সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
১০ শর্তে দেশে খেলাধুলা চালুর অনুমতি ক্রীড়া প্রতিবেদক করোনাভাইরাস মহামারির কারণে স্থবির হয়ে পড়া দেশের ক্রীড়াঙ্গন আবার সচল হতে যাচ্ছে। ১০টি শর্ত দিয়ে সীমিত পরিসরে খেলাধুলা ও অনুশীলন কার্যক্রম চালুর অনুমতি দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু প্রসঙ্গে সোমবার সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এক জরুরি সভা করেন। সভা শেষে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ১০টি শর্তে সীমিত আকারে খেলাধুলা আয়োজন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালুর বিষয়ে মতামত প্রদান করেছে। সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত দুই হাজার ৯০৭ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ৬০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছুঁইছুঁই। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া ১০ শর্ত দৃঢ়ভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন, 'বিশ্বের অনেক দেশে করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে। আমাদের দেশেও করোনা সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। এ প্রেক্ষিতে, আমরা খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালুর বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়ে পত্র প্রেরণ করি।' তিনি আরও যোগ করেন, 'স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ১০টি শর্তে সীমিত আকারে খেলাধুলা আয়োজন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালুর বিষয়ে মতামত দিয়েছে। এমতাবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক নির্ধারিত শর্তসমূহ প্রতিপালনপূর্বক দেশের সকল পর্যায়ে খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সীমিত আকারে চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমি সকলকে অনুরোধ করব, স্বাস্থ্যবিধি মেনে খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নিতে।' স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক সীমিত আকারে খেলাধুলা আয়োজন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালুর বিষয়ে আরোপিত শর্তাবলি হচ্ছে- খেলাধুলা শুরুর আগে খেলার মাঠ ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র চালুর পূর্বে মহামারি প্রতিরোধক সরঞ্জাম যেমন মাস্ক, গস্নাভস, জীবাণুনাশক এবং নন-কন্ট্যাক্ট ইনফারেড থার্মোমিটার সংরক্ষণ করে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কাজের পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। তদারকি ও বাস্তবায়নের দায়িত্বের জন্য একজনকে নির্দিষ্ট করলে ভালো হয়। সংশ্লিষ্ট সব কর্মীকে স্বাস্থ্যবিধি প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। সীমিত আকারে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ও খেলাধুলার আয়োজন করা যেতে পারে। খেলোয়াড়, প্রশিক্ষক, ম্যানেজমেন্ট কমিটি এবং খেলাধুলা সংশ্লিষ্ট সবার নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখতে হবে। ক্যাম্প শুরুর পূর্বে প্রয়োজনবোধে সবার কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা যেতে পারে। খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণকালীন ক্যাম্পে অবস্থানের সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে থাকার ব্যবস্থা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজার রেখে খাবার গ্রহণ ও খাবারের ব্যবহৃত থালা-বাসন পরিষ্কার ও জীনাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে। সম্ভব হলে ডিসপোজেবল পেস্নট ব্যবহার করাই ভালো। ধূমপানে নিরুৎসাহিত করতে হবে। খেলোয়াড়দের ঘুম, বিশ্রাম ও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি নজর রাখতে হবে। ডিজিটাল/অনলাইনের মাধ্যমে পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। খেলা ও প্রশিক্ষণের সময় ব্যক্তিগত পানির বোতল ও তোয়ালে ব্যবহার করতে হবে। ব্যক্তিগত সরঞ্জাম ও জামাকাপড় নিজস্ব ব্যাগে রাখতে হবে। টিসু্য, রুমাল বা অন্যান্য ব্যবহৃত উপকরণ যেমন পস্নাস্টার, ব্যান্ডেজ ইত্যাদি তাৎক্ষণিকভাবে উপযুক্ত পাত্রে (মুখবন্ধ ময়লার পাত্র) ফেলে দিতে হবে। অধিক জনসমাগম না করে সীমিত আকারে খেলাধুলার আয়োজন করা যেতে পারে। মাঠে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সময় দর্শকদের সারিবদ্ধভাবে পরস্পর থেকে এক মিটারেরও বেশি দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।