গাম্পার ট্রফি জিতল বার্সা

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
লা লিগা শুরুর আগে শনিবার এলচের বিপক্ষে গোল করায় গ্রিজমানকে ঘিরে বার্সার খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস -ওয়েসাইট
পাঁচ বছর পর লা লিগায় ফেরা এলচেকে হারিয়ে হুয়ান গাম্পার ট্রফি জিতেছে বার্সেলোনা। শনিবার রাতে নু্য ক্যাম্পে প্রাক মৌসুম প্রস্তুতি পর্বের শেষ ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে রোনান্ড কোম্যানের দল। ম্যাচের শুরুতেই একমাত্র গোলটি করেন আঁতোয়ান গ্রিজমান। নতুন মৌসুম শুরুর আগে এই নিয়ে তিন প্রস্তুতিমূলক ম্যাচের সবকটিই জিতল বার্সেলোনা। প্রথম প্রীতিম্যাচে জিমনাস্টিককে ৩-১ গোলে ও দ্বিতীয় ম্যাচে জিরোনাকে একই ব্যবধানে হারিয়েছিল তারা। ২০২০-২১ মৌসুম শুরুর আগে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচটিও জিতল বার্সা। এদিন রাতে গ্রিজমানের দেওয়া একমাত্র গোলের এই জয়ে টানা অষ্টমবারের মতো বার্সেলোনাকে জেতালো মৌসুম সূচক হুয়ান গাম্পার ট্রফি। ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সাবেক খেলোয়াড় ও সভাপতি হুয়ান গাম্পারের নামানুসারে মৌসুমের শুরুতে এই ম্যাচের আয়োজন করে বার্সেলোনা; এবার এই ট্রফির ৫৫তম সংস্করণ হলো। লিওনেল মেসি বাঁ প্রান্তে দুর্দান্ত এক পাস দিয়েছিলেন জর্ডি আলবাকে। আলবার ক্রস সরাসরি পায়ে পেয়ে দুই মিনিটের মধ্যেই গ্রিজম্যানের ফিনিশ। এত দ্রম্নত গোল করেও সংখ্যায় তা বাড়াতে পারেনি বার্সেলোনা। গ্রিজমানের সামনে সুযোগ এসেছিল আরও। সুযোগ পেয়ে ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং, আনসু ফাতিও কাজে লাগাতে পারেননি। মেসি ফ্রি-কিক উড়িয়ে মেরেছেন ক্রসবারের ওপর। নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যান আক্রমণাত্মক মানসিকতা দেখিয়েছেন প্রথম একাদশে মেসি, গ্রিজমান, ফিলিপে কুতিনহো এবং আনসু ফাতিকে রেখে। আক্রমণাত্মক ঝলকও অনেক দেখিয়েছে বার্সেলোনা। কিন্তু দুশ্চিন্তার ব্যাপার অ্যাটাকিং থার্ডে ফিনিশিং দুর্বলতা। এলচের একটির বিপরীতে লক্ষ্যে ১০টি শট রেখেও গোল মাত্র একটি। এত এত সুযোগ লা লিগার প্রতিটি ম্যাচেই আসবে না। সামনের রোববার ভিয়ারিয়ালের সঙ্গে নিজেদের শুরুর ম্যাচেই সেই উপলব্ধি বার্সার হয়ে যেতে পারে। প্রথম ৪৫ মিনিট পর বার্সার খেলায় ফিরে এসেছিল 'সেতিয়েন-লক্ষণ'; বলের দখলে প্রবলভাবে এগিয়ে থাকা, কিন্তু অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে আর খেই নেই। পাল্টা আক্রমণে ভয়ও ছড়িয়েছিল এলচে। বার্সেলোনার রক্ষণ প্রচুর ফাঁকা জায়গা দেয় তাদের, কিন্তু অনভিজ্ঞ প্রতিপক্ষের সামনে স্রেফ পার পেয়ে গেছে। সেভিয়া-ভ্যালেন্সিয়ার মতো দল পিকে- লেংলেকে ছাড়বে না। ঘণ্টাখানেক পরই কোম্যান বদলি নামান তিনজনকে। বুসকেটস ও গ্রিজমানের জায়গায় নামেন মিরালেম পিয়ানিচ ও ফ্রান্সিসকো ত্রিঙ্কাও। ফাতির বদলে ওসমান ডেম্বেলে। এরপর মাঠে শুধুই লাল-নীল জার্সির ঝলক। মনে হচ্ছিল দ্বিতীয় গোলটা সময়ের ব্যাপার। অসাধারণ সেভ করে ত্রিঙ্কাওকে গোল পেতে দেননি এলচে গোলকিপার এডগার বাদিও। একেবারে শেষদিকে বার্সা গোলকিপার নেটোও একটা সেভ করে সমতা ফেরাতে দেননি প্রতিপক্ষকে।