ফুটবল ক্যাম্পে ডাক পেলেন তারিক

প্রকাশ | ২৭ জুলাই ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
তারিক রায়হান কাজী
ক্রীড়া প্রতিবেদক বাংলাদেশ জাতীয় দলের মিডফিল্ডার ডেনমার্কপ্রবাসী জামাল ভূঁইয়া। তবে এখন জাতীয় দলের অধিনায়কও এ ফুটবলার। তার মতো আরেকজন প্রবাসী ফুটবলারও লাল-সবুজ জার্সি গায়ে মাঠে নামার অপেক্ষায়। জাতীয় দলের হয়ে খেলার স্বপ্ন নিয়ে ফিনল্যান্ড ছেড়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলতে এসেছিলেন তারিক রায়হান কাজী। সেই স্বপ্ন পূরণের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলেন তিনি। অক্টোবর-নভেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের যে চারটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ, তার ক্যাম্প শুরুর জন্য ৩৬ জনের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। ওই ৩৬ জনের মধ্যে আছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে বসুন্ধরা কিংসে খেলা ফিনল্যান্ডপ্রবাসী এই ডিফেন্ডার। এখান থেকে ২৩ জনের চূড়ান্ত দলে জায়গা করে নিতে পারলে জামাল ভূঁইয়ার মতো আরেক প্রবাসীকে দেখা যাবে মাঠে। যে ৩৬ জন ফুটবলারকে প্রাথমিক দলে ডাকা হয়েছে তার মধ্যে বসুন্ধরা কিংসের আছেন সর্বাধিক ১৪ জন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭ জন করে আবাহনী ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের। ৩ জন চট্টগ্রাম আবাহনীর, ২ জন করে বাংলাদেশ পুলিশ ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের এবং একজন উত্তর বারিধারা ক্লাবের। ঢাকায় থাকাকালীন বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে তারিক কাজী বলেছেন, 'আমার লক্ষ্য জাতীয় দলের লাল-সবুজ জার্সিতে খেলা। যেমনটি খেলে দেশে তারকা বনে গেছেন জামাল ভূঁইয়া।' ফিনল্যান্ডের সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলা এ যুবকের যোগ্যতা প্রমাণের কিছু নেই। ধরেই নেওয়া হয়েছিল, জাতীয় দলের হেড কোচ জেমি ডের চোখ আঠার মতো লেগে আছে তার দিকে। জাতীয় দলের পরবর্তী ক্যাম্পে তিনি ডাকবেন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়া তারিক কাজীকে। শেষ পর্যন্ত জাতীয় দলের খেলার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেলেন তারিক কাজী। প্রাথমিক ক্যাম্পে ডাক পাওয়ায় নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে বাংলাদেশের একটি গণমাধ্যমকে তারিক কাজী বলেন, 'আমি খুব খুশি। পারলে তো আজই চলে আসতাম। কারণ আমার স্বপ্ন- দেশের জার্সিতে খেলা। এখন তো ফ্লাইটের সমস্যা। তবে বিকল্প অনেক ব্যবস্থা আছে। চলে আসব সময়মতো।' প্রাথমিক দলে জায়গা পাওয়ার নিজের লক্ষ্য সম্পর্কে বলেন, 'আমার স্বপ্নের একটি অংশ পূরণ হলো। এখন মূল স্কোয়াডে টিকে থাকতে হবে। না হলে তো লাল-সবুজ জার্সি পরা হবে না।' ফিনল্যান্ডের জাতীয় বয়সভিত্তিক দলে খেলার পর বাংলাদেশের খেলার স্বপ্ন নিয়ে তারিক কাজী বলেন, 'আমার বাবা শাইদুল কাজী বাংলাদেশের। নওগাঁয় আমার বাবা-দাদাদের বাড়ি। আমি ফিনল্যান্ডে থাকলেও বাংলাদেশকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসি। আমরা দুই ভাই, দুই বোন। সবাই বাবার কাছে দেশের গল্প শুনেছি। আমি দেশের জন্য কিছু করতে চাই। তাই আমি বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। আমি দেশকে হৃদয়ে ধারণ করি।' ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ৩৬ ফুটবলার : গোলরক্ষক- আশরাফুল ইসলাম রানা, আনিসুর রহমান জিকু, শহিদুল আলম সোহেল ও পাপ্পু হোসেন। ডিফেন্ডার- তপু বর্মন, ইয়াসিন খান, বিশ্বনাথ ঘোষ, সুশান্ত ত্রিপুরা, টুটুল হোসেন বাদশা, রায়হান হাসান, রহমত মিয়া, ইয়াসিন আরাফাত, তারিক রায়হান কাজী ও মনজুরুর রহমান মানিক। মিডফিল্ডার- আতিকুর রহমান ফাহাদ, রবিউল হাসান, বিপলু আহমেদ, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মাসুক মিয়া জনি, মামুনুল ইসলাম মামুন, সোহেল রানা, মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, রিয়াদুল হাসান, জামাল ভূঁইয়া, মানিক হোসেন মোলস্না, রাকিব হোসেন ও নাজমুল ইসলাম রাসেল। ফরোয়ার্ড- মাহবুবুর রহমান সুফিল, মতিন মিয়া, তৌহিদুল আলম সবুজ, সাদ উদ্দিন, নাবিব নেওয়াজ জীবন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, মো. আবদুলস্নাহ, ম্যাথিউজ বাবলু ও সুমন রেজা।