শ্রীলংকা সফরে সাকিবকে চান বিসিবি সভাপতি

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় দীর্ঘদিন খেলার বাইরে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সেভাবে অনুশীলনও করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। তার ফিটনেস ফিরে পাওয়াকেই এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন নাজমুল হাসান। নিষেধাজ্ঞা শেষে শ্রীলংকা সফরের মাঝপথে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারকে দলে পাওয়ার আশা বিসিবি প্রধানের। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শনিবার নাজমুল হাসান জানান, নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তির দিন থেকেই দলে থাকতে পারেন সাকিব। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে ২৩ সেপ্টেম্বর শ্রীলংকা সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। প্রথম টেস্ট মাঠে গড়াবে ২৪ অক্টোবর। সব ঠিক থাকলে সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে ২৯ অক্টোবর। অর্থাৎ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পথ তৈরি হয়ে যাবে টাইগার অলরাউন্ডারের। এমন অবস্থায় শনিবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ইতিবাচক কথাই শুনিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে। নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেই এ অলরাউন্ডারকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের আশা করেন নাজমুল, 'সাকিবের সঙ্গে কী কথা হলো সেটা বলব না। এটুকু বলব যে যখনই যেদিন নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে তারপরই সে আমাদের সঙ্গে খেলতে পারবে। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা অধীর আগ্রহে বসে আছি সাকিব কবে দেশে আসবে। কিন্তু এটির সঙ্গে ফিটনেস, প্রস্তুতিরও একটা ব্যাপার আছে। সেজন্য সাকিব নিজের মতো অনুশীলন করবে।' 'এখন তো আমাদের সঙ্গে করতে পারছে না, নিষেধাজ্ঞা আছে বিসিবির অধীনে কারো সাথে করতে পারবে না। সেজন্য সে বিকল্প চিন্তাও করেছে, আমার সঙ্গে কথা বলেছে। এ মাসের শেষেই চলে আসবে। অনুশীলন করবে। আশা করছি সব ঠিক থাকবে ও ফিট থাকবে। আমাদের সঙ্গে শ্রীলংকায় যোগ দিতে পারবে ও খেলতে পারবে, যদি সব ঠিক থাকে।' নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেই কী সাকিব খেলতে পারবেন? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে দেশের ক্রিকেট মহলে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের মতো অধীর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু এখন সাকিব আল হাসান। কেন না, অক্টোবরের ২৪ তারিখ থেকেই শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-শ্রীলংকার তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। টাইগারদের শ্রীলংকা সফরে যোগ হওয়ার কথা তিনটি টি২০ ম্যাচও। যদিও এই সিরিজটি এখনো নিশ্চিত করেনি দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড। লঙ্গার ভার্সনে এখনই সাকিবের ফেরার আশা না করলেও টি২০তে ফেরার আশা করাই যায়। জুয়াড়ির কাছ থেকে তিন দফায় ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও তা গোপন করায় গত বছরের অক্টোবরে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পান সাকিব, যার মধ্যে এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। সব শর্ত মেনে চললে ২৯ অক্টোবরে পরই সাকিবের মাঠে নামার অনুমতি মেলার কথা আইসিসির তরফ থেকে।