যায়যায়দিন : খেলার মাঠ ছেড়ে হঠাৎ নির্বাচন করার চিন্তা মাথায় আসার কারণটা কী?
আমের খান : ফুটবল নিয়ে কাজের ক্ষেত্র অনেক আছে। সবাই কাজ করছে। আমারও ইচ্ছা ফুটবলের উন্নয়নে কিছু করার। আর সে জন্যই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত।
যায়যায়দিন : নির্বাচিত হলে কোন কোন বিষয় নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আছে?
আমের খান : দীর্ঘদিনের অবস্থান থেকে ফুটবলেরর্ যাংকিংটাকে আরও ওপরে ওঠানোর যতটুকু যা করা দরকার, সেটা করা। পাইপ লাইন সৃষ্টি করার জন্য তৃণমূলে নজর দিতে হবে। পাইওনিয়র ফুটবল লিগ, প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ এবং তৃতীয় বিভাগ ফুটবলটাকে টোটাল মনিটরিং করে চলমান করতে চাই। কারণ, এই লেভেল থেকে অনেক ফুটবলারই উঠে এসে মাঝপথে হারিয়ে যায়। কারণ, সবাই তো আর এক রকম প্রতিভার হয় না। যখন কোনো একটা লিগ অনিয়মিত হয়ে যায়, তখনই এমন হয়। সেটা যেনো আর না হয়।
যায়যায়দিন : তাহলে আপনারা তৃণমূল নিয়ে যে চিন্তাটা এখন করছেন, সেটা কি আগে করেছেন? যেহেতু আপনি একটা ক্লাবের সঙ্গে আছেন। সেখানে তো কাজ করার সুযোগ আছে।
আমের খান : আমাদের একটা পাইওনিয়র টিম আছে, সেটার নাম হলো গফুর বেলুচ স্মৃতি সংসদ। এরপর তৃতীয় বিভাগে লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব ছিল, যেটা গত দুই বছর ধরে দ্বিতীয় বিভাগে খেলছে। প্রথম বিভাগে আছে বাংলাদেশ বয়েজ ক্লাব। আমরা এই তিন স্থান থেকে ফুটবলার নিয়ে প্রতিবছরই ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবে প্রিমিয়ার লিগে ৪-৫ জন ফুটবলার রাখি।
যায়যায়দিন : কাজী সালাউদ্দিনের ১২ বছরের দায়িত্বে কোন কাজটা করতে পারেননি বলে আপনি মনে করেন?
আমের খান : আসলে আমরা তো ফেডারেশনে কাজ করিনি। আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারব না, ফেডারেশনে কোনো কিছুর অভাব অনুভব করছে। উনি বললেন যে, টাকা নাই, তাই জিম করতে পারিনি। এটুকু শুনলাম। কিছু কিছু ক্ষেত্র আছে, যেটা আমরা বাইরে থেকে অনেক কিছু জানি না। তবে যতটুকু বুঝি, কাজের যদি আন্তরিকতা থাকে, সব কিছুই সম্ভব। সেটা জানার জন্যই আসলে আমার এই ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। বাফুফেতে আসলে কি রসদ আছে, সেটা জানতে চাচ্ছি। সে জন্য সদস্য হতে হবে আমার।