রুদ্ধশ্বাস জয়ে সেমিতে পিএসজি

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম কোয়ার্টারফাইনালে বুধবার আটালান্টার বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে জয়সূচক গোল করায় এরিক মাক্সিম চুপো-মোটিংয়ের কাঁধে চড়ে বসেন পিএসজির ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার - ওয়েবসাইট

প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
উৎসবের সব আয়োজন প্রস্তুত ছিল। আর কয়েকটা মিনিট লিড ধরে রাখতে পারলেই প্রথমবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে- আটালান্টা। আর তাইতো ইতালিয়ান ক্লাবটির ডাগআউটে যখন এই অবস্থা, প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) ডাগআউট তখন ছেয়ে গেছে বিষাদে। কারণ ফরাসি ক্লাবটি তখনো পিছিয়ে ছিল। অথচ তিন মিনিটের ব্যবধানে পুরো দৃশ্যপটটাই গেল পাল্টে। উৎসবের নগরীতে পরিণত হলো প্যারিস, আর স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় নীল আটালান্টা। অবিশ্বাস্য প্রত্যার্বতনে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে নেইমার-এমবাপেদের দল পিএসজি। পর্তুগালের লিসবনে বুধবার রাতে এক লেগের কোয়ার্টার-ফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। নিজেদের ইতিহাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে উঠল পিএসজি। ১৯৯৫ সালে প্রথমবার সেমিফাইনালে খেলেছিল তারা। ৮৯ মিনিট পর্যন্ত লিড ধরে রাখা ইতালিয়ান ক্লাবটি শেষ তিন মিনিটের ঝড়ে বিদায় নিয়েছে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা থেকে। বিপরীতে শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে ১৯৯৫ সালের পর প্রথমবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে প্যারিসের ক্লাবটি। আরেকবার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার ঘোর শঙ্কা তৈরি হয়েছিল পিএসজির। ২৭ মিনিটে পিছিয়ে পড়ার পর কিছুতেই সমতায় ফিরতে পারছিল না। যদিও নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে সমতায় ফিরে খেলা অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করেছিল তারা। তবে সেই অপেক্ষায় আর থাকতে হয়নি ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের, ইনজুরি টাইমের তৃতীয় মিনিটের গোলে পৌঁছে যায় শেষ চারে। পর্তুগালের লিসবনে শুরু হওয়া ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল পিএসজির। কিন্তু সহজ সুযোগ নষ্ট করেন নেইমার। এরপর আরও একবার সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। তবে আটালান্টার মারিও পাসারিচ ভুল করেননি। দারুণ এক গোলে এগিয়ে নেন ইতালিয়ান ক্লাবটিকে। প্রথমার্ধে নেইমার ছাড়া আর কেউ আলো ছড়াতে না পারায় পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয় পিএসজিকে। দ্বিতীয়ার্ধেও তাদের আক্রমণে গতি না থাকায় সুবিধা করতে পারছিল না। বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি হয়েছিল, তবে গোল করার জন্য যথেষ্ট ছিল না। ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের আসল রূপ দেখা গেছে ৯০ থেকে ইনজুরি টাইমের তৃতীয় মিনিটে। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে মার্কিনিয়োসের গোলে সমতায় ফেরার পর অবিশ্বাস্য জয় নিশ্চিত করেন এরিক মাক্সিম চুপো-মোটিং। দুটো গোলেই আছে নেইমারের ছোঁয়া। প্রথমটিতে ছোট বক্সের সামনে থেকে নেওয়া ব্রাজিলিয়ান তারকার শট পায়ে ঠিকমতো না লাগলেও চলে আসে মার্কিনিয়োসের কাছে। একেবারে গোলমুখের সামনে থাকা ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড পায়ের আলতো ছোঁয়ায় জড়িয়ে দেন জালে। আর ইতিহাস গড়া দ্বিতীয় গোলটি নেইমারের চমৎকার পাস থেকে বক্সের ভেতর নিয়ন্ত্রণে নেন কিলিয়ান এমবাপে। ফরাসি ফরোয়ার্ডের ক্রস পায়ে লাগিয়ে ঠিকানায় পৌঁছে দেন ৩১ বছর বয়সি চুপো-মোটিং। সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা পিএসজি শেষ চারে খেলবে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ-আরবি লিপজিগের ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে।