ফিফা থেকে করোনা সহায়তা পাচ্ছে বাফুফে

প্রধান বিষয় খেলাধুলা পুনরায় শুরু করা। সেক্ষেত্রে যে প্রটোকলগুলো থাকে সেগুলো নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে এ অর্থটা ব্যবহার করা যেতে পারে। অথবা ডেভেলপম্যান্ট কার্যক্রমের জন্য, জাতীয় দল বা এ সংলগ্ন বিভিন্ন কার্যক্রম, অ্যাডমিনিস্ট্রিটিভ অ্যাকটিভিটিস, এ রকম ৬/৭টি বিষয় মোটা দাগে ফিফা উলেস্নখ করেছে। সেই সঙ্গে টাকা যেন এ সংক্রান্ত খাতগুলোতেই ব্যবহার করা হয় সে বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যভুক্ত দেশগুলোকে করোনা ফান্ড থেকে সহায়তা দিতে যাচ্ছে ফিফা। সেই সহায়তা পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও। বিষয়টি আগেই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। বৃহস্পতিবার তিনি জানালেন এবার ফিফা সার্কুলার দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে তাদের দেওয়া অর্থ সহায়তা কোন কোন খাতে কতটা ব্যবহার করতে হবে। অর্থ পেতে কী কী তথ্যউপাত্ত দিয়ে আবেদন করতে হবে সেটিও জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় সোহাগ জানিয়েছেন, 'ফিফা কাউন্সিল কর্তৃক ২৫ জুন যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ফিফা তাদের সদস্যভুক্ত ২১১টি দেশকে ১.৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার অর্থ সহায়তা দেবে। গতকাল (২৯ জুলাই) ফিফা সার্কুলার ১৭২৫ এর মাধ্যমে জানানো হয়েছে অর্থটা কোথায় কোথায় কীভাবে খরচ করতে হবে এবং অন্য নিয়মকানুন সম্পর্কে বিস্তারিত উলেস্নখ করা হয়েছে।' তবে এই অর্থ হাতে আসতে কিছু নিয়মকানুন মানতে হবে বাফুফেকে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সব বিষয় নিশ্চিত হওয়ার পরই ফিফা তাদের সদস্য দেশগুলোকে সহায়তা দেবে। এ বিষয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, 'ফিফা জানিয়েছে, ১ মিলিয়ন ইউএস ডলার প্রতি দেশকে দুই কিস্তিতে দেওয়া হবে। প্রথম কিস্তির টাকা সঠিক নিয়মনীতি মেনে খরচ করা হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে ফিফা দ্বিতীয় কিস্তির টাকাটা দেবে। তারা সর্বোচ্চ ৫ লাখ ডলার নারী ফুটবলের জন্য দেবে। কিন্তু সে বিষয়ে অবশ্যই প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত, ডেভেলপম্যান্টের কাগজপত্র এবং আবেদনপত্র তাদের পাঠাতে হবে। কোভিড-১৯ সহায়তা সংক্রান্ত ফিফার যে নির্ধারিত কমিটি আছে তাদের অনুমোদন পাওয়ার পর তাদের থেকে অর্থটা পাওয়া যাবে।' 'প্রধান বিষয় খেলাধুলা পুনরায় শুরু করা। সেক্ষেত্রে যে প্রটোকলগুলো থাকে সেগুলো নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে এ অর্থটা ব্যবহার করা যেতে পারে। অথবা ডেভেলপম্যান্ট কার্যক্রমের জন্য, জাতীয় দল বা এ সংলগ্ন বিভিন্ন কার্যক্রম, অ্যাডমিনিস্ট্রিটিভ অ্যাকটিভিটিস, এ রকম ৬/৭টি বিষয় মোটা দাগে ফিফা উলেস্নখ করেছে। সেই সঙ্গে টাকা যেন এ সংক্রান্ত খাতগুলোতেই ব্যবহার করা হয় সে বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।' জানান সোহাগ। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ঈদের পর সভায় বসবে বাফুফে। সেই সঙ্গে ফিফার সাথেও তারা আলোচনা করবে বলে জানিয়ে সোহাগ বলেছেন, 'এ বিষয়ে ঈদের পর অবশ্যই আমাদের ফাইন্যান্স কমিটির একটি সভা হবে। যেখানে আমরা এ সংক্রান্ত সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের স্টেকহোল্ডার যারা আছে, যেমন- বিভিন্ন ক্লাব, খেলোয়াড়, রেফারি, প্রশিক্ষক, অর্গানাইজার; যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের সবাইকে কীভাবে এর কভারেজের আওতায় আনা যায় এ ব্যাপারে আমাদের জোর প্রচেষ্টা থাকবে। এছাড়াও ঈদের পর ফিফার সঙ্গে জুমের মাধ্যমে আমাদের একটা ওয়েব মিটিং হবে। সেখানে আমরা এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আরও বেশি অবগত হতে পারব এবং আমাদের প্রধান প্রয়োজনগুলো আমরা সেখানে তুলে ধরতে পারব।' সোহাগ জানান, নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সভা করে ফিফার নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্যউপাত্তসহ ফিফার কাছে আবেদন করবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।