আবারও শুরু হচ্ছে টাইগারদের অনুশীলন

গেল মাসে আমরা যেভাবে করেছিলাম ঠিক একইভাবে এবারও একক অনুশীলন সেশন (৮ আগস্ট থেকে) শুরু হতে যাচ্ছে। তবে এবার আমরা অনুশীলনে আরও বেশি ক্রিকেটার প্রত্যাশা করছি। প্রথম পর্বে যেমন ছিল, তেমনই হবে। তবে ক্রিকেটারের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সাপোর্ট স্টাফও বাড়াতে হবে এবং (সুরক্ষা নিশ্চিত করার) ব্যবস্থাগুলো আরও কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।

প্রকাশ | ০৭ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তত্ত্বাবধানে গত মাসে দেশের বিভিন্ন ভেনু্যতে খেলোয়াড়দের একক অনুশীলন শুরু হয়েছিল। প্রথম পর্বের সফল সমাপ্তির পর আশা করা হচ্ছে যে, আরও অনেক ক্রিকেটার আগামী ৮ আগস্ট শনিবার থেকে মাঠে ফিরতে আত্মবিশ্বাসী। অর্থাৎ এবার অধিক সংখ্যক খেলোয়াড়ের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার বাড়তি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতে পারে ক্রিকেট বোর্ডকে। বাংলাদেশ জাতীয় দল ও বিসিবি হাই-পারফরম্যান্স দলের আগামী অক্টোবরে শ্রীলংকার মাটিতে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সফর দিয়ে চার মাসেরও বেশি সময় ঘরে বসে থাকার পর পুনরায় খেলা শুরু করতে পারেন ক্রিকেটাররা। কারণ বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপে গেল মার্চ মাসে দেশের সমস্ত ক্রিকেটীয় কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, 'গেল মাসে আমরা যেভাবে করেছিলাম ঠিক একইভাবে এবারও একক অনুশীলন সেশন (৮ আগস্ট থেকে) শুরু হতে যাচ্ছে। তবে এবার আমরা অনুশীলনে আরও বেশি ক্রিকেটার প্রত্যাশা করছি। প্রথম পর্বে যেমন ছিল, তেমনই হবে। তবে ক্রিকেটারের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সাপোর্ট স্টাফও বাড়াতে হবে এবং (সুরক্ষা নিশ্চিত করার) ব্যবস্থাগুলো আরও কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।' যদিও ক্রিকেটাররা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন, তবে দলগত অনুশীলন শুরু করার আগে আরও বেশ কিছু কাজ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন দেবাশীষ, 'যদি আমরা দলীয় অনুশীলন সেশন শুরু করতে চাই, তাহলে আমাদের একেবারে আলাদা পরিকল্পনা ও সেট-আপ নিয়ে এগোতে হবে। আমাদের একটি বায়ো-বাবল তৈরি করতে হবে এবং অন্যান্য লজিস্টিক সাপোর্টসহ স্কোয়াডকে একটি হোটেলে আইসোলেশনে রাখতে হবে।' তবে হিতে বিপরীত হওয়ার শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন বিসিবির এই প্রধান চিকিৎসক, 'আগামী অক্টোবরে সম্ভাব্য শ্রীলংকা সফরকে মাথায় রেখে এখনই এমন কিছু চালু করে দেওয়া মানে ক্রিকেটারদের প্রায় তিন মাস বাসা থেকে দূরে রাখতে হবে। তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিলে এটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।' চ্যালেঞ্জগুলো বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় দল রাজধানী ঢাকাতে অনুশীলন না-ও করতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, দেশ ছাড়ার আগেই কেবল তারা একত্রিত হবে এবং দীর্ঘসময় পর শ্রীলংকার মাটিতেই তাদের প্রথম দলীয় অনুশীলন সেশন অনুষ্ঠিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে করোনাকালে বিসিবির ব্যবস্থাপনায় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ব্যক্তিগত অনুশীলনে যোগ দিতে নিজ জেলা সাতক্ষীরা থেকে আগামী সপ্তাহে ঢাকায় ফিরবেন মুস্তাফিজুর রহমান। ফিরে মুশফিক-ইমরুলদের সঙ্গে নিজেকে ঝালিয়ে নেয়ার মিশন শুরু করবেন এই বাঁহাতি কাটার বয়। মুস্তাফিজ ঢাকা ছেড়েছিলেন মার্চ মাসে। ওই মাসের শুরুতে দেশব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানো শুরু করলে ১৬ মার্চ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ২০১৯-২০ মৌসুমে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে গাজী গ্রম্নপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে প্রথম রাউন্ডের খেলা শেষে ফিরে গিয়েছিলেন নিজের গ্রাম সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ থানার তেঁতুলিয়া গ্রামে। কেননা ওই ম্যাচ শেষে দেশের সব ধরনের ক্রিকেট বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ক্রিকেট ছিল না বিধায় করোনার এই লম্বা সময়টি তার কেটেছে সাতক্ষীরায়। প্রায় ৫ মাসেরও বেশি সময় ঘরে বসেই ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছেন 'দ্য ফিজ'। তবে এভাবে আর ঘরবন্দি হয়ে থাকাটা তার ভালো ঠেকছেন না। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ঢাকায় ফিরে ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু করবেন। বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমকে তিনি এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ প্রসঙ্গে মুস্তাফিজ বললেন, 'আগামী সপ্তাহে ঢাকায় আসব। এখনো দিন তারিখ ঠিক করিনি। এসে মিরপুরে মুশফিক ভাইদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন শুরু করব।' করোনাকালে ক্রিকেটারদের আগ্রহের প্রেক্ষিতে জুলাইয়ের ১৯ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৩ ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত অনুশীলনের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল বিসিবি। প্রথম পর্বের এই অনুশীলন এক সপ্তাহ চলেছে ঢাকার বাইরের তিন ভেনু্য চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনায়। আর ঢাকায় চলেছে ৯ দিন। এবার ঈদুল-আজহা শেষে আগামী ৮ আগস্ট শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয়ধাপের অনুশীলন।