বিপিএল-ডিপিএলের ভাগ্য নির্ধারণ ঈদের পর

'খুব শিগগিরই আমরা আলোচনায় বসব, কোরবানির ঈদের পর বিসিবির ওয়ার্কিং কমিটির একটি সভা আছে। বিপিএল নিয়ে চিন্তা করব, কখন করা যায়। বিপিএল করার সময়টা হাতে আছে কেননা এটির জন্য নির্ধারিত সময় ডিসেম্বর-জানুয়ারি। আমরা চেষ্টা করব বিপিএল ঠিক সময়েই করতে।' -জালাল ইউনুস

প্রকাশ | ২৬ জুলাই ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সপ্তম আসর আয়োজনের ব্যাপারে আশাবাদী বিসিবি পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস। খেলাধুলা নিয়ে একটি গণমাধ্যমে লাইভ শো 'বি অ্যাকটিভ' এ শনিবারের অতিথি ছিলেন তিনি। ক্রিকেট নিয়ে ৫০ মিনিটের আলোচনায় বিপিএল প্রসঙ্গে বিসিবির নীতিনির্ধারক পর্যায়ের এই পরিচালক শুনিয়েছেন আশার কথা। 'খুব শিগগিরই আমরা আলোচনায় বসব, কোরবানির ঈদের পর বিসিবির ওয়ার্কিং কমিটির একটি সভা আছে। বিপিএল নিয়ে চিন্তা করব, কখন করা যায়। বিপিএল করার সময়টা হাতে আছে কেননা এটির জন্য নির্ধারিত সময় ডিসেম্বর-জানুয়ারি। সামনে আরও চার মাস হাতে থাকবে, আগস্ট-সেপ্টেম্বর-অক্টোবর-নভেম্বর। আমরা চেষ্টা করব বিপিএল ঠিক সময়েই করতে।' বিপিএলের ষষ্ঠ আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি ছাড়াই করেছে বিসিবি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে হওয়া বিশেষ টুর্নামেন্টে দল গঠন থেকে শুরু করে পুরো ব্যবস্থাপনায় ছিল ক্রিকেট বোর্ড। সপ্তম আসরে অবশ্য ফিরে আসবে পুরানো নাম- ঢাকা ডায়নামাইটস, রংপুর রাইডার্স, কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ানস। বিসিবির সঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর চুক্তি শেষ হয়ে গেছে বলে জানান জালাল ইউনুস। নতুন করে চুক্তিসহ প্রয়োজনীয় কাজ ঈদের পর পরই শুরু করার ভাবনার কথা জানান তিনি, 'জানেন যে অনেক দলের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আগের যেসব দল আছে তারা খেলবে কি খেলবে না, আগ্রহী কি না বা আমরা নতুন কোনো দলকে নেব কি না; বা নতুন কেউ আগ্রহ দেখিয়ে আসবে কি না; অনেক ব্যাপার আছে। তো দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে আগে কিছু কাজ সেরে রাখতে চাই। কাজের গতিশীলতা নির্ভর করছে সময়ের ওপর। পেপারওয়ার্ক করে রাখব। ঈদের পর আমরা সভায় বসব তখন বিপিএলের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। অনেক কাজ বাকি আছে। পেস্নয়ার্স কন্ট্রাক্ট, নতুন টিমের সঙ্গে চুক্তি।' বিপিএল নিয়ে আলোর রেখা দেখা গেলেও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) মাঠে ফিরবেই, এটি জোর গলায় বলতে পারছেন না কেউ। মধ্য মার্চে এক রাউন্ড হওয়ার পর বন্ধ হয়ে যাওয়া লিগ আগস্টে শুরু করা যায় কি না; এ ব্যাপারে চলছে আলাপ-আলোচনা। লিগের আয়োজক কমিটি সিসিডিএম'র মতো বিসিবিও চায় মাঠে খেলা ফিরুক। কিন্তু প্রতিকূল অবস্থা সাহসী হয়ে উঠতে দিচ্ছে না কাউকে। করোনা পরিস্থিতির আশাব্যঞ্জক উন্নতি না হলে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট শুরু করা দুরূহ বলে মনে করেন জালাল ইউনুস। আইসিসির গাইডলাইন ও কোভিড-১৯ প্রটোকল মেনে সব ক্লাব খেলোয়াড়-কোচদের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিতে পারবে কি না; সে বিষয়ে সন্দিহান আবাহনীর এই সংগঠক। 'পরিস্থিতি যদি অনুকূলে না থাকে খুব কঠিন লিগ আয়োজন করা। দু-তিনটা ক্লাব ছাড়া সবার ওই অবস্থা আছে কি না আইসিসির দেওয়া প্রটোকল, কোভিড-১৯ প্রটোকল মেনে সবকিছু করা। ওভাবেই কিন্তু ব্যবস্থাপনা করতে হবে ক্লাবের। খেলোয়াড়রা যারা ক্যাম্পে থাকবে তারা কি পারবে ওভাবে মেইনটেইন করে থাকতে। ঝুঁকি তো থেকে যায়। জাতীয় দলের খেলোয়াড় যারা আছে বা স্কোয়াডে যারা আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তাদেরকে নিজেদের অধীনে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা জোগান দিতে পারবে সেটি কি ক্লাবগুলো পারবে, একটা প্রশ্ন থেকে যায়।' 'আমরা চাই প্রিমিয়ার লিগ শুরু হোক। দেখা যাক, ক্লাবের সঙ্গে বিসিবির আলাপ-আলোচনা চলছে। আগস্টের দিকে দেখি করোনার অবস্থা কেমন হয়। সেটার ওপর নির্ভর করছে আমরা খেলা শুরু করতে পারব কি না। আগস্টের দিকে তাকিয়ে আছি আমরা।'