নাপোলিকে হারিয়ে শেষ আটে বার্সা

প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শনিবার নাপোলির বিপক্ষে গোল করার পর যেন আকাশে উড়তে চাচ্ছিলেন লিওনেল মেসি -ওয়েবসাইট
লা লিগা যে রূপে শেষ করেছিল বার্সেলোনা, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ যেন শুরু করল ঠিক সেভাবে। একের পর এক আক্রমণে কাঁপিয়ে দিল নাপোলিকে। যথারীতি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন লিওনেল মেসি। ঘরের মাঠে জিতেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে জায়গা করে নিল কিকে সেতিয়েনের দল। প্রথম লেগে মূল্যবান অ্যাওয়ে গোলের কারণে ফিরতি লেগ গোলশূন্যভাবে শেষ হলেই চলত বার্সেলোনার। তবে নাপোলির বিপক্ষে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে কিকে সেতিয়েনের শিষ্যরা। প্রতিপক্ষের তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নিখুঁত শটে চোখ ধাঁধানো গোল করার পর পেনাল্টিও আদায় করে নেন মেসি। শনিবার রাতে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠ নু্য ক্যাম্পে ৩-১ গোলে জিতেছে বার্সা। স্প্যানিশ দলটির হয়ে একটি করে গোল করেন লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ ও ক্লেঁমো লংলে। নাপোলির হয়ে ব্যবধান কমান লরেন্সো ইনসিনিয়ে। চারটি গোলই হয় প্রথমার্ধে। ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলির মাঠে আগের লেগটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ আট নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনা। শেষ আটে জায়গা করে নেওয়া বার্সেলোনা কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে। শনিবার ম্যাচের শেষ দিকে মেসিকে স্রেফ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। দলও সে সময়ে ছিল পুরোপুরি রক্ষণাত্মক। তবুও সুবিধাটা নিতে পারেনি নাপোলি। মেলাতে পারেনি আরও ২ গোলের সমীকরণ। প্রথমার্ধে তিন গোল করা বার্সেলোনা ধরে রাখে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঘরের মাঠে অজেয় যাত্রা। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নু্য ক্যাম্পে বার্সেলোনার ম্যাচ মানেই তাদের আধিপত্য। আগের পরিসংখ্যান তেমনই তথ্য দেয়। টানা ৩৫ ম্যাচে অপরাজিত বার্সা। তাই শেষ ষোলোতে তাদের হারাতে হলে সেরাটাই দিতে হতো নাপোলিকে। কিন্তু নু্য ক্যাম্প তাদের সামনে দুর্গই থেকে গেল দ্বিতীয় লেগে। তারপরও দ্বিতীয় মিনিটে সুযোগ এসে যায় নাপোলির সামনে। চোট শঙ্কা কাটিয়ে শুরু থেকে খেলা ইনসিনিয়ের ক্রস দুজনের গায়ে লাগার পর ফাঁকায় পেয়ে যান ড্রিস মের্টেন্স। ঠিকমতো শট নিতে পারেননি তিনি, তবুও হতে পারত গোল। কিন্তু পোস্টে লেগে ফিরলে হতাশ হতে হয় সফরকারীদের। নাপোলির আক্রমণের ঝাপটা সামলে ধীরে ধীরে আক্রমণে যায় বার্সেলোনা। দশম মিনিটে এগিয়েও যায় স্বাগতিকরা। ইভান রাকিতিচের কর্নারে চমৎকার হেডে জাল খুঁজে নেন লংলে। দুর্দান্ত এক গোলে ২৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মেসি। সুয়ারেজের ক্রস পাওয়ার সময় তার সামনে ছিলেন নাপোলির দুই খেলোয়াড়, পরে যোগ দেন আরেকজন। ঘেরাও থেকে বল নিয়ে বের হতে গিয়ে পড়ে যান মেসি, তবুও নিয়ন্ত্রণ হারাননি। ততক্ষণে ছুটে আসেন প্রতিপক্ষের আরও কয়েক জন, তবুও কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট ঘেঁষে জাল খুঁজে নিতে কোনো সমস্যা হয়নি বার্সেলোনা অধিনায়কের।