বিশ্বকাপে খেলতে টাইগারদের সুপার লিগ পরীক্ষা

প্রকাশ | ২৯ জুলাই ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাই প্রক্রিয়ার পথে ১৩ দলের তিন বছরব্যাপী সুপার লিগের রূপরেখা জানিয়ে দিয়েছে আইসিসি। কাল বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ড সাউদাম্পটনে যে সিরিজে নামবে, সেটি হতে যাচ্ছে ওয়ানডে সুপার লিগের সূচনাপর্ব। সরাসরি বিশ্বকাপে খেলতে হলে বাংলাদেশ দলকে সুপার লিগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। করোনার কারণে এখন পর্যন্ত স্থগিত হওয়া সিরিজগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের ওয়ানডে খেলার কথা ছিল আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে। এর বাইরে এ বছর ডিসেম্বরে দেশের মাটিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে আছে ওয়ানডে সিরিজ। ২০২১ সালে এফটিপিতে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজ আছে ৪টি। দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে জানুয়ারিতে, ইংল্যান্ডের সঙ্গে অক্টোবরে। এছাড়া অ্যাওয়ে সিরিজ খেলতে ফেব্রম্নয়ারি-মার্চে নিউজিল্যান্ড ও জুন-জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে যাওয়ার কথা তাদের। এর পরের বছর থেকে শুরু করে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের আগের সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজ ৭টি। আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড, ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বাংলাদেশ এ সময় আতিথেয়তা দিতে পারে যথাক্রমে ২০২২ সালের ফেব্রম্নয়ারি-মার্চ, অক্টোবর, নভেম্বর ও ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়েতে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজের কথা আছে যথাক্রমে মার্চ, জুন-জুলাই, জুলাই-আগস্টে। ফলে বিশ্বকাপ সুপার লিগে একদিকে যেমন অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে না বাংলাদেশ, তেমনি হবে না নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলাও। করোনা বিরতির পর ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তিন টেস্টের সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের মাধ্যমে ফিরছে ওয়ানডেও। তিন ম্যাচের ওই আইরিশ সিরিজ দিয়ে পরের ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাই প্রক্রিয়ায় নাম লেখাবে মরগানের দল। আইসিসির প্রথম সুপার লিগ আয়োজন চলবে তিন বছর ধরে। অংশ হবে ১৩ দল। ১২ টেস্ট খেলুড়ে দেশের সঙ্গে নেদারল্যান্ডস। যারা ২০১৫-১৭ আইসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগ জিতেছে। লম্বা এই সময়ে প্রতিটি দল ৮টি করে সিরিজ খেলবে, চারটি করে সিরিজ হোম-অ্যাওয়ে ভিত্তিতে। একেকটি সিরিজ হবে তিন ম্যাচের। সুপার লিগ পর্বে প্রতিটি জয়ের জন্য থাকছে ১০ পয়েন্ট। টাই বা পরিত্যক্ত ম্যাচে ৫ পয়েন্ট। তিন বছরের পালা শেষে লিগের শীর্ষ ৭ দল সরাসরি অংশ নেবে ওয়ানডের ২০২৩ বিশ্বকাপে, যার আয়োজক ভারত। কোহলির দেশের অবশ্য অত শত ভাবনা নেই, স্বাগতিক হিসেবেই সরাসরি খেলতে পারবে বিশ্বমঞ্চে। যারা সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারবে না, সেই ৫ দল ও সহযোগী ৫ দলকে পরীক্ষা দিতে হবে আরেকটি বাছাইপর্বে। সেখান থেকে পরের বিশ্বকাপে যাবে মাত্র দুটি দল। ১০ দল নিয়ে হবে ভারতের বিশ্ব আসরটি।