সা ক্ষা ত কা র

নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে সালাউদ্দিন

আগামী নির্বাচনে আবারও সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। আবার দায়িত্বে এলে কী কী কাজ করতে চান। প্রতিপক্ষের বিভিন্ন অভিযোগ আর ফুটবল উন্নয়নে নিজের পরিকল্পনা সম্পর্কে যায়যায়দিনের সঙ্গে একান্তে কথা বলেছেন দেশের ফুটবলের অন্যতম জনপ্রিয় সাবেক ফুটবল তারকা সালাউদ্দিন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিবেদক মাহবুবুর রহমান

প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
কাজী মো. সালাউদ্দিন
যায়যায়দিন : আবার নির্বাচিত হলে কোন কাজগুলো করতে চান আপনি? সালাউদ্দিন : ফুটবল তো আর একদিনে হয় না। যে কাজগুলো হয়েছে। এটার ধারাবাহিকতা ঠিকভাবে চালিয়ে যেতে হবে। যায়যায়দিন : বারো বছরে কোন কাজটা করা হয়নি বলে আপনি মনে করছেন? সালাউদ্দিন : যে কাজগুলো হিউম্যানলি সম্ভব, অর্থনৈতিকভাবে সম্ভব সেগুলোর সবগুলোতেই আমরা টাচ করেছি। যেটা করতে আমাদের একটু সমস্যা হচ্ছে, যেমন ডেভেলপমেন্টের কাজগুলোতো ক্লাবের। ক্লাবগুলো যতক্ষণ ধরে ডেভেলপ না করবে, ততক্ষণ ধরে এটি একটি সমস্যা হয়ে থাকবে। ক্লাবের সঙ্গে আমরা কাজ করছি। ক্লাবও বুঝতে পারছে ওদেরও এই জিনিসটা করা দরকার। এটা পার্টনারশিপে করতে হবে। যায়যায়দিন : আরেকটা বিষয় হচ্ছে এখন তো পরিস্থিতি বদলে গেছে। করোনার এই সময়ে ফুটবলটাকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়াটা কত বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে আপনি মনে করছেন? সালাউদ্দিন : এটা একটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। ২০০৮ এ এসে যে চ্যালেঞ্জে পড়েছিলাম। সেই চ্যালেঞ্জেই আবার গেলাম। তাতে অবশ্যই ফুটবলটা একটু পিছে পড়ে যাবে। কারণ অন্য দেশগুলো খেলছে। আমরা এখনো পারিনি শুরু করতে। আমরা চেষ্টা করছি নভেম্বর থেকে খেলা শুরু করতে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সবার সহায়তা লাগবে। যায়যায়দিন : ফুটবলের উন্নয়নে সাবেক ফুটবলার ও কোচদের মতামত নেওয়াটা কতটা জরুরি? আপনি সেটা নেন কি না? সালাউদ্দিন : কেউ যদি আমাকে পরামর্শ দেয়। নেবো না কেন? না নেওয়ার তো কোনো কারণ নেই। তাতে যদি ফুটবলের লাভ হয়। অবশ্যই নেবো। যায়যায়দিন : আগামী বার এলে ভিশন ২০২২ থাকবে? সালাউদ্দিন : আপনি যেটাই করতে চান সেটা তো সব সময় হয় না। আমাদের ভিশন থাকবে যেন আমরা এশিয়াতে একটা ভালো অবস্থানে থাকতে পারি। যায়যায়দিন : আপনার তিন মেয়াদে জাতীয় দলের তেমন বড় কোনো সাফল্য নেই। এর কারণ কী বলে আপনি মনে করেন? সালাউদ্দিন : এটা সহজ ব্যাপার। ফুটবলের একেকটা জেনারেশন আছে। এখন যে জাতীয় দলটা। আমরা গবেষণা করে দেখলাম। ৫০ বছরের স্বাধীনতায় গত ১০ বছরের জাতীয় দলের ফলাফল আগের ৪০ বছরের থেকে ভালো। পত্রিকায় যাই বলুক, টকশোতে যাই বলুক। কিন্তু আপনি যখন দেখেন তখন এই রেজাল্টটাই বেটার রেজাল্ট। এটা নতুন করে শুরু হয়েছে। নতুন প্রজন্ম। আমি মনে করি, এই প্রজন্ম আগামী ৫ বছরে আরও উন্নতি করবে। যায়যায়দিন : এই দলটা তো ভালো। কিন্তু আপনি আবার আসতে না পারলে আপনার স্থানে অন্য কেউ এসে এই দলটা তো ধরে রাখতে নাও পারে। এই ব্যাপারে আপনি কোনো পদক্ষেপ নিয়েছেন? সালাউদ্দিন : এ বিষয়ে আমি কোনো কমেন্ট করতে চাই না। যায়যায়দিন : আর কতবার দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছা আছে আপনার? সালাউদ্দিন : আমি ফুটবলের জন্য কাজ করি। কাজে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। এটা আমি মোকাবিলা করি। কারণ ফুটবলটা আমি ভালোবাসি। এখন ভবিষ্যৎ তো আমি বলতে পারব না। যায়যায়দিন : তিনবার নির্বাচিত হয়েছেন। অনেকের মতে সেটা আপনার জনপ্রিয়তার জন্যই। আবার কারও কারও মতে, যারা আপনাকে ভোট দেন সেই কাউন্সিলররা আপনার কেনা লোক। তারা আপনার নিজের লোকই। এ বিষয়ে আপনার ব্যাখ্যা কী? সালাউদ্দিন : ১৩৯ জন কাউন্সিলর। ৭০টা জেলা। ৭০টা ক্লাব। আমার এত বড় ক্ষমতা কোত্থেকে হবে যে, আবাহনীর কাউন্সিলর আমি বানাব? বসুন্ধরার কাউন্সিলর আমি বানাব? শেখ রাসেলের কাউন্সিলর বানাব। আমার তো ক্ষমতা নেই যে, নোয়াখালীর বা বগুড়ার কাউন্সিলর বানানো। তাদের বলার কাজ বলে। কাউন্সিলর যদি আমি কন্ট্রোলই করতে পারতাম তাহলে তো আর আমার নির্বাচন করতে হয় না। এটা কেউ পারবে না করতে। এই সিস্টেমই নেই। যায়যায়দিন : ফেসবুকে একটা বিষয় দেখলাম। 'হ্যাসটেগ সালাউদ্দিন আউট' এটা কারা করছে বলে আপনি মনে করেন? সালাউদ্দিন : আমার নাম কাজী সালাউদ্দিন। সেখানে একজন লিখেছে কাজী সালাউদ্দিন আহমেদ। লেখার পর ১০০০টা মতামত এসেছে ওইটাই। ১০০০ জন লোকই কি আমার নাম ভুল বলবে! তার মানে বোঝা যাচ্ছে একই পস্নাটফর্ম থেকে এই জিনিসটা হচ্ছে।