কোচদের নির্দেশনা মানছেন মৌসুমী

প্রকাশ | ৩০ জুলাই ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় দলের অধিনায়ক মিসরাত জাহান মৌসুমী। চলতি মৌসুমের শক্তিশালী দল বসুন্ধরার হয়ে খেলছিলেন এবারের লিগে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে স্থগিত হয়ে গেছে নারী লিগ। তাই অন্য সব ফুটবলারের মতোই নিজ বাড়িতেই অলস সময় কাটাচ্ছেন এই প্রতিভাবান নারী ফুটবলার। তবে মাঠে যে ফিরতেই হবে। তাই অনুশীলন বন্ধ নেই। কোচদের নির্দেশনা মেনে এখনো ফিটনেস রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এই ফুটবলার। ২০০১ সালের ৮ জুন তার জন্ম। ফুটবলে শুরুটা ক্লাস ফাইভে থাকতে বঙ্গমাতা স্কুল ফুটবল দিয়ে। ২০১১ ও ২০১২ সালে খেলেন রংপুর ১ নম্বর পালিচড়া স্কুলের হয়ে। এরপর ২০১৩ সালে পস্ন্যান অনূর্ধ্ব ১৬ ট্যালেন্ট হান্ট কর্মসূচিতে সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়ে জায়গা করে নেন অনূর্ধ্ব ১৬ জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্পে। এছাড়া রংপুরের মেয়ে মৌসুমী খেলেছেন অনূর্ধ্ব ১৪, ১৭, ১৮, ১৯ ও সিনিয়র জাতীয় দলে। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার পজিশনে খেলা এই ফুটবলার বুধবার এক ভিডিও বার্তায় জানালেন করোনাকালে কিভাবে কাটছে তার দিনকাল। কিভাবেই বা চালিয়ে যাচ্ছেন ফিটনেস রক্ষার লড়াই। বর্তমানে কেমন আছেন, মহামারির এই সময়টায় নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে কী করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মৌসুমী বলেছেন, 'এখনও ভালো আছি, সুস্থ আছি এবং আমার পরিবারও ভালো। আমাদের বাড়ি রংপুর হলেও বর্তমানে সাভারের নবীনগরের খেজুরটেকে আছি। এখন বাড়িতেই পুরোসময় কাটে; শুধু খাই, ঘুমাই এবং স্ট্রেচিং করি। খুব একটা বেশি বাইরে যাই না; স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মেনে চলার চেষ্টা করি।' বাড়িতে ফিটনেস ধরে রাখাটা বেশ কঠিন। এই অবস্থায় কিভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন ফিটনেস রক্ষার লড়াই? জানতে চাইলে অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় দলের অধিনায়ক বলেছেন,'বাড়িতে ফিটনেস ধরে রাখাটা খুব কঠিন, কারণ এখানে ব্যায়াম করার মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই। কোনো জিম সরঞ্জামও নেই। তবে আমাদের কোচের নির্দেশনা অনুযায়ী ডায়নামিক স্ট্রেচিং, কোর এক্সারসাইজগুলো করে নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করছি। কখনো কখনো জিমে গিয়ে ট্র্যাডমিলে দৌড়াই বা সাইক্লিং করি।' কাদের নির্দেশনায় এই ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটিগুলো করছেন? মৌসুমীর উত্তর, 'আমাদের কোচদের নির্দেশে এগুলো করছি। তারা সবসময় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের মহিলা দলের জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রম্নপ আছে। আমরা সব খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফ, হেড কোচ ছোটন স্যার, সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু স্যার, দুই মহিলা কোচ অনন্যা ম্যাডাম এবং সাইনু দি- এ গ্রম্নপের সদস্য। বাফুফে অফিশিয়ালরাও সেখানে আছেন। আমরা সেখানে সপ্তাহে দুই-তিনবার সবার সঙ্গে আলোচনা করি। পাশাপাশি প্রতিদিনের কাজগুলো রিপোর্ট করি।' মৌসুমীর স্বপ্ন একসময় বিশ্বকাপে খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। সাফের শিরোপাও জিতবে। আর এই দুই দলের গর্বিত সদস্য হতে চান এই ফুটবলার।