সেরা চারের লড়াইয়ে ম্যানইউর হোঁচট

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
শেষ মুহূর্তে সাউদাম্পটনের পক্ষে গোল করেন ওবাফেমি -ওয়েবসাইট
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সরাসরি জায়গা পেতে সেরা চারে অবশ্যই থাকতে হবে। আর সেই লড়াইয়েই হোঁচট খেল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সোমবার রাতে সাউদাম্পটনের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে তারা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির 'চ্যাম্পিয়ন্স লিগ' নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় লড়াইটা আরও কঠিন হয়ে গেছে ম্যানইউর জন্য। কারণ এখন সেরা চারে থাকা ক্লাবগুলোই খেলার সুযোগ পাবে। ম্যানসিটি নিষিদ্ধ থাকলে সুযোগ ছিল পাঁচে থাকা কোনো ক্লাবের। এই অবস্থায় ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে ম্যানইউ পাঁচেই আছে। চারে থাকা লেস্টার সিটিরও পয়েন্ট ৫৯। কিন্তু গোল গড়ে তারা এগিয়ে রয়েছে। অথচ জয় পেলেই তৃতীয় স্থান, এমন সম্ভাবনার কথা মাথায় নিয়েই খেলতে নেমেছিল ম্যানইউ। আর সেই সম্ভাবনার শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল ১২ মিনিটে সাউদাম্পটন এগিয়ে গেলে। আসলে প্রতিপক্ষের মাঠে শুরুটা দারুণ করে সাউদাম্পটন। তবে জেমস ওয়ার্ড-প্রাউসের ভুলে একাদশ মিনিটে গোল হজম করতে বসেছিল দলটি। নিজেদের অর্ধে মার্সিয়ালকে বল দিয়ে বসেন তিনি। সুযোগটা নিতে পারেননি ফরাসি ফরোয়ার্ড। শট নেন গোলরক্ষক বরাবর। পরের মিনিটে পল পগবা বল হারালে পেয়ে যান ন্যাথান রেডমন্ড। তার ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাকিটা সহজেই সারেন অরক্ষিক আর্মস্ট্রং। এগিয়ে যায় সাউদাম্পটন। গোল হজমের পর যেন জেগে ওঠে টানা ১৭ ম্যাচ অপরাজিত থেকে খেলতে নামা ম্যানইউ। ষোড়শ মিনিটে জালে বল পাঠান রাশফোর্ড। তবে অফসাইডের জন্য গোল হয়নি। চার মিনিট পর আবার জালে বল পাঠান রাশফোর্ড। সমতা ফেরানো গোলটিতে দারুণ অবদান মার্সিয়ালের। পগবার কাছ থেকে ডি-বক্সে বল পেয়ে দারুণ দক্ষতায় তিন খেলোয়াড়ের মাঝ থেকে স্স্নাইড পাসে খুঁজে নেন রাশফোর্ডকে। আট গজ দূর থেকে বাকিটা অনায়াসে সারেন তিনি। তিন মিনিট পর মার্সিয়ালের নৈপুণ্যে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। বাঁদিকে ব্রম্ননো ফার্নান্দেসের কাছ থেকে বল পেয়ে আড়াআড়ি ভেতরে ঢুকে গতিময় শটে ফরাসি ফরোয়ার্ড খুঁজে নেন জাল। গোলরক্ষকসহ সাউদাম্পটনের আট খেলোয়াড় ডি-বক্সের ভেতরে থাকলেও ঠেকাতে পারেনি তাকে। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচে ৬৮তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন রাশফোর্ড। বাইলাইন থেকে মার্সিয়াল কাট করলে বিপজ্জনক জায়গায় বল পান এই ফরোয়ার্ড। খুব কাছ থেকেও বাকিটা সারতে পারেননি তিনি। আর শেষের দিকে একের পর এক আক্রমণে ম্যানইউকে চেপে ধরে সাউদাম্পটন। ৮৫তম মিনিটে দারুণ দক্ষতায় ঝাঁপিয়ে রেডডেভিলদের রক্ষা করেন দলটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে নিজের চারশতম ম্যাচ খেলা গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়া। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল তিনেই জায়গা করে নিতে যাচ্ছে সুলশারের দল। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চেলসি ও লেস্টার সিটিকে পেছনে ফেলতে পারবে বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু তাদের সব আশায় জল ঢেলে দেন ওবাফেমি। শেষ দিকে যোগ হওয়া সময়েই (৯০+৬ মিনিট) সাউদাম্পটনকে হারের লজ্জা থেকে বাঁচান তিনি। আর তাতে হাতছাড়া হয়ে যায় ম্যানইউর তিনে ওঠার সুযোগ।