বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচনে হঠাৎই উত্তাপ। মনোনয়নপত্র বিতরণের শেষ দিনে হঠাৎই চমক দেখালেন সাবেক ফুটবলার এবং জাতীয় দলের সাবেক কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক ও আরেক সাবেক তারকা ফুটবলার বাদল রায়। যে কারণে এখন সরগরম বাফুফে ভবন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগটা আর থাকল না বর্তমান সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের। এছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে সালাম মুর্শেদীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সাবেক ফুটবলার আসলাম।
সোমবার ছিল মনোনয়নপত্র ক্রয়ের শেষ দিন। ওই দিন দুপুর পর্যন্তই অনেকটা নিশ্চিত ছিল সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই আবারও নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন কাজী সালাউদ্দিন। কিন্তু ওই দিন দুপুরে হঠাৎ করেই চমক দেখালেন শফিকুল ইসলাম মানিক। কোনো প্যানেল থেকে নাকি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মানিক সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছেন, তা আপাতত জানা যায়নি। মনোনয়নপত্র তোলার আগ পর্যন্ত কোথাও মানিকের নাম শোনা যায়নি, সভাপতি পদে নির্বাচন করা তো দূরের কথা। হঠাৎ করেই সোমবার দুপুরে বাফুফে ভবনে এসে সভাপতি পদে ১ লাখ টাকা দিয়ে মনোনয়নপত্র কিনেন সাবেক এই ফুটবলার এবং কোচ। এরপর জানা যায়, বাদল রায়ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সভাপতি পদে। সব মিলিয়ে এবার এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন প্রার্থী। মানিক এবং বাদল রায় মনোনয়নপত্র কেনার পরই সরগরম হয়ে উঠেছে বাফুফে ভবন। কারণ সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বী থাকা মানেই বাফুফে নির্বাচন জমে ওঠার বড় একটা সম্ভাবনা। বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি পদে কাজী সালাউদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং ক্রীড়া সংগঠক তরফদার রুহুল আমিনের। কিন্তু কিছুদিন আগে সভাপতি পদে নির্বাচন করা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি। তরফদার রুহুল আমিনের সরে যাওয়ার কারণে, চতুর্থবারের মতো বাফুফে সভাপতি হওয়ার পথে কাজী সালাউদ্দিনের সামনে আর কোনো বাধা ছিল না।
মনোনয়নপত্র বিতরণের শুরু থেকেই নিরুত্তাপ বাফুফে ভবন। সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন না হলে উত্তাপ থাকারই কথা নয়। কিন্তু হঠাৎ করেই দৃশ্যপট বদলে দিলেন সাবেক দুই ফুটবলার। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র কিনেছেন আরেক সাবেক ফুটবলার শেখ মোহাম্মদ আসলাম। ফলে নির্ভার থাকার সুযোগ রইল না সবশেষ সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদীর। শেষ পর্যন্ত আসলাম, মানিক ও বাদল রায় নিজের অবস্থানে অনড় থাকলে দুই বড় পদেও ভোটের লড়াই হবে। বাফুফের নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী সোমবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়। বাফুফের হিসাব শাখা থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি করা হয়েছে। মনোনয়নপত্রের মূল্য সভাপতি পদে ১ লাখ, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ৭৫ হাজার, সহ-সভাপতি ৫০ হাজার এবং সদস্য ২৫ হাজার টাকা করে। এ অর্থ অফেরতযোগ্য। মনোনয়নপত্র জমা আজ বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৫টা, আপত্তি ৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা, বাছাই ১১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টা থেকে, প্রত্যাহার মনোনয়নপত্র জমার পর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ১৩ সেপ্টেম্বর। রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ৩ অক্টোবর দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।