বিশ্বকাপ দিয়েই ফিরতে চেয়েছিলেন ভিলিয়ার্স!

প্রকাশ | ২৪ জুলাই ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
বয়সের কারণে ২০১৮ সালে হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। তবে নতুন টিম ম্যানেজমেন্টের আগ্রহে ২০২০ টি২০ বিশ্বকাপে ডি ভিলিয়ার্সের খেলার সম্ভাবনা জেগেছিল। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন টি২০ অধিনায়ক কুইন্টন ডি ককও জানালেন, করোনাভাইরাসের কারণে পিছিয়ে পড়া টি২০ বিশ্বকাপে ডি ভিলিয়ার্সকে দলে দেখার সম্ভাবনা ছিল ভালোভাবেই। ২০১৯ বিশ্বকাপেই ডি ভিলিয়ার্সের অবসর ভেঙে দলে ফেরার গুঞ্জন ছিল। তবে এমনটা হলে প্রোটিয়া অন্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে অন্যায় হবে বলে আওয়াজ উঠেছিল। তাই ২০২০ টি২০ বিশ্বকাপ দলে ফিরতে চান এমন আগ্রহ প্রকাশেও দ্বিধা শোনা গিয়েছিল ডি ভিলিয়ার্সের কণ্ঠে। তবে ২০১৯ সালের শেষের দিকে ডি ভিলিয়ার্সের সাবেক সতীর্থ মার্ক বাউচার প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ডি ভিলিয়ার্সকে পাওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন। ডি ককের কণ্ঠেও সে সুর। সম্প্রতি ভারতীয় টিভি চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, 'অবশ্যই আমাদের চিন্তায় ছিলেন তিনি। যদি ফিট থাকেন, তবে এবি ডি ভিলিয়ার্সকে পেলে আনন্দিত হব।' এদিকে স্টার স্পোর্টসের ক্রিকেট কানেক্টেডে ডি কক আরও বলেছেন, 'বিশ্বের যেকোনো দল এবি ডি ভিলিয়ার্সকে পেলে খুশি হবে। আমরা ওকে ফেরার জন্য চাপ দিচ্ছিলাম, এখন দেখতে হবে টি২০ বিশ্বকাপ আসলেই হয় কি না।' এ বছর বিগ ব্যাশ খেলতে গিয়ে নিজের ইচ্ছের কথা অবশেষে প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন ডি ভিলিয়ার্স, 'এটা বাস্তব হতে হলে অনেক কিছু হতে হবে, তবে আমি চাই ফিরতে। আমি বাউচার, গ্রায়েম স্মিথ ও ফাফের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা চাই এটা হোক। তবে এখনো বহু পথ বাকি, এবং এর মাঝে অনেক কিছু হতে পারে। আইপিএল আসছে, তখনো আমাকে ফর্মে থাকতে হবে।' ইমরান তাহিরের দুঃখ ক্রীড়া ডেস্ক জন্ম তার পাকিস্তানে, বেড়ে ওঠাও সেখানে। এমনকি পাকিস্তানের বয়সভিত্তিক ও 'এ' দলের হয়েও খেলেছেন, কিন্তু জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানো হয়নি ইমরান তাহিরের। জন্মভূমির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ না পাওয়ায় ক্যারিয়ারের শেষলগ্নে থাকা এই স্পিনারের ভীষণ দুঃখ। আন্তর্জাতিক আঙিনায় তাহির খেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে। ২০০৬ সালে আফ্রিকার দেশটিকে পাড়ি দিয়ে অভিষেক ২০১১ সালে। সীমিত ওভারে দলটির অপরিহার্য সদস্য হতে সময় লাগেনি এই লেগ স্পিনারের। দক্ষিণ আফ্রিকায় ভালো স্পিনারের সংখ্যা যেহেতু কম, সেই জায়গাতেই বাজিমাত করেন তিনি। প্রোটিয়াদের জার্সিতে ২০ টেস্ট, ১০৭ ওয়ানডে ও ৩৮ টি২০ খেলেছেন তাহির। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো একটা জায়গাও তৈরি করেছেন তিনি। এরপরও তার আক্ষেপ আছে জন্মস্থান পাকিস্তানের হয়ে খেলতে না পারায়। জিও সুপারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই স্পিনারের কণ্ঠে তারই প্রতিফলন, 'আমি লাহোরের হয়ে খেলে অভ্যস্ত ছিলাম। আজ আমি যেখানে আছি, তার বড় কৃতিত্ব লাহোরের সেই দিনগুলো। পাকিস্তানেই আমি আমার সব ক্রিকেট খেলেছি, কিন্তু (জাতীয় দলে) খেলার সুযোগ হয়নি, যেটা আমাকে অনেক কষ্ট দেয়।' দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তাহিরের অভিষেক ২০১১ সালের বিশ্বকাপে। বাংলাদেশ-ভারত-শ্রীলংকার আসরে হয়েছিলেন প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। আফ্রিকার দেশটির হয়ে খেলার সুযোগটা তৈরি হয়েছিল তার স্ত্রী সুমাইয়া দিলদারের কল্যাণে। এজন্য পুরো কৃতিত্ব স্ত্রীকেই দিচ্ছেন তাহির, 'পাকিস্তান ছেড়ে যাওয়াটা কঠিন ছিল। তবে আলস্নাহ আমার সহায় ছিলেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলার প্রায় সব কৃতিত্বই পাবে আমার স্ত্রী।'