করোনার ছোবলে আতঙ্কিত নন ফুটবল কোচ

আমাদের হাতে যথেষ্ট সময় আছে। এর মধ্যে অনেকে করোনাভাইরাসমুক্ত হয়ে ফিরবে বলেই বিশ্বাস আমার। ভালো দিক হলো করোনা পজিটিভ হলেও কারও মধ্যেই করোনার উপসর্গ নেই। জেমি ডে

প্রকাশ | ০৮ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ শুরু হতে বাকি মাত্র ১০ সপ্তাহ। ক্যাম্প শুরু করতে না করতেই বড় ধাক্কা। জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ৩৬ ফুটবলারের মধ্যে ২৪ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জনেরই পজিটিভ রেজাল্ট এসেছে। তিন ভাগে জাতীয় দলের ফুটবলাররা যোগ দিচ্ছেন ক্যাম্পে। শেষ ভাগে আজ সিনিয়র ৭ ফুটবলারের করোনা পরীক্ষা করা হবে। তাদের মধ্যে কারো পজিটিভ পাওয়া গেলে আসন্ন লড়াইটা সত্যিই কঠিন হয়ে যাবে জেমির জন্য। তবে আতঙ্কিত না হয়ে অপেক্ষা করার পক্ষে জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে। অনুশীলনে ডাক পাওয়া ফুটবলারদের মধ্যে যে ২৪ জনের প্রথম দুই দিনে ক্যাম্পে ওঠার কথা ছিল তাদের মধ্যে ১১ জনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। সে হিসেবে জাতীয় দলের ফুটবলারদের মধ্যে করোনা আক্রান্তের হার ৪৫.৮৩ শতাংশ। প্রাথমিক ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ফুটবলাররা যে যার বাড়িতে থাকলেও কোচ জেমি ডে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রম্নপের মাধ্যমে সবার শরীরচর্চা ও খাওয়াদাওয়া পর্যবেক্ষণ করেছেন। তারপরও তাদের প্রায় অর্ধেকই করোনা পজিটিভ। বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে বাফুফে কর্মকর্তাদের। এখন সবাই তাকিয়ে আজকের ফলাফলের দিকে। কারণ আজ জাতীয় দলের ৭ সিনিয়র খেলোয়াড় রিপোর্ট করবেন। তারা হলেন- তৌহিদুল আলম সবুজ, মামুনুল ইসলাম মামুন, তপু বর্মন, আশরাফুল ইসলাম রানা, রায়হান হাসান, নাবিব নেওয়াজ জীবন ও ইয়াসিন খান। তাদের পরীক্ষা করার পর জানা যাবে ৩১ ফুটবলারের মধ্যে শেষপর্যন্ত কতজন উঠতে পারেন ক্যাম্পে। প্রাথমিকভাবে ডাকা ৩৬ জনের মধ্যে তিনজনকে ক্যাম্পে ছাড়েনি তাদের ক্লাব বসুন্ধরা কিংস। জামাল ভূঁইয়া ও তারিক রায়হান কাজী ইউরোপ থেকে আসতে পারছেন না ফ্লাইট সমস্যার কারণে। কোচ জেমি ডে'র হাতে থাকা ৩১ জনের মধ্য থেকে ইতোমধ্যে ১১ জন করোনায় আক্রান্ত। বাকি থাকা ৭ জনের মধ্যে কারও পজিটিভ ফল হলে জেমির কপালের দুশ্চিন্তার ভাঁজটা আরও মোটা হওয়ারই কথা। কিন্তু জেমি ডে এখনই এ নিয়ে আতঙ্কিত হচ্ছেন না। তার মতে, হাতে অনেক সময় আছে। এর মধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়ে ফিরবে- এ প্রত্যাশা নিয়েই অপেক্ষা করবেন এই ব্রিটিশ কোচ। আপনার ২৪ খেলোয়াড়ের মধ্যে ১১ জনেরই করোনা পজিটিভ। পরিস্থিতি বলছে আরও বাড়ার শঙ্কা আছে। নিশ্চয়ই দুশ্চিন্তায় আছেন? জেমির উত্তর, 'আসলে আমি এমনটি আঁচ করেছিলাম। কারণ বাংলাদেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভালো নয়। অবশ্যই এটা খারাপ খবর। তবে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।' প্রায় অর্ধেক ফুটবলারের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তারপরও আতঙ্কিত নন কেন? জেমির উত্তর, 'আমাদের হাতে যথেষ্ট সময় আছে। এর মধ্যে অনেকে করোনাভাইরাসমুক্ত হয়ে ফিরবে বলেই বিশ্বাস আমার। ভালো দিক হলো করোনা পজিটিভ হলেও কারও মধ্যেই করোনার উপসর্গ নেই।' এমন হতে পারে আশঙ্কা করেই বেশি খেলোয়াড় ডেকেছিলেন উলেস্নখ করে জেমি ডে বলেছেন, 'প্রথম ম্যাচ থেকে আমরা এখনো ১০ সপ্তাহ দূরে। আমাদের জন্য ৬ সপ্তাহ প্রয়োজন হবে খেলোয়াড়দের ফিট করতে। তাই আগামী এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে খেলোয়াড়রা সুস্থ হয়ে ফিরতে পারবে।' এ অবস্থায় নতুন কিছু খেলোয়াড় ডাকবেন কি না জানতে চাইলে জেমি ডে বলেন, 'দরকার হবে না। কারণ কাউকে ডাকলে তাদেরও একই অবস্থা হতে পারে। তাছাড়া আমি খুবই আশাবাদী, পজিটিভ হওয়া ফুটবলাররা তাড়াতাড়ি সেরে উঠবে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।' এ পর্যন্ত যাদের করোনা পজিটিভ তারা হচ্ছেন :বিশ্বনাথ ঘোষ, নাজমুল ইসলাম রাসেল, সুমন রেজা, ম্যাথিউস বাবলু, রবিউল হাসান, আনিসুর রহমান জিকু, শহিদুল আলম সোহেল, সোহেল রানা, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, সুশান্ত ত্রিপুরা ও টুটুল হোসেন বাদশা।