অলিম্পিকের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে ইন্তেখাবুল হামিদ অপু

সম্প্রতি গঠিত হয়েছে বাংলাদেশ শু্যটিং স্পোর্টস ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি। দায়িত্ব নেওয়ার পর এখন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে এই কমিটি। করোনার কারণে এ বছর কোনো প্রতিযোগিতা নেই। আগামী বছর জুনের টোকিও অলিম্পিককে সামনে রেখে শুরু করতে হয়েছে দীর্ঘস্থায়ী ক্যাম্প। এছাড়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ আমদানিসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে হাত দিতে হবে। দ্রম্নতই নির্বাচনও করে ফেলার প্রত্যাশা। দৈনিক যায়যায়দিনকে এমনটাই জানিয়েছেন ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ অপু। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিবেদক মাহবুবুর রহমান।

প্রকাশ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
করোনার এই সময়ে কোনো প্রতিযোগিতা কি করেছেন? অপু : না। এই সময়ে কোনো প্রতিযোগিতা করিনি। এখন সবধরনের প্রতিযোগিতাই বন্ধ আছে। তবে বিওএ চিঠি দিয়ে আমাদের জানিয়েছে আগামী বছর জুনে টোকিও অলিম্পিককে সামনে রেখে ট্রেনিং ক্যাম্প শুরু করতে। এই প্রতিযোগিতাটি এ বছর জুনে হওয়ার কথা ছিল। করোনার কারণে এক বছর পিছিয়ে গেল। মোট কয়জনকে নিয়ে ক্যাম্প শুরু করেছেন? অপু : অলিম্পিকের ক্যাম্পে মোট ছয়জন শুটার আছে। এর মধ্যে চারজন সলিডারিটি গেমসের। অন্য দুজন হলেন বাকি ও দিশা। টোকিও অলিম্পিক শুরু হবে আগামী বছর জুনে। তার মানে ওই পর্যন্তই আপনাদের প্রস্তুতি ক্যাম্প চালিয়ে যেতে হবে? অপু : সামনে এখন এই একটাই প্রতিযোগিতা। তাই এটাকেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। করোনার কারণে আমাদের বিদেশে যে টুর্নামেন্টগুলো হতো সেগুলো সব বন্ধ। আর কোনো সিডিউলও এখনো দেয়নি। তাই অলিম্পিককে সামনে রেখেই দীর্ঘ সময় ধরে ক্যাম্প চালিয়ে যেতে হবে। লকডাউন না হলে এই ক্যাম্পটা চলমান থাকবে। ৬ শু্যটারের অস্ত্র ব্যবহার-সংক্রান্ত যে সমস্যা হয়েছিল। সেই ঝামেলা কি কেটেছে? অপু : সেই ঝামেলা খুব দ্রম্নতই কেটে যাবে বলে আশা করছি। আমরা এনবিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কাস্টমসের সঙ্গেও কথা বলেছি। তারা খুবই পজিটিভ। ডকুমেন্টশনের কাজ চলছে। সেটি শেষ হলেই হয়তো রিলিজ দিয়ে দেবে। শু্যটিং নিয়ে আপনাদের আগামী দিনের পরিকল্পনা কী? অপু : আগামী দিনে খুব দ্রম্নত এনবিআরের এই ঝামেলামুক্ত হতে চাই। অস্ত্র আমদানি বরাদ্দের সরকারি যে অনুমতি থাকে সেটি শেষ হয়ে গেছে। নতুন করে সেটি করতে হবে। তাছাড়া ফান্ড আনতে হবে। কারণ ট্রেনিং ক্যাম্প করতে হলে তো অস্ত্র আর গোলাবারুদ লাগবে। ইউরোপ বন্ধ হয়ে গেছে। শীতে আমদানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই এগুলো তাড়াতাড়ি করে আমাদের আনতে হবে। নতুন কমিটির এগুলোই বড় চ্যালেঞ্জ। এই অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ কতদিনের? কবে নাগাদ আপনারা নির্বাচন করতে চান? অপু : এই কমিটির কোনো নির্ধারিত মেয়াদ নেই। তবে আমরা চেষ্টা করব যত দ্রম্নত সম্ভব নির্বাচন দিতে।