পিচিচি ট্রফি জয়েও মেসির রেকর্ড

প্রকাশ | ২১ জুলাই ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
লিওনেল মেসি
ইনজুরির কারণে খেলা হয়নি বেশ কিছু ম্যাচ। পারফরম্যান্সে ছিল বিরল ওঠানামা। তারপরও লা লিগায় গোল করা ও গোল করানোর সহায়তায় সবার চেয়ে এগিয়ে ছিলেন লিওনেল মেসি। আবারও জিতলেন স্প্যানিশ শীর্ষ লিগে শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার-পিচিচি ট্রফি। সেই সঙ্গে একটি রেকর্ড স্পর্শ করলেন আর আরেকটি নিজের করে নিলেন। টানা চতুর্থ আসরে পিচিচি ট্রফি জিতলেন মেসি। সব মিলিয়ে সপ্তমবার জিতে ছাড়িয়ে গেলেন সাবেক স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড তেলমো সাররাকে। ১৯৪৫ থেকে ১৯৫৩ সালের মধ্যে মোট ছয়বার পিচিচি জিতে রেকর্ড গড়েছিলেন আথলেটিক বিলবাওয়ের এই কিংবদন্তি। গত মৌসুমে সাররাকে স্পর্শ করা মেসি তাকে ছাড়িয়ে গেলেন প্রথম সুযোগে। তার হাত ধরে ১২ বছর পর ৩০-এর নিচে গোল করেও কেউ জিতল পিচিচি ট্রফি। ২০১৯-২০ মৌসুমে লা লিগার শেষ রাউন্ডের ম্যাচে রোববার রাতে আলাভেসের বিপক্ষে ৫-০ ব্যবধানে জেতা ম্যাচে জোড়া গোল করেন মেসি। এ নিয়ে আসরে ৩৩ ম্যাচ খেলে ২৫ গোল করলেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ গোল রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমার। তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে টানা চার মৌসুমে পিচিচি ট্রফি জিতলেন মেসি। ১৯৫৫-৫৬ মৌসুম থেকে চার আসরে জিতে কীর্তি গড়েন রিয়াল মাদ্রিদের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আলফ্রেদো দি স্তেফানো। এর মধ্যে ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে আরও দুজনের সঙ্গে জিতেছিলেন এই পুরস্কার। পরে এই রেকর্ডে ভাগ বসান মেক্সিকোর সাবেক স্ট্রাইকার হুগো সানচেস। ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে আতলেতিকো মাদ্রিদের হয়ে প্রথম এই ট্রফি জেতেন তিনি। পরের তিন মৌসুমে জেতেন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে। ২০১৬-১৭ মৌসুম থেকে টানা জিতে চলেছেন মেসি। পরের মৌসুমে তার সামনে সুযোগ রেকর্ড একার করে নেওয়ার। এদিকে শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার পর নিয়মরক্ষার ম্যাচে স্বরূপে ফিরল বার্সেলোনা। জোড়া গোল করলেন লিওনেল মেসি। জালের দেখা পেলেন আনসু ফাতি, লুইস সুয়ারেজ ও নেলসন সেমেদো। পয়েন্ট তালিকার নিচের দিকের দল আলাভেসকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে লা লিগা অভিযান শেষ করল কাতালান ক্লাবটি। প্রতিপক্ষের মাঠে রোববার রাতে লিগের শেষ ম্যাচে ৫-০ গোলে জিতেছে গত দুবারের চ্যাম্পিয়নরা। পোস্ট দুর্ভাগ্য বাদ না সাধলে ব্যবধান হতে পারত অনেক বড়। আসরে এটা বার্সেলোনার ২৪তম জয়। ৩৮ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শেষ করল তারা। ওসাসুনার বিপক্ষে ঘরের মাঠে হারা দলে ছয়টি পরিবর্তন এনে খেলতে নামা বার্সেলোনা প্রথম ১৬ মিনিটে দারুণ চারটি সুযোগ পায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যকে এড়াতে পারেনি তারা; তিনটি প্রচেষ্টা পোস্টে বাধা পায়। বিশেষ করে বিকালের ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যেও বল দখল ও কেড়ে নেওয়া, আর পাসিং ফুটবলের পসরা সাজানো এই বার্সেলোনা আসল বার্সেলোনা।