মন্তব্য পাওলিনহোর

ফুটবলের বিস্ময় কুতিনহো!

বড় ধন্যবাদটা দেয়া দরকার কুতিনহোকে। সে দারুন একটি অ্যাসিস্ট করেছে। ফুটবলের বিস্ময় হচ্ছেন কুতিনহো। তার জন্যই আমি গোলটি করতে সক্ষম হয়েছি।

প্রকাশ | ২৯ জুন ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রাজিলের একমাত্র গোলটি করেছিলেন ফিলিপে কুতিনহো। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে কোস্টারিকার বিপক্ষেও একটি গোল করেছিলেন বাসেের্লানার এই তারকা মিডফিল্ডার। সাবির্য়ার বিপক্ষে বুধবারের গুরুত্বপূণর্ ম্যাচেও দলের জয়ে অবদান রেখেছেন তিনি। এদিন নিজে গোল করতে না পারলেও গোল করিয়েছেন পাওলিনহোকে দিয়ে। সেই পাওলিনহো ম্যাচ শেষে কুতিনহোকে আখ্যা দিলেন- ‘ফুটবলের বিম্ময়’। রাশিয়ায় ষষ্ঠ শিরোপার মিশনে ব্রাজিলের শুরুটা হয়েছিল হেঁাচট খেয়ে। কুতিনহোর গোলে প্রথমাধের্ এগিয়ে গিয়েও সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ড্র করে তারা। কোস্টারিকার বিপক্ষে দল যখন গোলের জন্য হাপিত্যেশ করে মরছিল, ইনজুরি সময়ে ত্রাতা হয়ে হাজির হয়েছিলেন কুতিনহো। এরপর থেকেই প্রশংসায় ভাসছেন এই মিডফিল্ডার। তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন ব্রাজিলের সাবেক দুই তারকা রিভালদো আর কাকা। এবার তাদের দলে যোগ দিলেন পাওলিনহো, ‘আমি সবসময়ই খেয়াল রাখি কখন জায়গা পাওয়া যাবে আর গোল করা যাবে। নিজের প্রথম গোলটি আমি এভাবেই পেয়েছি। এজন্য সব থেকে বড় ধন্যবাদটা দেয়া দরকার কুতিনহোকে। সে দারুণ একটি অ্যাসিস্ট করেছে। ফুটবলের বিস্ময় হচ্ছেন কুতিনহো। তার জন্যই আমি গোলটি করতে সক্ষম হয়েছি।’ টটেনহ্যাম হটস্পার ছেড়ে চীনে পাড়ি জমিয়ে জ্বলে উঠতে না পারায় সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিল পাওলিনহোকে। বতর্মানে বাসেের্লানাতে খেলা এই মিডফিল্ডারই সাবির্য়ার বিপক্ষে ব্রাজিলকে এগিয়ে নেন। সমালোচনার মুখে কখনো আত্মবিশ্বাস হারাননি বলেও জানান ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নিবাির্চত হওয়া পাওলিনিহো, ‘নিজের প্রতি আমার আত্মবিশ্বাস আছে। আমার চীনে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন ছিল। এরপর যখন বাসেের্লানাতে এলাম, আবারও প্রশ্ন উঠল। কিন্তু আমি এখানেও একই কাজ করছি, আমার সতীথের্দর সাহায্য করছি। কারণ সবাই আমার খেলার বৈশিষ্ট্য জানে।’ ম্যাচসেরা হওয়ার দিকে তার কোনো নজর ছিল না, ছিল শুধু দলের জয়ে লক্ষ্যÑ বললেন পাওলিনহো, ‘আমার কাছে গুরুত্বপূণর্ হচ্ছে দলের জয় এবং নকআউট পবের্ ওঠা। ম্যাচ সেরা হওয়ার ব্যাপারটা আসলে যারা ভোট দিয়েছেন তাদের বিষয়; এটা নিয়ে আমার ভাবনা নেই। এখন শুধু আমার সব ভাবনা হচ্ছে একটু একটু করে জাতীয় দলকে আমার সবটুকু উজাড় করে দেয়া। এবার আমাদের সেই লক্ষ্যটা অজর্ন করতে হবে।’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘আমার পর থিয়াগো সিলভা গোল করেছেন। দুজনের গোল আমাদের শেষ ষোলোতে পৌঁছে দিয়েছে। এদিন গোলবারের নিচে অ্যালিসন আর ডিফেন্সে সিলভা-মিরান্ডা দারুণ পারফমর্ করেন। আমি বলতে পারি তারা আমাদের ডিফেন্সকে দুগর্ বানিয়ে রেখেছিল। তারা ডিফেন্সে দঁাড়িয়েছিল দানব পরিচয়ে।’ দ্বিতীয়াধের্ ব্রাজিলের রক্ষণে একাধিকবার ভীতি ছড়ায় সাবির্য়া। কিন্তু কাক্সিক্ষত গোলের দেখা পায়নি দলটি। ব্রাজিলের হয়ে এদিন দ্বিতীয় গোলটি করা থিয়াগো সিলভা জানালেন, এসব পরিস্থিতি সম্পকের্ আগেই জানতেন তারা, ‘নিদির্ষ্ট কিছু মুহূতের্ আমরা বিপদে পড়েছিলাম। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূণর্ হলো যখন আমরা জানতাম আক্রমণের সময় কীভাবে তা সামলানো যায়। এটা বিশ্বকাপ; অন্য দলেরও মান আছে। কিন্তু জানতে হবে কীভাবে প্রতিক‚ল পরিস্থিতি সামলাতে হবে।’ ব্রাজিলের রক্ষণভাগে সিলভার সঙ্গী মিরান্ডা প্রশংসা করেছেন সতীথের্দর। শেষ ষোলোর প্রতিপক্ষ মেক্সিকোকে সমীহ করলেও তাদের বিপক্ষে জয়ের আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করেছেন সাবির্য়ার বিপক্ষে ব্রাজিলকে নেতৃত্ব দেয়া এই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার, ‘আমাদের রক্ষভাগের খেলোয়াড়দের অভিনন্দন। তারা দারুণ পারফমর্ করেছে। নকআউট পবের্ ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ মেক্সিকো ভালো দল, খুব গতিময় দল। তাই আমাদেরকে বাধাটা পার হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ম্যাচটা খেলতে হবে।’