করোনা ঝুঁকিতে ফুটবল দল

সব ফুটবলারের আবারও করোনা পরীক্ষা কাল

প্রকাশ | ০৯ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাই সামনে রেখে বুধবার থেকে গাজীপুরের সারা রিসোর্টে শুরু হয়েছে জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্প। নেগেটিভ ফলাফল নিয়ে ক্যাম্পে যোগ দেওয়া ফুটবলারদের মধ্য থেকে আরও ৭ জনের ফলাফল পজিটিভ এসেছে। অথচ তারা আক্রান্ত নন এমনটা জেনেই সবাই একসঙ্গে ছিলেন সারা রিসোর্টে। যে কারণে এখন গোটা ক্যাম্পই আছে করোনা ঝুঁকিতে। তবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) বলছে, ফুটবলারদের আলাদাভাবেই রাখা হয়েছিল। শনিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ জানিয়েছেন সোমবার দুটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে সব ফুটবলারের আবারও দুবার করে করোনা পরীক্ষা করা হবে। জাতীয় দলের মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে প্রথম এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। জানতে চাইলে সংবাদ সম্মেলনে বাফুফের মেডিকেল কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলী ইমরান বলেছেন, 'আমাদের সব সময় চেষ্টা থাকে পজিটিভ ফলাফলগুলো তাড়াতাড়ি দেওয়ার। প্রথমে যে কয়েকজনের পরীক্ষা করেছিলাম প্রযুক্তিগত জটিলতার কারণে পরের কয়েকজনের রিপোর্টগুলো অন্য জায়গায় চলে যায়। যে কারণে তাদের নেগেটিভ ধরে নিয়েই সারা রিসোর্টে পাঠানো হয়। পরে রাতে যখন ওই ৭ জনের ফলাফল পজিটিভ হাতে পাই, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সারা রিসোর্টে যোগাযোগ করে বাকিদের আলাদা করার ব্যবস্থা করি।' গত দু'দিন ধরে ফুটবলাররা ওইখানে অনুশীলন করেছে। তাহলে কি জাতীয় দলের পুরো ক্যাম্পও করোনা আক্রান্ত হয়ে গেছে সারা রিসোর্টে? এমন প্রশ্নের উত্তরে কাজী নাবিল বলেছেন, 'সতর্কতার বিষয়ে আমরা কখনো ছাড় দেইনি। নেগেটিভ হওয়ার মানেই উন্মুক্তভাবে চলা যাবে সেটা বলিনি। দূরত্ব রক্ষার ব্যাপারটা প্রথম থেকেই ছিল। ক্যাম্প সংক্রমিত হয়েছে একবারে বলা যাচ্ছে না।' ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার আগে ফুটবলারদের নিজ উদ্যোগে করোনা পরীক্ষা করে আসার কথা ছিল। তাহলে কি ফুটবলাররা সেই নিয়ম মেনে যোগ দেননি। নাবিল বলেন, 'একমাত্র বিশ্বনাথের পজিটিভ ফলাফলটিই ছিল এ্যাপোলো হাসপাতালের। বাকি রিপোর্টগুলো নেগেটিভ ছিল। ২৪ জনের মধ্যে ৬ জন পরীক্ষা করে আসতে পারেনি। তারা এখানে আসার পর পরীক্ষা হয়েছে। ৬ জনের মধ্যে তিনজন পজিটিভ তিনজন নেগেটিভ হয়েছে।' '১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে সুস্থ হয়ে ফিরতে পারে ফুটবলাররা। তাদের শারীরিক পরিস্থিতি কি থাকে। প্রাকটিস করার জন্য ফিট কি না সেসব দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ৬ সপ্তাহ ক্যাম্প করলে যথেষ্ট। এমন সমস্যা হতে পারে চিন্তা করেই, ৫ তারিখ থেকে ধাপে ধাপে এনেছি। প্রাকটিস না খেলা জেতা আগে গুরুত্বপূর্ণ। ' যোগ করেন নাবিল। কিছু শঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছে। অন্য টিমগুলো খেলতে আসবে কি না। কাতারে গিয়ে বাংলাদেশকে খেলতে দিবে কি না? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেন জাতীয় দল কমিটির কো চেয়ারম্যান তাবিথ আউয়াল, 'বাস্তবতাটাকে আগে দেখতে হবে। ফলাফল অনেক জায়গা থেকে এসেছে। প্রথমে ১৮ জনের ফলাফল নেগেটিভ পেয়েছি। সোমবার আবার সবাইকে পরীক্ষা করা হবে। নিয়মিত আপডেট আমরা এএফসি, ফিফাকে জানাচ্ছি। এমন কোনো সিদ্ধান্ত আসার আগে অপেক্ষা করা উচিত। আমরা জানি, ১৪ দিন পর আমাদের সব আক্রান্ত ফুটবলার সুস্থ হয়ে যাবে। একজন বাদে কোনো ফুটবলারের সিম্পটমস নাই। একমাত্র জীবনের জ্বর আছে। সে নিজ বাড়িতে আলাদা আইসোলেশনে আছে। প্রত্যেক ফুটবলারই মানসিকভাবে শক্ত আছে।' এখন আমাদের ৭৫ ভাগ ফুটবলার আক্রান্ত। শোনা যাচ্ছে, প্রতিপক্ষরা খেলতে নাও চাইতে পারে। সেক্ষেত্রে খেলা পেছানোর কোনো চিন্তাভাবনা আছে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে নাবিল বলেছেন, 'ফিফা, এএফসি থেকে এখন পর্যন্ত এমন কোনো তথ্য পাইনি যেটা কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সতীর্থ দেশ যারা আছে তাদের অনুরোধ করব সোমবারের ফলাফলটি পর্যন্ত অপেক্ষা করি। স্বনামধন্য দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা করা হবে।'