মাঠে ফেরার আনন্দ রুমানার

'মাঠে ফিরতে পেরেছি এটা অনেক আনন্দের বিষয়। সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া। খুব ভালো অনুভব করছি আমি। সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত একটানা কাজ করলাম। আগামী কয়েকদিন এই রুটিন চলবে। ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে। কিছুদিন পর ব্যাটিং-বোলিং করার সুযোগও মিলবে।'

প্রকাশ | ২৩ জুলাই ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
খুলনা আবু নাসের স্টেডিয়ামে বুধবার অনুশীলন করছেন রুমানা -ওয়েবসাইট
চার মাস পর বন্দিদশা থেকে মুক্তি মিলেছে। করোনাভাইরাস বিরতি কাটিয়ে নতুন করে মিলছে মাঠে ফেরার আভাস। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক রুমানা আহমেদ তাই আনন্দে আত্মহারা। বুধবার খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের সবুজ চত্বরে রোলার টেনে ফিটনেসের কাজ করেছেন তিনি। তবে মাঠে রানিং শুরু করেছেন আরও কয়েকদিন আগে। আর তাই তো অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে অনুশীলনের ভিডিও পোস্ট করে টাইগ্রেস অধিনায়ক জানান দিয়েছেন নতুন শুরুর কথা। ব্যক্তিগত অনুশীলনে রুমানার ট্রেনারের ভূমিকায় ছিলেন ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে খেলা সুলতানা ইয়াসমিন বৈশাখী। ৩০ বছর বয়সি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ট্রেনার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চান। সে লক্ষ্যে শুরু করে দিয়েছেন তার মাঠের কাজ। ফিটনেস অনুশীলন শেষে সংবাদমাধ্যমকে রুমানা বলেন, 'মাঠে ফিরতে পেরেছি এটা অনেক আনন্দের বিষয়। সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া। খুব ভালো অনুভব করছি আমি। সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত একটানা কাজ করলাম। আগামী কয়েকদিন এই রুটিন চলবে। ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে। কিছুদিন পর ব্যাটিং-বোলিং করার সুযোগও মিলবে।' খুলনায় নিয়মিত অনুশীলন করে চলেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদী হাসান। তাদের অনুশীলনের ফাঁকে ইনডোরে একটা সেশন মেয়েদের জন্য রাখার কথা ভাবছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নারী দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটার খুলনার হওয়ায় বেশ খানিকটা সুবিধা দেখছে ক্রিকেট বোর্ড। সেখান থেকেই হতে পারে মেয়েদের ক্রিকেটে ফেরার আনুষ্ঠানিক শুরু। টি২০ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের খেলা শেষ করে ৫ মার্চ অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফেরার পর দলের হয়ে আর মাঠে নামা হয়নি জাহানারা-সালমা-রুমানাদের। জাতীয় দলের নারী ক্রিকেটাররা এখনো বিচ্ছিন্ন। তাদের অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুটা সময়। বিসিবির অধীনে মেয়েদের ক্যাম্প শুরু হতে পারে আগস্টে। জুলাইয়ে শ্রীলংকায় বিশ্বকাপ বাছাই পিছিয়ে যাওয়ায় সামনে আর আন্তর্জাতিক সিরিজের সূচি নেই। ঘরোয়া লিগ নিয়েই ভাবতে হচ্ছে নারী ক্রিকেটারদের। বর্তমান বাস্তবতায় সেটিও অনেক দূরের পথ বলেই মনে করছেন তারা।