ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ তারকার জন্ম দেয়!

প্রকাশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
আরও একবার ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ উপভোগের সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। আসন্ন এশিয়া কাপে আরব আমিরাতে চলতি মাসের ১৯ তারিখে মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী দুই দল। ওই ম্যাচ ঘিরে দিনকে দিন উত্তেজনার পারদ চড়ছে। পাকিস্তানের মিডল অডার্র ব্যাটসম্যান শোয়েব মালিক এত উন্মাদনার মাঝেও বলে দিলেন, ‘এটা কেবল আরেক ম্যাচ।’ পাশাপাশি এটাও স্বীকার করে নিয়েছেন, নতুন নতুন তারকার জন্ম দেয় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। ক্রিকেট রোমান্টিকদের কাছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই বিশেষ কিছু। ম্যাচ ঘিরে খেলোয়াড়দের মধ্যে বিরাজ করে উত্তেজনা। থাকে বাড়তি চাপ। মালিক মানছেন বিষয়টা। তাই বলছেন, ‘আমার ভাবনায়, ভারতের বিপক্ষে এই ম্যাচটা আর দশটা ম্যাচের মতোই এবং অবশ্যই আমাদের এই উন্মাদনা এড়িয়ে চলতে হবে, যেটা অপ্রয়োজনীয় চাপ বাড়ায়।’ বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না, সেই চাপ প্রশমন করতেই শুক্রবার লাহোরে সংবাদমাধ্যমকে এমনটা বলেছেন মালিক। মালিকের মতে, এমন ম্যাচ তরুণদের জন্য বড় উপলক্ষ। ভবিষ্যতের তারকা হয়ে ওঠার মঞ্চ, ‘যদিও ক্রিকেট বিশ্বের অন্য সবাই এটাকে একটা ক্রিকেট ম্যাচ হিসেবেই দেখে। তবে ভারত আর পাকিস্তানের সমথর্করা তেমনটা নয়। এটাই বড় সুযোগ করে দেয় খেলোয়াড়দের, যদি তারা নায়ক হতে চায়।’ ঠিকই বলেছেন মালিক। ফখর জামানকেই দেখুন না। গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ১০৬ বলে ১১৪ রানের ইনিংস খেলে কেমন তারকা বনে গেছেন। বঁাহাতি ওপেনার ফখর এখন পাকিস্তান দলের অপরিহাযর্ সদস্য। দেশের পক্ষে ওয়ানডেতে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হঁাকিয়েছেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে মালিকের রেকডর্ও বেশ ভালো। ওয়ানডেতে নিজের ৯ সেঞ্চুরির চারটিই এই ডানহাতি করেছেন ভারতের বিপক্ষে। এর দুটো আবার এশিয়া কাপে। সবমিলে এখন পযর্ন্ত ভারতের বিপক্ষে ৩৯টি ম্যাচ খেলেছেন মালিক। তাতে ৪৭.৪৫ গড়ে রান করেছেন ১ হাজার ৬৬১। এবারের এশিয়া কাপ হচ্ছে আরব আমিরাতে। দীঘির্দন ধরে সেখানেই নিজেদের হোম সিরিজগুলো খেলছে পাকিস্তান। বিষয়টাকে নিজের এবং দলের জন্য বাড়তি সুবিধা হিসেবেই দেখছেন মালিক। যদিও মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে টেস্টের তুলনায় ওয়াডেতে পাকিস্তান কিছুটা অনুজ্জ্বল। মালিক তবুও আশাবাদী, আসন্ন এশিয়া কাপে ভালো করবে তার দল, ‘আরব আমিরাতে খেলা আমাদের বাড়তি সুবিধা দেবে। তবে লোকে যতটা সহজ ভাবছে এটা ততটা সহজ হবে না। আমাদের এখানকার রেকডর্ যদি দেখা হয়, টেস্ট ক্রিকেটেই ভালো। যখন সীমিত ওভারের ফরম্যাটের খেলাগুলোর হিসাব আসে, আমাদের পারফরম্যান্স মোটেও অসাধারণ কিছু নয়।’