ব্যক্তিগত অনুশীলনে বাধা নেই

'ক্রিকেটারদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। তাদের বলেছি, তারা চাইলে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ ব্যবহার করতে পারেন। ঈদের আগে চাইলেও তারা ব্যবহার করতে পারবেন। তবে আমরা দেখলাম বেশির ভাগ ক্রিকেটারই আগ্রহ দেখাননি। তারা নিজেদের ঘরের বাইরে বের হতে রাজি নন।' -নিজাম উদ্দিন চৌধুরী

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কয়েকদিন আগে মাস্ক ও গস্নাভস পরে অনুশীলন করতে এসেছিলেন মুশফিকুর রহিম -ওয়েবসাইট
অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) ব্যক্তিগত অনুশীলনের অনুমতি চান ক্রিকেটাররা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে কোনো ধরনের সাড়া দেয়নি বোর্ড। অবশেষে বিসিবি মিরপুরে ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অনুশীলনের অনুমতি দিয়েছে। আর সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সতর্কতার বিষয়টি নিজেদেরই দেখতে বলেছে বিসিবি। এর ফলে মিরপুরে বোর্ডের সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করতে আর কোনো বাধা রইল না ক্রিকেটারদের। যারা ব্যক্তিগত অনুশীলন করতে চান, তারা আগামী সপ্তাহ থেকেই সেটি করতে পারবেন। অবশ্য আগে অনুমতি না দেওয়ার কারণও ছিল। সেই মধ্য মার্চ থেকে ক্রিকেটীয় কর্মকান্ড বন্ধ রয়েছে। কিছু দেশ ধীরে ধীরে অনুশীলনে ফিরলেও বাংলাদেশে পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে বিসিবির প্রধান অফিসটিও সংক্রমণের রেড জোনের মধ্যে পড়ে যাওয়ায় বন্ধ করে দিতে হয়। তাইতো এই পরিস্থিতির মাঝেই মুশফিকুর রহিম বিসিবির কাছে আবেদন করেছিলেন। যাতে বোর্ডের সুযোগ-সুবিধার আওতায় অনুশীলন করতে পারেন। কিন্তু পুরোবিসিবি নিজেদের অঙ্গন জীবাণু মুক্ত না করে সেই প্রস্তাবে সাড়া দিতে চায়নি। অবশেষে বিসিবি সেই কাজটি শেষ করেছে গত ২ জুলাই। ফলে তাদের সুযোগ-সুবিধাগুলো এখন ব্যবহারের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এর আগেই অবশ্য মুশফিক নিজের উদ্যোগে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন। সর্বশেষ বাড্ডার একটি স্পোর্টস ক্লাবে তাকে অনুশীলন করতে দেখা গেছে। এদিকে বিসিবি অনুশীলনের জন্যই ৩৫ জন ক্রিকেটারের সঙ্গে সভা করেছে সম্প্রতি। সেখানেই তাদের বলা হয় তারা চাইলে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ব্যক্তিগত অনুশীলন করতে পারেন। ক্রিকবাজ জানিয়েছে, সেই সময় মাত্র দুই ক্রিকেটারই ব্যক্তিগত অনুশীলনের জন্য বিসিবির প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছেন! বিসিবি ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে আরও কয়েকজনের সাড়া পাওয়ার অপেক্ষা করছে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেছেন, 'ক্রিকেটারদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। তাদের বলেছি, তারা চাইলে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ ব্যবহার করতে পারেন। ঈদের আগে চাইলেও তারা ব্যবহার করতে পারবেন।' এর পরেই তিনি জানালেন, এমন সুযোগ মিললেও বেশিরভাগ ক্রিকেটারই আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। কারণ, 'আমরা দেখলাম বেশির ভাগ ক্রিকেটারই আগ্রহ দেখাননি। তারা নিজেদের ঘরের বাইরে বের হতে রাজি নন। যেহেতু অনেককেই দেখেছি, এখানে সেখানে তারা অনুশীলন করছেন। সেজন্যই এই প্রস্তাবটা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের এও বলা হয়েছে বিসিবির ট্রেইনার নিয়েই যেন তারা অনুশীলন করেন এবং স্বাস্থ্য সতর্কতার বিষয়টি যেন তারা নিজেরা ভালোভাবে দেখভাল করেন।'