পাকিস্তানেও বিধ্বস্ত ভুটান

প্রকাশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
গোলের পর উচ্ছ¡াসে মেতেছেন পাকিস্তানি ফুটবলাররা। শনিবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ভুটানকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে সেমিফাইনালের আশা টিকিয়ে রেখেছে তারা Ñসৌজন্য
বাংলাদেশ আর নেপালের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পর গ্রæপে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছেও বিধ্বস্ত হয়েছে ভুটান। এবার ৩-০ গোলে হেরেছে তারা। বিদায় নিয়েছে আসর থেকে। অপরদিকে ভারতের (‘বি’ গ্রæপ থেকে) পর দ্বিতীয় দল হিসেবে সাফ সুজুকি কাপের সেমিফাইনাল প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে পাকিস্তান (‘এ’ গ্রæপ থেকে)। তিন ম্যাচে দুই জয় আর এক হারে ৬ পয়েন্ট তাদের। টাফের্ যে ভুটান বাংলাদেশ দলের জন্য অজেয় হয়ে উঠেছিল, ঘাসের মাঠে তারা যেন অন্য এক দল। সাফে নিজেদের সামথর্্য প্রমাণে পুরোপুরি ব্যথর্ হয়েছে দলটি। শনিবার ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিয়েছে পাকিস্তান। যদিও লড়াই করেছে ভুটান। তবে কাক্সিক্ষত গোলের দেখা পায়নি তারা। গোটা আসরেই ভুটান গোলশূন্য, বিপরীতে গোল হজম করেছে ৯টি। ফলে পত্রপাঠ বিদায়। প্রথম দুই ম্যাচে হারের পরও ক্ষীণ আশা ছিল। পাকিস্তান সেটা একেবারেই শেষ করে দিয়েছে। নবম মিনিটে গোল পাওয়ার মতো একটি আক্রমণ শানিয়েছিল পাকিস্তান। সাদ্দাম হোসেনের ক্রস হাসান বশির হেড করলে লাফিয়ে উঠে বল ক্লিয়ার করেন ভুটান গোলরক্ষক। তবে গোল পেতে খুব বেশি সময় অপেক্ষায় থাকতে হয়নি পাকিস্তানকে। ২২ মিনিটে সাদ্দাম হোসেনের হেড থেকে বক্সে বল পেয়ে ভুটানের ডিফেন্ডারের ভুলে ডান পায়ের শটে গোল করে তাদের ম্যাচে লিড এনে দেন মোহাম্মদ রিয়াজ (১-০)। ছয় মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করে পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিয়াজের লম্বা পাস বক্সে পেয়ে ডান পায়ের দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন হাসান বশির (২-০)। ৪০ মিনিটে হাসান বশিরের পাসে বল পেয়ে জোরালো শট নেন রিয়াজ। কিন্তু পাকিস্তানের তৃতীয় গোলে বাদ সাধে বার পোস্ট। বল বারে লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। প্রথমাধের্ এগিয়ে থেকেই বিশ্রামে যায় পাকিস্তান। দ্বিতীয়াধের্র শুরুতে একটা আক্রমণ শানিয়েছিল ভুটানিরা। ৫০ মিনিটে থেসরিং দজির্র পাসে বল পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে বঁা পায়ের শট নেন কেনচু টবগে। কিন্তু তার শট আটকে দেন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডাররা। ৫৬ মিনিটে আক্রমণে যায় পাকিস্তান। বক্সের প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে সাদ্দাম হোসেনের ডান পায়ের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এর কিছুক্ষণ পরই চোখি ওয়াংচোখের ক্রসে বক্সের বাইরে থেকে কাবিখার জোরালো শট অল্পের জন্য জড়ায়নি জালে। ৬৯ মিনিটে আরও একটা প্রচেষ্টা চালান চেনচো গেইলশেন। এবারও বলের জোগানদাতা ছিলেন ওয়াংচোখ। তবে এ যাত্রাও গোল করতে ব্যথর্ হয় তারা। কিছুক্ষণ পর চেনচোর বাড়ানো পাসে বল পেয়ে বক্সের মাথা থেকে শট নেন কবি রাই। ডিফেন্ডারদের বাধার মুখে গোল আদায় করে নিতে পারেননি। ৮০ মিনিটে জিশান রহমানের ডান পায়ের শটে গোল হতে পারত। কিন্তু লক্ষ্যে স্থির থাকতে পারেননি পাকিস্তানের এই ডিফেন্ডার। ৮২ মিনিটে টিসেন্ডা দজির্র বাড়িয়ে দেয়া বলে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের শট নেন চেনচো গেইলশেন। কিন্তু তার শট আটকে দেন পাকিস্তানের গোলরক্ষক। পরের মিনিটেই আরও একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন ভুটানে কবি রাই। দ্বিতীয়াধের্ পাকিস্তানের থেকে বেশি আক্রমণ শানায় ভুটানিরা। কিন্তু শেষ হাসিটা হেসেছে পাকিস্তানই। ইনজুরি টাইমে (৯০+১) আরও একবার ভুটানের জালে বল পাঠায় পাকিস্তান। মোহাম্মদ আলির ক্রসে বল পেয়ে বক্সের মধ্য থেকে বঁা পায়ের দশর্নীয় শটে গোল করেন বদলি হিসেবে নামা মিডফিল্ডার ফাহিম আহমেদ (৩-০)। ম্যাচের এমন সময়ে গোল হজমের পর ভুটানের ম্যাচে ফেরটা প্রায় অসম্ভব ছিল। কারণ তখন মাত্র ৩ মিনিট ইনজুরি টাইম বাকি আছে। সে কারণেই হয়তো গোল করেই দারুণ উদযাপনে মাতে পাকিস্তান শিবির। শেষ পযর্ন্ত এই ব্যবধানেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে পাকিরা।