এএফসি কাপের গ্রম্নপ পর্ব

কিংসদের এবার মালদ্বীপ পরীক্ষা

প্রকাশ | ২৪ জুলাই ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
এএফসি কাপের গ্রম্নপ পর্বের ম্যাচ আয়োজনের সুযোগটা কাজে লাগালে হয়তো ঘরের মাঠেই লড়াইটা করতে পারত বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু স্বাগতিক হওয়ার আগ্রহ না দেখিয়ে বরং প্রস্তুতি নিয়েই বেশি ভেবেছে বাংলাদেশের ক্লাবটি। ম্যাচ শুরু হবে অক্টোবরের প্রায় শেষ দিকে। তাই হয়তো এখনই ক্যাম্প শুরু করার কথা ভাবছে না তারা। তবে মালদ্বীপের খেলার আগের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে দলের ফুটবলাররা মনে করেন সেখানে লড়াইটা খুব সহজ হবে না। তারপরও কিংসের দল শক্তিধর হওয়াতে ভালো কিছুই প্রত্যাশা করছেন তারা। করোনা পরিস্থিতিতে যেহেতু হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে ম্যাচ করার সুযোগ থাকছে না, তাই মালদ্বীপেই সবগুলো ম্যাচ হবে। তবে স্বাগতিক হওয়ার সুযোগ কাজে লাগাতে বেশ পারদর্শী দ্বীপদেশটি। তাদের দুই ক্লাবের সঙ্গেই আরও তিনটি ম্যাচ বাকি তপু-হামিদদের। সেই লড়াইটি খুব একটা সহজ হবে না। কারণ এর আগে মালদ্বীপে খেলতে গিয়ে বেশ তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। তাই কিংসের ফুটবলারদের প্রত্যাশা ক্লাবের পক্ষ থেকেই হয়তো হোটেলের কোনো ব্যবস্থা করা হবে। বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক হামিদুর রহমান রিমনের কাছে ক্যাম্পের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, 'আমাদের ম্যাচের সূচি ঠিক হয়েছে। অক্টোবর থেকে ম্যাচ হবে সেটা জানি। কিন্তু এএফসি কাপের ক্যাম্প কবে শুরু হবে এ বিষয়ে এখনো কিছু জানি না। সম্ভবত সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের দিকে শুরু হতে পারে।' কিংস তাদের প্রথম ম্যাচ খেলেছে ঘরের মাঠে। ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ক্লাব। যদিও মালদ্বীপকে আতিথিয়েতা দিতে কোনো কার্পণ্য করেনি বাংলাদেশের ক্লাবটি। কিন্তু অতীতে যখনই বাংলাদেশ ক্লাব কিংবা জাতীয় দলের হয়ে মালদ্বীপে খেলতে গেছে, তার অভিজ্ঞতাটা সুখকর হয়নি। কিংসের ডিফেন্ডার তপু বর্মণ জানিয়েছিলেন তাদের স্পিডবোটে করে খেলার মাঠে নিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা। ক্লাবের আরেক ফুটবলার ইমন মাহমুদ বাবু এর আগে ঢাকা আবাহনীর হয়ে মালদ্বীপে এএফসি কাপে খেলতে গিয়েছিলেন। তার অভিজ্ঞতাটাও ছিল বেশ তিক্ত। এমন যদি হয় অবস্থা তাহলে কি সেখানে গিয়ে ভালো করা সম্ভব? হামিদের উত্তর, 'এখন দেখা যাক ক্লাব ম্যানেজমেন্ট কি করে। ম্যাচের দিন ভ্রমণ ক্লান্তি নিয়ে খেলাটা কঠিন হয়ে যাবে। তারা যেহেতু স্বাগতিক। মাঠের সুবিধা তো নিবেই। কিন্তু আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিয়েই যাব। অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে ভালো খেলার। ক্লাবের অনুশীলন শুরু না হলেও আমরা সবাই ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছি। নিজেদের প্রস্তুত রাখছি। ক্লাবের হয়ে খেলতে গেলেও আমরা দেশের প্রতিনিধিত্ব করতেই বিদেশের মাটিতে যাই।'