ক্যাম্প স্থগিত হওয়ায় হতাশ ফুটবলাররা

প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় স্থগিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ। যে কারণে বৃহস্পতিবার থেকে স্থগিত করা হয়েছে জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্পও। দীর্ঘদিন পর মাঠে ফেরার যে স্বপ্নটা দেখেছিলেন ফুটবলাররা সেটি আর পূরণ হলো না। কেউ নিজেই পজিটিভ আবার কেউবা সতীর্থদের পজিটিভ রেজাল্ট দেখে দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে চলে গেছেন নিজের বাসায়। করোনার এই কঠিন সময়ে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন জাতীয় দলের ফুটবলাররা। জানিয়েছেন নিজেদের অনুভূতির কথা। বাফুফের নির্দেশনা অনুযায়ী ৬ ফুটবলার বাদে বাকি সবাই করোনা পরীক্ষা করেই ক্যাম্পে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিল বাফুফে। সেই নেগেটিভ রেজাল্ট নেওয়া ফুটবলারদের অনেকেরই বাফুফে থেকে করানো প্রথম পরীক্ষাতে পজিটিভ ফল এসেছিল। ফলাফল নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দেওয়ায় দ্বিতীয় দফায় দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে আবারও সব ফুটবলার ও ক্যাম্পের অফিসিয়ালদের করোনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় বাফুফে। আগে যেখানে ফুটবলারসহ ১৯ জনের পজিটিভ রেজাল্ট এসেছিল। দ্বিতীয় পরীক্ষাতে সেটি কমে ৭ জনে নেমে আসে। পজিটিভ থেকে নেগেটিভ হওয়া এমনই একজন জাতীয় দলের ফুটবলার বিপলু আহমেদ। নেগেটিভ ফলাফল আসার পর বিপলু বলেন, 'আলহামদুলিলস্নাহ। আলস্নাহর রহমতে আমার করোনা নেগেটিভ ফলাফল এসেছে। আলস্নাহর কাছে হাজার শুকরিয়া। যারা আমার জন্য দোয়া করেছেন সবার প্রতি ভালোবাসা।' আরেক ফুটবলার ডিফেন্ডার সুশান্ত ত্রিপুরা প্রথম পরীক্ষায় তার ফলাফল পজিটিভ এলেও দ্বিতীয়বার নেগেটিভ হয়েছেন এই ফুটবলার। ফলাফল জানার পর সুশান্ত বলেছেন, 'বাফুফের তত্ত্বাবধানে দ্বিতীয় দফায় আমাদের দু'বার করে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আপনাদের সবার দোয়া ও প্রার্থনায় আমার করোনাভাইরাস নেগেটিভ হয়েছে। আমি শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছি। ধন্যবাদ জানাই আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের, যারা এই কঠিন সময়ে আমার পাশে ছিলেন। জাতীয় দলের ক্যাম্প স্থগিত ঘোষণা করলেও বুধবার এএফসি কাপ ২০২০-এর পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি প্রকাশ হয়েছে। বসুন্ধরা কিংসের হয়ে বড় এক লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামতে প্রস্তুত হচ্ছি। আপনাদের সবার দোয়া ও প্রার্থনা কামনা করছি।' যোগ করেন সুশান্ত। সোহেল রানা বলেন, 'গত সপ্তাহটা একটা কঠিন সময় গেছে আমার ও আমার পরিবারের জন্য। আলহামদুলিস্নাহ সেই অবস্থা থেকে মুক্ত হতে পেরেছি। দোয়া করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।' জাতীয় দলের অন্যতম গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানার প্রথম পরীক্ষাতেই নেগেটিভ ফলাফল এসেছিল। দ্বিতীয়বারও তার দুটি ফলাফলই নেগেটিভ এসেছে। এই ফুটবলার বলেন, 'আলস্নাহর রহমতে আপনাদের সবার দোয়ায় দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও আমার করোনা রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমার সতীর্থ যাদের ফলাফল পজিটিভ এসেছে তাদের সুস্থতার জন্য মহান আলস্নাহর কাছে সবাই দোয়া করবেন।' ডিফেন্ডার তপু বর্মণের ফলাফল প্রথম থেকেই নেগেটিভই এসেছে। তবে জাতীয় দলের জার্সিতে এ বছর বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচগুলো খেলতে না পারাতে মন খারাপ হয়েছে তার, 'এক বেদনাদায়ক অনুভূতি নিয়ে ক্যাম্প ছেড়ে এসেছি। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচগুলো খেলার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু এই করোনা ফিফা এএফসিকে বাধ্য করল ম্যাচগুলো পিছিয়ে দিতে। সিদ্ধান্তটা শুনে আমি কিছুটা দুঃখ পেয়েছি।'