোদি ভারত ছাড়া বহির্বিশ্বে টুর্নামেন্টের সম্প্রচার স্বত্বের জন্য ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস গ্রম্নপের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন। প্রায় ৮০০ কোটি টাকার সেই চুক্তিটি হয়েছিল পুরোপুরি বিসিসিআইকে অন্ধকারে রেখে। চুক্তির বিষয়টি পুরোপুরি একাই দেখেছিলেন তখনকার আইপিএল কমিশনার ললিত মোদি। এমনকি আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলকেও সেই চুক্তির বিষয়ে জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি তিনি। পরে ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস গ্রম্নপের সঙ্গে ললিত মোদির এই চুক্তিতে দুর্নীতির গন্ধ পান তখনকার ভারতীয় বোর্ড সেক্রেটারি এন শ্রীনিবাসন। ওই সময়ের বিসিসিআই সিইও সুন্দর রমণের সঙ্গে আলোচনার পর, তিনি ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস গ্রম্নপের কাছ থেকে আইপিএল সম্প্রচারের স্বত্ব কেড়ে নেন। পরে ললিত মোদিকেও দুর্নীতির অভিযোগে আইপিএল কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বিসিসিআইয়ের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সম্প্রচারকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস গ্রম্নপ। প্রায় ১০ বছর পর সেই মামলার নিস্পত্তি করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত ট্রাইবুন্যাল। তিন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির ট্রাইবুন্যালে ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস গ্রম্নপের সঙ্গে বিসিসিআইয়ের চুক্তিভঙ্গের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে। সে সঙ্গে জানানো হয়েছে, এসক্রো অ্যাকাউন্টে (তৃতীয় কোনো ব্যক্তি বা ট্রাস্টের জিম্মায়) থাকা ৮০০ কোটি রুপি ৭ বছরের সুদসহ ব্যবহার করতে পারবে ভারতীয় বোর্ড। অর্থাৎ মন্দার সময়ে প্রায় সাড়ে ৮০০ কোটি রুপি চলে এলো বিসিসিআইয়ে হাতে। শুধু তাই নয়, ললিত মোদি যে দুর্নীতি করেছিলেন, সে অভিযোগেও একই সঙ্গে প্রমাণিত হয়ে গেল। একই সঙ্গে প্রমাণ হলো, তখনকার বোর্ড সচিব শ্রীনিবাসন ললিত মোদিকে পদ থেকে সরিয়ে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন। ট্রাইবুন্যালে জয়ের পর বিসিসিআইয়ের আইনজীবী ললিত মোদির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা শুরুর আবেদন জানিয়েছেন।