বার্সার জালে বায়ার্নের ৮ গোল

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শুক্রবার বার্সার বিপক্ষে গোল করার পর টমাস মুলারকে ঘিরে সতীর্থদের উচ্ছ্বাস -ওয়েবসাইট
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে দুই হেভিওয়েটের লড়াইয়ে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে যেন পাত্তাই পেল না বার্সেলোনা। স্প্যানিশ ক্লাবটিকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছে জার্মান বুন্দেসলিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। তাইতো বলা যায়, দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলা বায়ার্নের সামনে স্রেফ উড়ে গেল বার্সা। ইচ্ছে হলেই যেন গোল করল হান্স ফ্লিকের দল। লিসবনে শুক্রবার রাতে কিকে সেতিয়েনের দলকে ৮-২ গোলে উড়িয়ে দিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে পা রাখল জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। বায়ার্নের হয়ে জোড়া গোল করেন টমাস মুলার ও ফিলিপে কুতিনহো। একটি করে গোলের দেখা পান রবার্তো লেভানদোভস্কি, সের্গে জিনাব্রি, ইভান পেরিসিচ ও জশুয়া কিমিচ। লিবসনে শুক্রবার রাতে ম্যাচের শুরু থেকে শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত বার্সেলোনার জালে একের পর এক বল জড়িয়ে গেল বায়ার্ন। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালে হাইভোল্টেজ ম্যাচের যে তকমা সেঁটে দেওয়া হয়েছিল এই ম্যাচটির গায়ে, সেটির ছিটেফোঁটাও টের পাওয়া গেল না। বরং একপেশে ম্যাচে বায়ার্নের আধিপত্যে লজ্জার সাগরে ডুবেছে বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে এটাই তাদের সবচেয়ে বড় হার। লিসবনের কোয়ার্টার ফাইনালের শুরু থেকে দারুণ আক্রমণাত্মক বায়ার্ন। বার্সেলোনাকে গুছিয়ে ওঠার সুযোগটাই দেয়নি তারা। চতুর্থ মিনিটে শুরু হওয়া গোল উৎসব চলেছে ৮৯ মিনিট পর্যন্ত। প্রথমার্ধেই বার্সা হজম করেছে ৪ গোল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে এই পরিস্থিতির সামনে কখনো পড়তে হয়নি তাদের। চতুর্থ মিনিটে টমাস মুলারের গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। তখনো আঁচ করা যায়নি সামনে কী অপেক্ষা করছে, কেননা সপ্তম মিনিটেই বার্সেলোনা সমতায় ফেরে ডেভিড আলাবা নিজেদের জালে বল জড়ালে। আত্মঘাতী গোলটাই হয়তো তাতিয়ে দেয় জার্মান চ্যাম্পিয়নদের। ২৭ মিনিটের মধ্যে স্কোরশিটে যোগ করে তারা আরও তিন গোল। ২১ মিনিটে ইভান পেরিসিচ, ২৭ মিনিটে সের্গে জিনাব্রির পর ম্যাচ ঘড়ির কাটা আধঘণ্টা পেরোনোর পর দ্বিতীয়বার বল জালে জড়ান মুলার। ৪-১ গোলে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করা বার্সেলোনা বিরতির পর ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল ৫৭ মিনিটে লুইস সুয়ারেজ জাল খুঁজে পেলে। কিন্তু তাতে যেন আরও ভয়ংকর হয়ে উঠল বায়ার্ন। ৬৩ মিনিটে জশুয়া কিমিচের গোলে ব্যবধান বাড়ে ৫-২। এরপর বার্সা থেকেই ধারে বায়ার্নে খেলা ফিলিপে কুতিনহোর ঝড়ে এলোমেলো কাতালানরা। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের পাস থেকে ৮২ মিনিটে গোল উৎসবে যোগ দেন রবার্তে লেভানদোভস্কি। আর ৮৫ ও ৮৯ মিনিটে দুইবার স্কোরশিটে নাম তোলেন কুতিনহো। এর খানিক পরেই খেলা শেষের বাঁশি বাজান রেফারি। অনেক আগেই হাল ছেড়ে দেওয়া বার্সেলোনার জন্য যা স্বস্তি হয়ে আসে। আর এই বিধ্বংসী জয়ে ১২তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বায়ার্ন। তাদের চেয়ে বেশি শেষ চারে খেলেছে কেবল রিয়াল মাদ্রিদ (১৩বার)।