ঈদের পর অনুশীলনে ফিরবেন মুমিনুল

ঈদ ঢাকাতেই করছেন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। মহামারি করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে ও পরিবারকে সুরক্ষা দিতেই এমন সিদ্ধান্ত মুমিনুলের। তবে ঢাকায় কোরবানি না দিলেও গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারে কোরবানি দিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
করোনাকালে ঘরেই কাটিয়েছেন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। সেপ্টেম্বরে শ্রীলংকায় টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে অনুশীলনে ফেরার তাগিদ অনুভব করছেন তিনি -ফাইল ফটো
দীর্ঘ চার মাসের বিরতি শেষে ঈদের আগে ১০ দিন অনুশীলন করেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। ঢাকাসহ দেশের পাঁচটি স্টেডিয়ামে মোট ১৪ ক্রিকেটার প্রথম পর্বে অনুশীলন করেছেন। ১৯ জুলাই থেকে চার ভেনু্য- ঢাকা, সিলেট, খুলনা ও চট্টগ্রামে ৯ জন খেলোয়াড় অংশ নিলেও পরবর্তীতে রাজশাহীতে আরও কয়েকজন ক্রিকেটার শুরু করেন অনুশীলন। ঢাকায় মুশফিকুর রহিম, ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ মিঠুন, শফিউল ইসলামদের সঙ্গে শেষে বাড়তি দুদিনের অনুশীলনে যোগ দেন মেহেদী হাসান রানা, তাসকিন আহমেদ ও এনামুল হক বিজয়। অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ ও উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান অনুশীলন করেন খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যুক্ত হন পেসার খালেদ আহমেদ ও স্পিনার নাসুম আহমেদ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অফস্পিনার নাঈম হাসান, রাজশাহীর কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছেন জাতীয় দলের বাঁহাতি টপ অর্ডার নাজমুল হোসেন শান্ত অনুশীলন শুরু করেন। এই তালিকায় যোগ হতে যাচ্ছেন টাইগারদের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। ঈদুল আজহার পরই দ্বিতীয় ধাপের অনুশীলনে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। মুমিনুল বলেন, 'ঈদের পরই অনুশীলনে ফিরতে চাচ্ছি। ঈদের পরপর কিংবা সপ্তাহ খানেক পরে ফিরব বলে আশা করছি।' ঈদ ঢাকাতেই করছেন এই টেস্ট অধিনায়ক। মহামারি করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে ও পরিবারকে সুরক্ষা দিতেই এমন সিদ্ধান্ত মুমিনুলের। তবে ঢাকায় কোরবানি না দিলেও গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারে কোরবানি দিচ্ছেন বলেও জানান তিনি। কয়েকজন ক্রিকেটারের চাহিদার ভিত্তিতে দেশের পাঁচ ভেনু্যতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুশীলনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। টানা ১০ দিন অনুশীলনের পর গত বুধবার থেকে শুরু হয়েছে তাদের ঈদের ছুটি। ঈদ উদ্‌যাপন শেষে আগামী ৮ আগস্ট আবারও অনুশীলনে ফিরবেন মুশফিক-ইমরুলরা। প্রাথমিকভাবে আট দিনের ব্যক্তিগত অনুশীলনের ব্যবস্থা ছিল। তবে খেলোয়াড়দের অনুরোধে অনুশীলনের জন্য আরও দুদিন বাড়ানো হয়। সেই অনুশীলন সূচি শেষ হয়েছে মঙ্গলবার। ঈদের বিরতির পর ৮ আগস্ট থেকে আবারও ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুশীলন করবেন মুশফিকরা। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পর আরও কয়েকজন ক্রিকেটার যোগ দেবেন তাদের সঙ্গে। ঈদের পর অনুশীলনে খেলোয়াড়ের সংখ্যা বাড়লে বিসিবি গ্রম্নপ ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করবে বলে জানা গেছে। প্রতিটি গ্রম্নপে প্রাথমিকভাবে অল্পসংখ্যক খেলোয়াড় থাকতে পারে। পাশাপাশি অক্টোবরে শ্রীলংকা সিরিজের কথা চিন্তা করে কন্ডিশনিং ক্যাম্পও শুরু করতে পারে। সেই ক্যাম্প জাতীয় দলের কোচিং স্টাফদের মাধ্যমেই পরিচালনা করার ইচ্ছা বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার। সবকিছু ঠিক থাকলে ঈদের পর কোচিং স্টাফদের দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা। সংশয় কাটিয়ে টানা ১০ দিন খোশমেজাজে ব্যক্তিগত অনুশীলন করে যারপরনাই সন্তুষ্ট মুশফিকুর রহিম। জাতীয় দলের এই তারকা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান বলেই ফেলেছেন, দারুণ সময় কেটেছে। ঈদের পরও এমনভাবেই অনুশীলন করতে চান তিনি। আর যেহেতু কোনো সমস্যা হয়নি, তাই মুশফিকের আশা- ঈদের পর ব্যক্তিগত অনুশীলনে খেলোয়াড়ের সংখ্যাও বাড়বে। পাশাপাশি জাতীয় দলের পুরো বহর একসঙ্গে আবার হইচই করে প্র্যাকটিস শুরু করবেন, সে আশাও করছেন 'মিস্টার ডিপেন্ডেবল।' আস্তে আস্তে সবার মধ্যে ভয় কেটে যাচ্ছে। ফলে একটা প্রশ্ন অবধারিতভাবেই উঠছে- ঈদের পর কি এমন ব্যক্তিগত অনুশীলনই চলবে, না কি সবাই মিলে হোম অব ক্রিকেটে নামবেন জাতীয় দলের অনুশীলনে? এ প্রশ্নের উত্তর যার সবচেয়ে ভালো জানার কথা, সেই বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বললেন, 'ঈদের পরও এই ব্যক্তিগত প্র্যাকটিস অব্যাহত থাকবে। আর আপাতত জাতীয় দলের আনুষ্ঠানিক অনুশীলন শুরুর সম্ভাবনা নেই।'