স্বপ্নের ফাইনালে নওমি

প্রথম জাপানিজ প্রমীলা তারকা হিসেবে কোনো গ্র্যান্ড ¯øাম এককের ফাইনালে উঠেছেন ২০ বছর বয়সী নওমি ওসাকা। আজ রাতে ফাইনালে ২৩ গ্র্যান্ড ¯øামজয়ী সেরেনা উইলিয়ামসের মুখোমুখি হবেন তিনি

প্রকাশ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড ¯øাম ফাইনালে ওঠার পর এভাবেই উচ্ছ¡াস প্রকাশ করেন জাপানিজ তারকা নওমি ওসাকা।
ক্যারিয়ার গঠনের ক্ষেত্রে প্রতিটি মানুষেরই একজন আইডল থাকে। সেরেনা উইলিয়ামসকে দেখে যেমন টেনিস তারকা হওয়ার সাধ জন্মেছিল জাপানের নওমি ওসাকার। ছোটবেলা থেকেই নওমি স্বপ্ন দেখতেন- একদিন কোনো গ্র্যান্ড ¯øামের ফাইনালে নিজের আইডলের মুখোমুখি হবেন। তার দীঘর্ লালিত স্বপ্ন অবশেষে সত্যি হতে চলেছে। বৃহস্পতিবার ম্যাডিসন কিসকে হারিয়ে ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠেছেন নওমি। যেখানে তার প্রতিপক্ষ সেরেনা, যিনি আনাস্তাসিয়া সেভাস্তোভাকে পরাজিত করে চার বছর পর এই আসরের ফাইনালের টিকিট কেটেছেন। ১৯৯৯ সালে যখন প্রথম গ্র্যান্ড ¯øাম জেতেন সেরেনা, নওমি তখন কেবল এক বছরে পা দিয়েছেন। এরপর আরও ২২টি মেজর শিরোপা ঘরে তুলেছেন মাকির্ন কৃষ্ণকলি। গড়েছেন উন্মুক্ত যুগে সবোর্চ্চ গ্র্যান্ড ¯øাম জয়ের ইতিহাস। আর একটা শিরোপা হলে মাগাের্রট কোটের্র গড়া রেকডর্টাও ছুঁয়ে ফেলবেন ৩৭ বছর বয়সী সেরেনা। অপেশাদার আর পেশাদার যুগ মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাগাের্রট জিতেছিলেন ২৪টি গ্র্যান্ড ¯øাম। বৃহস্পতিবার ইউএস ওপেনের প্রমীলা এককের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সেভাস্তোভাকে ৬-৩, ৬-০ গেমে উড়িয়ে সেই সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছেন মাকির্ন কৃষ্ণকলি। তবে ফ্লাশিং মিডোতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন নওমি। সেরেনার চেয়ে ১৭ বছরের ছোট এই জাপানিজ তারকা ইতিহাসের পাতায় ঠঁাই করে নিয়েছেন এদিন। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাডিসন কিসকে ৬-২, ৬-৪ গেমে হারিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড ¯øাম ফাইনালে উঠেছেন নওমি। অতীতে যা করে দেখাতে পারেননি কোনো জাপানিজ তারকা। আজকের ফাইনালে সেরেনাকে হারাতে পারলে নতুন ইতিহাস গড়বেন নওমি। যদিও শিরোপা জয়ের স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা সেটা বলা মুশকিল। অভিজ্ঞ সেরেনা অতীতে ছয়বার জিতেছেন ইউএস ওপেনের শিরোপা। সব মিলিয়ে তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৭২টি ট্রফি। নওমির অজর্ন বলতে গত বছরের ইন্ডিয়ান ওয়েলসের ট্রফি। তবে ২০ বছর বয়সী এই তারকা ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে সেরেনাকেই চেয়েছিলেন। ম্যাচ শেষে এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যখন আমি ছোট ছিলাম, সব সময় সেরেনার বিপক্ষে কোনো গ্র্যান্ড ¯øামের ফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখতাম।’ ১৯৯৮ সালে জাপানে জন্ম নিলেও তিন বছর বয়সে তার পরিবার চলে আসে নিউইয়কের্। বতর্মানে বাবা-মার সঙ্গে ফ্লোরিডায় বসবাস করছেন নওমি। সেরেনাকে দেখেই টেনিসে অনুপ্রাণিত হন তিনি। বিভিন্ন সময় মাকির্ন কৃষ্ণকলির প্রতি নিজের ভালোবাসা প্রদশর্ন করেছেন নওমি। ইউএস ওপেনের ফাইনালে ওঠার পর যেমন বলেছেন, ‘সেরেনা আমি তোমাকে ভালোবাসি।’ তবে শিরোপা নিধার্রণী লড়াইয়ে নিজের আইডলকে ছাড় দেবেন না বলেই জানিয়েছেন নওমি। বলেছেন, ‘তাকে আইডল নয়, প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখা উচিত আমার।’