এশিয়া কাপ জয়ের আশা করেন মাশরাফির

সবকিছু নিভর্র করে; আমরা কতটুকু তৈরি আছি টুনাের্মন্ট জেতার জন্য। আপনারা বললেন, বেশির ভাগ খেলোয়াড় বলছে টুনাের্মন্ট জিতব। আমি অবশ্য এই টাইপ কথা বলতে কখনোই পছন্দ করি না। তবে মনে করি অবশ্যই সামথ্যর্ আছে

প্রকাশ | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার মিরপুরে সংবাদ-সম্মেলনে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এশিয়া কাপ ভাবনা প্রসঙ্গে কথা বলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মতুর্জা এবং কোচ স্টিভ রোডস। আগামী রোববার দেশ ছাড়বে টাইগাররা। ১৫ সেপ্টেম্বর উদ্বোধনী ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা Ñবিসিবি
ক্রীড়া প্রতিবেদক টিম মিটিংয়ে সতীথের্দর মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিশ্বাস। অনুশীলনকালে পরামশর্ দিয়েছেন, দিয়েছেন অনুপ্রেরণা। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মতুর্জার এমন তৎপরতা টাইগার ক্রিকেটারদের মধ্যে ছড়িয়েছে আত্মবিশ্বাসের বাড়তি টনিক হয়ে। সবার কণ্ঠেই প্রতিধ্বনিত হয়েছে একটা কথা- এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। আরব আমিরাতে ১৫ সেপ্টেম্বর মহাদেশীয় ক্রিকেট শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই শুরুর আগে দেশের মাটিতে সবশেষ সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফির কণ্ঠেও থাকল শিরোপা জয়ের প্রত্যয়। গত কয়েক বছর ধরে ওয়ানডেতে দুদার্ন্ত খেলছে বাংলাদেশ। টাইগাররা দুদার্ন্ত খেলেছে সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও। যে কারণে এবারের এশিয়া কাপে তাদের ঘিরে সমথর্কদের প্রত্যাশার পারদ একটু বেশিই ঊধ্বর্মুখী। বড় স্বপ্ন দেখছেন সবাই। তাই শঙ্কাও জাগছে। ঊধ্বর্মুখী প্রত্যাশাই না আবার বাড়তি চাপ হয়ে দাড়ায়! মাশরাফি তাই বিষয়টা নিয়ে খুব বেশি ভাবতে নারাজ। তার ভাবনায় এখন প্রথম ম্যাচ, শ্রীলংকার বিপক্ষে ওই ম্যাচে ভালো করাই আপাতত প্রধান লক্ষ্য অধিনায়কের। এরপর ম্যাচ বাই ম্যাচ ধরে এগিয়ে যেতে চান চ‚ড়ান্ত লক্ষ্যে। এশিয়া কাপে অংশ নিতে আগামী রোববার দুবাই যাত্রা করবে বাংলাদেশ দল। বৃহস্পতিবার হয়েছে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন। সেখানে দলের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন মাশরাফি। দলের শক্তি-দূবর্লতার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। টাইগার অধিনায়ক মনে করছেন, কিছু ঘাটতি পুরণ করা গেলে এশিয়া কাপ জেতার সামথ্যর্ আছে তার দলের। বললেন, ‘সবকিছু নিভর্র করে; আমরা কতটুকু তৈরি আছি টুনাের্মন্ট জেতার জন্য। আপনারা বললেন, বেশিরভাগ খেলোয়াড় বলছে টুনাের্মন্ট জিতব। আমি অবশ্য এই টাইপ কথা বলতে কখনোই পছন্দ করি না। তবে মনে করি অবশ্যই সামথ্যর্ আছে।’ মাশরাফির মতে, বাংলাদেশ দলে লেগস্পিনার না থাকা এবং অন্য দলগুলোতে বিশ্বমানের লেগস্পিনার থাকায় কিছুটা পাথর্ক্য থেকে যাবে। ওই পাথর্ক্যটুকু যদি পারফমর্ করে পূরণ করা যায় তাহলে সবকিছুই সম্ভব, ‘যদি অন্য টিমের সঙ্গে তুলনা করেন, সব মিলিয়ে মনে হয় আমাদের থেকে ভালো টিম আছে ওখানে। খুব বেশি ব্যবধান আমার কাছে মনে হয় না। যদি অতটুকু গ্যাপ পূরণ করতে পারি, মনে হয় সবকিছু সম্ভব। প্রথম ম্যাচটা ভালো খেলে জিততে পারি কিনা, তার উপরই নিভর্র করছে অনেক কিছু।’ টানা তিনটি এশিয়া কাপ হয়েছে বাংলাদেশের মাটিতে। যার দুটিতে ফাইনাল খেললেও শিরোপার নাগাল পাওয়া যায়নি। এবার বিদেশের মাটিতে এশিয়া কাপ। তাই বাস্তবতা মেনেই সম্ভাবনা দেখতে চাইছেন মাশরাফি, ‘যদি দলগুলো দেখেন, ভারত অনেক অনেক ভালো টিম এখানে যারা খেলবে তাদের মধ্যে। পাকিস্তান হয়ত হোম টিম, তারা এখানে খেলছে কিছুটা তাদের সুবিধা আছে। রিস্ট স্পিনার যাদের আছে তাদের টিম বেশি সম্ভাবনা আছে। আমাদের সামথ্যর্ আছে তাদের হারানোর।’ মাশরাফির সামনে প্রশ্ন ছিল আগের দুটি আসরের সঙ্গে এবারের আসরের তুলনা প্রসঙ্গে। জবাবে তিনি বলেছেন, ‘প্রত্যেকটা খেলাই কঠিন। আগে যেগুলো খেলেছি সেগুলো কঠিন ছিল। এবারও কঠিন থাকবে। পরিস্থিতি অবশ্যই কঠিন হবে। ওখানে টিম হিসেবেও আমরা খেলিনি (দুবাই ও শারজায়) সেটাও একটা ব্যাপার। তারপরও আগে আমরা অনেক জায়গায় সফল হয়েছি, অনেক প্রশ্নবোধক চিহ্ন থাকার পরও।’ এবার সফল হওয়ার জন্য শুরুটাকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন মাশরাফি, ‘শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচটা গুরুত্বপূণর্, আমার কাছে তেমনই মনে হয়।’ আফগানিস্তান নামটি এলেই ঢুকিয়ে দেয়া হয় রশিদ খান নামক জুজুর ভয়। তবে আসন্ন এশিয়া কাপে আর এই জুজুতে ভয় পাচ্ছে না বাংলাদেশ। মাশরাফির মতে, এবারের ফরম্যাটটি ওয়ানডে হওয়ায় রশিদ খানের বিপক্ষে আরও সময় পাওয়া যাবে। যার ফলে টি২০’র মতো অতোটা ভয়ঙ্কর হতে পারবেন না এই লেগি, ‘রশিদ খান বিশ্বমানের স্পিনার। তবে আমি মনে করে টি২০তে আমাদের বিপক্ষে তার সফল হওয়ার কারণ ছিল, ২০ ওভারের খেলায় রানের তাড়া ও শটস খেলার তাগাদা থাকে। ওয়ানডেতে এটা থাকে না। দুই-তিন ওভার দেখেও খেলা যায়। তবু সে বিশ্বমানের স্পিনার।’