যায়যায়দিন: আন্তর্জাতিক যে টুর্নামেন্টটা হচ্ছে। অনলাইনে কি এরকম টুর্নামেন্ট এবারই প্রথম? নাকি আগেও হয়েছে?
শামীম : অনলাইনে বাংলাদেশ কখনো করেনি। এটা কিন্তু দাবা ফেডারেশন করছে না। সাউথ এশিয়ান চেস কাউন্সিলের ব্যানারে হচ্ছে। এর স্পন্সর হলো কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি। লজিস্টিক সবকিছু আমরা সহায়তা করছি। কারণ সাউথ এশিয়ান চেস কাউন্সিলের যিনি সভাপতি তিনি আমাদের ফেডারেশনেরও সভাপতি।
যায়যায়দিন: কতটি দেশের কতজন প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছে এই টুর্নামেন্টে?
শামীম: আমাদের ১৭ জন জিএম, ১৫টা দেশের ৭৪ জন অংশগ্রহণ করছে। ৭৪ জনই নিশ্চিত করেছে। আমরা ৭৩ জনের নাম পাঠিয়ে দিয়েছি। একজন খালি রেখেছি। কারণ হঠাৎ করে বড় কোন জিএম যদি খেলতে আগ্রহ দেখায় যাতে তাকে নেয়া যায়।
\হ
যায়যায়দিন: আমাদের প্রতিযোগীদের নিয়ে আপনারা কতটা আশাবাদী?
শামীম: এখানে ভারতের সূর্য শেখর গাঙ্গুলী সে এই টুর্নামেন্টে এক নাম্বার রেটের খেলোয়াড়। ভিয়েতনাম, ইরানসহ বিভিন্ন দেশ যোগ দিচ্ছে। আমাদের তিনজন গ্র্যান্ড মাস্টার অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ফাহাদ রহমান অনলাইন অলিম্পিয়াডে ভালো করেছিল। আমরাও মোটামুটি আশাবাদী। এটি একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক টুর্নামেন্টই হচ্ছে।
যায়যায়দিন: অনলাইনে দাবা টুর্নামেন্ট আমাদের দেশে নতুন একটি বিষয়। তাই পাঠকদের জানার আগ্রহ আসলে এ ধরনের টুর্নামেন্ট কিভাবে হচ্ছে? যারা এখানে অংশ নিচ্ছেন তারা কি ফেডারেশনে এসে অনলাইনে খেলবেন?
শামীম: না, এখানে আসলে প্রতিযোগীরা যার যার বাসা থেকেই অনলাইনের মাধ্যমে অংশ নেবেন।
যায়যায়দিন: করোনাতে আর কোনো টুর্নামেন্ট কি করেছে দাবা ফেডারেশন?
শামীম: এর মধ্যে করা হয়নি। আমরা পুরো বছরের একটা পঞ্জিকা করেছি। এই মাসেই আমাদের জাতীয় জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ ছিল। আমরা মন্ত্রণালয়ের একটা অনুমতির জন্য চিঠি দিয়েছি। অনুমতিটা পেয়ে গেলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যা যা টুর্নামেন্ট করা যায়, স্বল্প পরিসরে আমাদের প্রধান টুর্নামেন্টগুলো করা যায় কিনা তা আবার আমাদের সভা করে সিদ্ধান্ত নেব।
যায়যায়দিন: এই টুর্নামেন্টগুলো কি স্বশরীরে উপস্থিতির মাধ্যমে হবে নাকি অনলাইনে?
শামীম: এই টুর্নামেন্টগুলো স্বশরীরে উপস্থিতিতে হবে।
যায়যায়দিন: এগুলো ছাড়া আমাদের আর কোনো টুর্নামেন্ট আছে?
শামীম: আমাদের নেই। আমাদের একটা অনলাইনে খেলা আছে। আগামী ১০ তারিখ থেকে এশিয়া ন্যাশনকাপ বলে ছেলেদের ৫ জন মিলে একটা টিম। মেয়েদের ৭ জন মিলে একটা টিম। আমাদের এখানে মোটামুটি যারা অনলাইনে অভিজ্ঞ এবং জাতীয় পর্যায়ে ভালো করছে ৪ তারিখের মধ্যেই তাদের নাম দিয়ে দেব।