জোকোভিচ নাকি দেল পোত্রো?

প্রকাশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
ফাইনালে ওঠার পর জোকোভিচ
পারলেন না রাফায়েল নাদাল। শরীরের বিরুদ্ধে গিয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলো না তার। টানা দুই সেটে পরাজিত হওয়ার পর নিজেকে সরিয়ে নিলেন বতর্মান চ্যাম্পিয়ন। হুয়ান মাটির্ন দেল পোত্রোকে তাই আর কষ্ট করতে হলো না। পুরো ম্যাচ না খেলেই আজের্ন্টাইন তারকা ওঠে গেলেন ইউএস ওপেনের ফাইনালে। যেখানে আজ রাতে তিনি মুখোমুখি হবেন দুইবারের চ্যাম্পিয়ন নোভাক জোকোভিচের। এই প্রথম কোনো গ্র্যান্ড ¯øামের ফাইনালে দেখা হচ্ছে দুই তারকার। অতীতে মাত্র একবারই গ্র্যান্ড¯øাম জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন দেল পোত্রো। ২০০৯ সালে তার প্রথম ও শেষ সাফল্য এসেছিল এই ইউএস ওপেনেই। সেবারও সেমিফাইনালে দেল পোত্রো হারিয়েছিলেন নাদালকে। এরপর ফাইনালে পঁাচ সেটের মহাকাব্যিক লড়াইয়ে রজার ফেদেরারকে পরাজিত করে জেতেন আরাধ্য শিরোপা। কিন্তু কব্জির ইনজুরির কারণে সম্ভাবনাময় এই তারকার ক্যারিয়ার শেষ হতে বসে। ২০১০ সালে দু’বার অস্ত্রোপচার করা হয় তার কব্জিতে। এরপর গত ৮ বছরে কোনো গ্র্যান্ড¯øাম ফাইনাল খেলতে পারেননি দেল পোত্রো। এবার সুখস্মৃতি বিজড়িত ইউএস ওপেন দিয়েই ‘নতুন শুরু’ হলো ২৯ বছর বয়সী আজের্ন্টাইন তারকার। দেল পোত্রো যে নিজেকে ফিরে পেতে শুরু করেছেন, তার আভাস মিলেছিল এবারের ফ্রেঞ্চ ওপেনে। ৫ বছর পর কোনো গ্র্যান্ড¯øামের সেমিফাইনালে ওঠেছিলেন। ফ্লাশিং মিডোতে তিনি অংশ নেন তৃতীয় বাছাই হিসেবে। সেমিফাইনাল পযর্ন্ত প্রতিটি ম্যাচেই খেলেছেন দুদার্ন্ত। তবে নাদালের বিপক্ষে তিনি ফেভারিট ছিলেন না। ১৭ গ্র্যান্ড¯øাম জয়ীর বিপক্ষে তার রেকডর্ যে খুব একটা ভালো ছিল না। তবে দিনটি তারই ছিল। প্রথম সেটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ৭-৬ (৭/৩) গেমে জিতে এগিয়ে যান দেল পোত্রো। এরপর হঁাটুর ইনজুরির কারণে দ্বিতীয় সেটে আর নিজের সেরাটা দিতে পারেননি নাদাল। এই সেটে ৬-২ গেমে হেরে যান তিনি। এরপর আর খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি আসরের বতর্মান চ্যাম্পিয়ন। জোকোভিচ অবশ্য পুরো তিন সেট জিতেই নিশ্চিত করেছেন ক্যারিয়ারের অষ্টম ইউএস ওপেন ফাইনাল। জাপানের কেই নিশিকোরিকে তিনি হারিয়েছেন ৬-৩, ৬-৪, ৬-২ গেমে। এমন জয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেছেন জোকোভিচ। ১৩টি গ্র্যান্ড ¯øামের মালিক এখন ফ্লাশিং মিডোতে নিজের তৃতীয় সাফল্য তুলে নিতে মুখিয়ে আছেন। এর আগে উইম্বলডন জিতেছেন। ফলে ইউএস ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে দারুণ একটা বছর কাটবে তার। এখন পযর্ন্ত ১৮ বার কোটের্ মুখোমুখি হয়েছেন জোকোভিচ-দেল পোত্রো। ১৪টিতেই জিতেছেন জোকোভিচ। সবের্শষ ২০১৬ রিও অলিম্পিকের ফাইনালে দেল পোত্রোকে হারিয়ে সোনা জিতেছিলেন সাবির্য়ান তারকা। সবমিলিয়ে আজকের ফাইনালে ফেভারিট ভাবা হচ্ছে তাকেই। দেল পোত্রোও এগিয়ে রাখছেন জোকোভিচকে, ‘আমরা দু’জনই জিততে চাই। তবে নোভাক (জোকোভিচ) ইতোমধ্যেই উইম্বলডন জিতেছে। সে খুব ভালো খেলছে। কাজেই রোববারের ফাইনালে সে ফেভারিট।’ তবে জোকোভিচের ধারণা, যেই জিতুক না কেন জমজমাট একটা ম্যাচই হতে যাচ্ছে ফ্লাশিং মিডোতে, ‘সে বড় ম্যাচের খেলোয়াড়। আমি মনে করি, একটা উত্তেজনাকর ম্যাচ হতে যাচ্ছে।’