ভালো নেই শুটাররা

প্রকাশ | ২৯ জুলাই ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
দেশের সম্ভাবনাময় খেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম শুটিং। বরাবরই আন্তর্জাতিক যেকোনো বড় ইভেন্ট থেকেই শুটিংয়ে পদক এনে দিয়েছেন দেশের শুটাররা। এসএ গেমস বা কমনওয়েলথ গেমস কোনো জায়গায়ই নিরাশ করেননি আসিফ-বাকী-শাকিলরা। বর্তমানে মহামারি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে পৃথিবীজুড়ে চলছে এক যুদ্ধ। বাংলাদেশের মানুষরাও নিজেকে বাঁচানোর এ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে দেশের শুটাররা জড়িয়ে পড়েছেন নিজেদের নির্দোষ প্রমাণের যুদ্ধে। এছাড়াও ফেডারেশন বন্ধ থাকায় নেই অনুশীলনেরও সুযোগ। ভালো নেই বেশির ভাগ শুটাররাই। ২০১৭ সালে রাইফেল তৈরির প্রতিষ্ঠান ওয়ালথার থেকে উপহার পাওয়া ৮টি রাইফেল নিয়ে ভিআইপি লাউঞ্জ দিয়ে দেশে ফিরেছিলেন শুটাররা। এ সময় দিতে হয়নি কোনো রাজস্ব। তবে তিন বছর পর আবদুল কাদের নামে এক ব্যক্তি উড়ো অভিযোগ দায়ের করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর)। আর তাই এনবিআর অফিসে দৌড়াতে হচ্ছে শুটারদের। এ নিয়ে চরম বিব্রত শুটার অর্নব শারার লাদিফ। তিনি বলেন, 'মূলত ডেনমার্কের কোচ ক্লাভস ক্রিস্টেনসেনের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় ওয়ালথার কোম্পানি আমাদের আটটি রাইফেল উপহার দেয়। যা আমরা সে সময় নিয়ে এসেছি। বিমানবন্দরে আমাদের রাইফেল দেখেছেন কর্মকর্তারা। তারা কিছুই বলেননি। আমরাও জানতাম না, এয়ার রাইফেলের জন্য ট্যাক্স দিতে হয়। অথচ আজ আমাদের বলা হচ্ছে চোরাকারবারি। এটা একটি সুস্থ মানুষ কীভাবে বলতে পারে? তিনি আরও বলেন, 'আমরাতো দেশের তারকা ক্রীড়াবিদ। ১২ কেজি ওজনের চার ফুট লম্বা রাইফেল তো আর পকেটে পুরে আনা যায় না। উল্টো হ্যান্ডলিং চার্জ দিয়েছি। বিভিন্ন ট্রানজিট ঘুরেও এসেছি। অথচ কেউ কিছু বলেনি। আর এখন দেশের মাটিতে আমাদের ট্যাক্স দিতে হবে। দিতে হলে দেব। কিন্তু চোরাকারবারি কেন বলা হচ্ছে। আমি ইয়ুথ অলিম্পিকে কোটা পেস্নস করেছি এই রাইফেল দিয়ে খেলেই। দেশের জন্য এই সম্মানটা চোরাকারবারির মধ্যে পড়ে গেল না? এটা খুবই হতাশাজনক আমাদের জন্য।' আরেক শুটার আরদিনা চৌধুরী আঁখি বলেন, 'আমরা সব সময় দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনার চেষ্টা করি। বিষয়টি আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। আমরা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাহায্য চাই। এ রকম বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন আর হতে চাই না।' শুটারদের চলমান সংকট নিয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'শুটিং ফেডারেশনের কর্মকর্তারা কেন শুটারদের সামনে ঠেলে দিয়েছেন। আমি জানি না। শুল্ক বিভাগের সঙ্গে ফেডারেশনের কর্মকর্তারা যোগাযোগ করেই এর সমাধান করতে পারতেন।'