নতুন জার্সিতে টাইগারদের অনুশীলন

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
রোববার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে নতুন জার্সি গায়ে প্রথমবার দলবদ্ধ অনুশীলন করেছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা -বিসিবি
করোনা মহামারির এই সময়ে ক্রিকেটাররা একক অনুশীলন করছেন দীর্ঘদিন ধরে। এবার দলগত অনুশীলন শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শ্রীলংকা সফর নিশ্চিত না হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে অনুশীলন শুরু করেছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। মূলত শ্রীলংকা সফরের প্রস্তুতি হিসেবেই এটির আয়োজন। নতুন জার্সিতে দীর্ঘ ১৯৮ দিন পর প্রথমবার দলবদ্ধ অনুশীলন করেছেন মুশফিক-তামিমরা। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে টাইগারদের স্কিল ট্রেনিং ক্যাম্প। হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন আর ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুকের তত্ত্বাবধানে দলবদ্ধ অনুশীলনের প্রথম দিন অতিবাহিত হয়েছে। ব্যাটিং কোচ ক্রেইগ ম্যাকমিলান মুমিনুলদের দায়িত্ব গ্রহণ করেননি। করোনা-পরবর্তী সময়ে প্রথমদিনের দলবদ্ধ অনুশীলনে নতুন চমক ছিল প্র্যাকটিস জার্সি। আগের আকাশি-নীলের পরিবর্তে নতুন জার্সিতে ছোঁয়া পেয়েছে সাদা ও কালোর মিশ্রণ। এই জার্সিতে বুক থেকে পেটের নিচের অংশ সাদা আর হাতের অংশ কালো। রোববার সকালে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে নতুন জার্সি গায়েই অনুশীলন করেন ক্রিকেটাররা। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে সেখান থেকে তাদের সোনারগাঁও হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। করোনা সতর্কতার অংশ হিসেবে রোববার থেকে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকবেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। সুরক্ষা বলয়ে থেকেই নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে যাবেন সবাই। শ্রীলংকা সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও নিজেদের পরিকল্পনায় অটল রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে স্কিল ক্যাম্পে ২৭ জন ক্রিকেটারকে ডাকা হয়েছে। ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ক্রিকেটারদের জন্য তৈরি করা হবে জৈব সুরক্ষা বলয়। রোববার থেকে তারা রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সুরক্ষা বলয়ের ভেতরে থেকেই অনুশীলন করতে হবে তাদের, যা চলবে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। কেউই টিম হোটেল ও মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বাইরে যেতে পারবেন না। জৈবসুরক্ষা বলয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় দেবাশীষ বলেন, 'করোনা সংক্রমণের এই সংকটকালে ক্রিকেটসহ বিশ্বের অন্যসব ক্রীড়া সংস্থাগুলো বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে ধীরে ধীরে খেলায় ফিরে আসছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নির্দেশনায় ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলো তাদের নিজস্ব পরিকল্পনার মাধ্যমে পেশাদার ক্রিকেটে ফিরছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিসিবি জৈব সুরক্ষিত পরিবেশের মাধ্যমে খেলায় অংশ নেওয়া ক্রিকেটারদের ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা করছে।' বিসিবির মেডিকেল টিমের তৈরি করা সুরক্ষা বলয়ের আওতায় থাকবে খেলোয়াড়দের হোটেল, রেস্টুরেন্ট, জিম, সুইমিংপুল, যানবাহন, মেডিকেল ট্রিটমেন্ট রুমসহ সবই। সেক্ষেত্রে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) কার্যক্রমই অনুসরণ করবে বিসিবি। এ প্রসঙ্গে দেবাশীষ বলেন, 'বাংলাদেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও কোভিড-১৯ বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে ইসিবি ও আইসিসির গাইডলাইন মেনে আমরা প্রত্যেক খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফকে দফায় দফায় করোনা পরীক্ষা করাব। সবার দেহে করোনার অনুপস্থিতি নিশ্চিত হয়েই আমরা তাদের এই বলয়ে নিয়ে এসেছি। শ্রীলংকা সফরের আগ পর্যন্ত আমরা এই বলয় মেনে চলার চেষ্টা করব।' গত ফেব্রম্নয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষে টেস্ট ম্যাচটি খেলেছিল বাংলাদেশ। সেই স্কোয়াডের ১৬ সদস্যের সবাই আছেন স্কিল ক্যাম্পের দলে। পাশাপাশি রয়েছে কিছু চমকও। ২০১৮ সালে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান ডাক পেয়েছেন। দলে আছেন বিসিবির লাল বলের চুক্তিতে না থাকা অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদউলস্নাহ। এছাড়াও খালেদ আহমেদকে ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে। যেসব ক্রিকেটার জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে অনুশীলন করছেন : মুমিনুল হক, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউলস্নাহ, সাদমান ইসলাম, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ মিঠুন, সৌম্য সরকার, তাইজুল ইসলাম, আল আমিন হোসেন, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, ইমরুল কায়েস, তাসকিন আহমেদ, নুরুল হাসান, শফিউল ইসলাম, ইয়াসির আলী, নাঈম হাসান, আবু জায়েদ রাহী, ইবাদত হোসেন, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোসাদ্দেক হোসেন, হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, সাইফ হাসান।