নেইমারের গোলে ফরাসি কাপ পিএসজির

প্রকাশ | ২৬ জুলাই ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
প্রস্তুতি ম্যাচের তিন ম্যাচে করেছেন চার গোল। মূল ম্যাচেও ছন্দটা ধরে রাখলেন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের একমাত্র গোলেই ফরাসি কাপের শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। শুক্রবার রাতে স্তাদে ডু ফ্রান্সে সেন্ট এতিয়েনেকে ১-০ গোলে হারিয়েছে থমাস টুখেলের দলটি। প্যারিসে ওই এক গোলেই এতিয়েনকে কাঁদিয়ে এই টুর্নামেন্টের ১৩তম শিরোপা ঘরে তুলেছে নেইমার-ডি মারিয়ারা। তবে তাদের শিরোপা জেতার উৎসবে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ থাবা বসিয়েছে কিলিয়ান এমবাপের চোট। প্রথমার্ধে বাজে ফাউলের শিকার হয়ে তাকে মাঠ ছাড়তে হয়। পরে দলের শিরোপা উদযাপনের সময় মাঠে আসেন ক্র্যাচে ভর দিয়ে। আর তাতে ফরাসি ফরোয়ার্ডের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিয়ে জন্মেছে সংশয়। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে গোল খেতে বসেছিল পিএসজি। এতিয়েনের মিডফিল্ডার ডেনিস বানগার শট পোস্টে লেগে ফিরলে বেঁচে যায় লিগ চ্যাম্পিয়নরা। ফাইনালের আগে তিন ম্যাচে চার গোল করা নেইমার চতুর্দশ মিনিটে এগিয়ে নেন দলকে। বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া কিলিয়ান এমবাপের জোরালো শট গোলরক্ষক ফেরালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ছয় গজ বক্সের ভেতর থেকে বল জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ২৭তম মিনিটে লোয়িচ পেরিন এমবাপেকে ফাউল করার পর হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের খেলোয়াড়রা। এতে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে খেলা। বেঞ্চ থেকে উঠে আসা মার্কো ভেরাত্তিসহ হলুদ কার্ড দেখেন পিএসজির তিন জন, এতিয়েনের একজন। পরে ভিএআরের সাহায্যে পেরিনকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। চোখে জল নিয়ে মাঠ ছাড়েন এমবাপে। ম্যাচের শেষ দিকে দুই ক্র্যাচে ভর দিয়ে ডাগআউটে আসেন তরুণ এই ফরোয়ার্ড। ৫৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ এসেছিল অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার সামনে। কিন্তু আর্জেন্টাইন এই মিডফিল্ডারের শটে পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায় বল। বাকি সময়ে আরও বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিল পিএসজি। তবে সুযোগ নষ্টের পাশাপাশি প্রতিপক্ষের গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় ব্যবধান বাড়াতে পারেনি তারা। এমবাপে মাঠ ছাড়ার আগেই পিএসজি এগিয়ে গিয়েছিল নেইমারের গোলে। ১৪ মিনিটে ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা ফরোয়ার্ডের তৈরি করা সুযোগই কাজে লাগান সাবেক বার্সেলোনা তারকা। ডি মারিয়ার সঙ্গে ওয়ান টু খেলে ক্ষীপ্রগতিতে এমবাপে ঢুকে পড়েন এতিয়েনের বক্সে। তার গোলমুখে নেওয়া শট প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক প্রতিহত করলে বল আসে ফিরে, ফিরতি বলে শট করে পিএসজিকে এগিয়ে নেন নেইমার। আর ওই গোলটাই শেষ পর্যন্ত শিরোপা এনে দেয় প্যারিসের ক্লাবটিকে। এমবাপেকে ফাউল করে লোইচ পেরিন লাল কার্ড দেখলে ৩১ মিনিট থেকে বাকি সময় ১০ জন নিয়ে খেলেছে এতিয়েন।