করোনায় ম্যাচ আয়োজনে এএফসির নির্দেশনা

বিভিন্ন দেশে নিয়ম-কানুনগুলো মেনে সফলতার সঙ্গে খেলাগুলো আয়োজন করছে বা করেছে। সেগুলোসহ বিভিন্ন দেশের হেলথ মিনিস্ট্রি কর্তৃক যে নিয়ম-কানুনগুলো দেওয়া হয়েছে সে নিয়মগুলো আমলে নিয়ে এএফসি এ ম্যাচ অপারেশন্স প্রটোকলটি তৈরি করেছে।

প্রকাশ | ০৭ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও ম্যাচ আয়োজন ও অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। তবে তার জন্য বেশ কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। বাংলাদেশসহ এএফসির আওতায় থাকা এশিয়ার ৪৬টি দেশকেই এ পরিস্থিতিতে ম্যাচ আয়োজনের কিছু নির্দেশনা দিয়েছে এএফসি। বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। সোহাগ জানান, খেলা আয়োজনের জন্য এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতো বাফুফেকেও একটি গাইড লাইন পাঠিয়েছে এএফসি। এ বিষয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, 'এএফসি কর্তৃক এই কোভিড ১৯ সংক্রান্ত পরিস্থিতিতে খেলাধুলাগুলো আয়োজনের জন্য তারা একটি প্রটোকল দিয়েছে। যেটিকে বলা হচ্ছে 'এএফসি ম্যাচ অপারেশন্স প্রটোকল ডিওরিং কোভিড-১৯ প্যারামেডিক'। এই সময়ে কি নিয়ম-কানুন মেনে খেলা আয়োজন করতে হবে তেমন একটা গাইড লাইন তারা এক সপ্তাহ পূর্বে বিভিন্ন ফেডারেশনে পাঠিয়েছে। সেই আলোকেই আমাদেরকে আসন্ন ফিফা বিশ্বকাপ বাছাই এবং এএফসি কাপের খেলা যারা আয়োজন করবে তাদেরকে নিয়ম-কানুনগুলো মেনে আন্তর্জাতিক এই খেলাগুলো আয়োজন করতে হবে। এবং সেই নিয়ম-কানুন মেনে দলগুলোকেও খেলায় অংশগ্রহণ করতে হবে।' 'বিভিন্ন দেশে নিয়ম-কানুনগুলো মেনে সফলতার সঙ্গে খেলাগুলো আয়োজন করছে বা করেছে। সেগুলোসহ বিভিন্ন দেশের হেলথ মিনিস্ট্রি কর্তৃক যে নিয়ম-কানুনগুলো দেওয়া হয়েছে সে নিয়মগুলো আমলে নিয়ে এএফসি এ ম্যাচ অপারেশন্স প্রটোকলটি তৈরি করেছে।' যোগ করেন সোহাগ। সোহাগ জানান, প্রায় ৭০ পাতার একটি ডকুমেন্ট পাঠিয়েছে এএফসি। এর মধ্যে প্রধান যে বিষয়গুলো তারা গুরুত্ব দিয়েছে সেগুলো হচ্ছে, 'তিনটি সিনারিওতে এই খেলাগুলো কিভাবে আয়োজন করতে হবে। এর মধ্যে দর্শকবিহীন ম্যাচ, রেস্ট্রিকটেড ম্যাচ (যেখানে সীমিত সংখ্যক দর্শক থাকবে) এবং সাধারণ ম্যাচ আয়োজন করতে কোন বিষয়গুলো ফলো করতে হবে তা উলেস্নখ করেছে। প্রতিটি স্টেডিয়ামকে চারটি জোনে ভাগ করেছে। এই জোনগুলোতে দর্শকদের জন্য, ম্যাচ অফিশিয়ালদের জন্য, টিমের, মিডিয়া এবং টিভিক্রুরা কিভাবে কাজ করবে। এই জোনিংগুলো ফলো করে কার কার কি দায়িত্ব রয়েছে এবং কি প্রটোকল মেনে স্টেডিয়ামে আসতে হবে এবং দায়িত্ব পালন করতে হবে সে বিষয়গুলো উলেস্নখ রয়েছে।' 'এছাড়াও ম্যাচ ডে'তে কিভাবে লোকবল নিয়োগ করা হবে। স্টেডিয়াম কিভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে সে বিষয়ে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে। টিমের জন্য বেশ কিছু বিষয় উলেস্নখ রয়েছে। যেমন টিমগুলোকে আলাদা আলাদা সময়ে স্টেডিয়ামে আসতে হবে। আলাদা এন্ট্রি দিয়ে সম্ভব হলে তাদেরকে আলাদাভাবে ঢুকতে হবে, বের হতে হবে। যত কম সময়ের জন্য ড্রেসিং রুমে থাকা যায় সে বিষয়গুলো দলগুলোকে মাথায় রাখতে হবে। সাইড বেঞ্চে যখন ফুটবলাররা থাকবে তাদেরকে মাস্ক পরে থাকতে হবে। শুধু তাই নয়, এখানে কোনো হ্যান্ডসেক করা যাবে না। ফুটবলারদের জন্য হ্যান্ড সেনিটাইজারের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ম্যাচ অফিশিয়াল যারা থাকবে ম্যাচ কমিশনার থেকে শুরু করে রেফারি, টিম অফিশিয়াল যারা থাকবে তাদের মাস্ক পরে থাকতে হবে।' এই বিষয়গুলো উলেস্নখ করা আছে জানিয়েছেন সোহাগ। এই ম্যাচ অপারেশন্স প্রটোকলটা মেনে খেলায় অংশগ্রহণ করতে হবে বাংলাদেশকেও। এএফসির আওতায় এশিয়ার ৪৬টি দেশের জন্যই এ বিষয়গুলো প্রযোজ্য।