বিকেএসপিতে যোগ হচ্ছে নারী হকি

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ফুটবলের পর এবার বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন সংযোজন হচ্ছে হকির নারী বিভাগ। বিষয়টি হকি অঙ্গনের জন্য নতুন এক অগ্রযাত্রা বলে মনে করেন হকি ফেডারেশনের সহসভাপতি সাজেদ এ আদেল। বিকেএসপির নিবিড় পরিচর্যায় নিজেদের তৈরি করে ভবিষ্যতে জাতীয় দলের পাইপলাইনকে সমৃদ্ধ করবে কিশোরীরা- এমনটাই বিশ্বাস ফেডারেশনের এই কর্তার। সেই ১৯৮৬ সালে ফুটবল ও ক্রিকেট- এ দুটি ডিসিপিস্ননের ৬০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)। পর্যায়ক্রমে ডিসিপিস্নন সম্প্রসারণ হতে হতে এখন হয়েছে ১৭টি। এর মধ্যে কয়েক বছর আগেই ফুটবলের নারী বিভাগ চালু হয়। এবার বিকেএসপিতে নতুন সংযোজন হচ্ছে হকির নারী বিভাগ। দেশের ৮ বিভাগে প্রতিভা অন্বেষণের মাধ্যমে ৪৫ জনকে বাছাই করে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রধান ক্যাম্পাসে তাদের এক সপ্তাহ যাচাইবাছাই করা হয়। সেখান থেকে ১৫ জন নারী হকি খেলোয়াড়কে ভর্তির জন্য নির্বাচন করা হয়। বিষয়টি হকি অঙ্গনের জন্য নতুন এক অগ্রযাত্রা বলে মনে করেন হকি ফেডারেশনের সহসভাপতি সাজেদ এ আদেল। এ প্রসঙ্গে হকির এ কর্মকর্তা বলেছেন, 'সব সময় কিন্তু আমাদের নারী হকি পিছিয়ে আছে, আমি মনে করি এর মাধ্যমে বাংলাদেশে হকির একটা অগ্রযাত্রা হলো। ২০১৯'র সেপ্টেম্বরে সিঙ্গাপুর গিয়েছিল মেয়েরা এবং সেখানে তাদের যে পারফরম্যান্স ছিল- খারাপ ছিল না। বিকেএসপি যে একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এখানে প্রতিষ্ঠানটি যে ভূমিকা নিয়েছে তাতে তারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।' স্কুল ও বিভাগীয় পর্যায় থেকে এর আগে নারী হকি খেলোয়াড়দের তুলে আনে ফেডারেশন। যদিও আন্তর্জাতিক পরিসরে নারীদের পারফরম্যান্স তেমন উলেস্নখযোগ্য ছিল না। তারপরও নিজেদের তৈরি করে ভবিষ্যতে জাতীয় দলের পাইপলাইনকে সমৃদ্ধ করবে বিকেএসপির কিশোরীরা মনে করছেন আদেল, 'গত স্কুল হকিতে আমরা ৫০-৬০ জনকে বাছাই করে রেখেছি। এই করোনা কালটা শেষ হলেই তাদেরকে নিয়ে আমরা ক্যাম্প করব।'