ফরাসিদের দুশ্চিন্তার নাম ‘মেসি’

মেসি আজেির্ন্টনাকে বেশ কয়েকবার বঁাচিয়েছে। যখনই তারা হারতে বসেছে, মেসি হাজির হয়েছে তাদের উদ্ধারকতার্ হয়ে। তাকেসহ আজেির্ন্টনা কঠিন প্রতিপক্ষ। তার এত এত ফুটবলীয় গুণাবলি থাকার কারণেই আমি সেটা বুঝতে পারছি Ñস্যামুয়েল উমতিতি

প্রকাশ | ২৯ জুন ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
শনিবার কোয়াটার্র ফাইনাল নিশ্চিত করার মিশনে নামবে আজেির্ন্টনা, প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ফ্রান্স। ফরাসিদের বিপক্ষে মহারণে নামার আগে নিজেকে তৈরি করে নিচ্ছেন দলের প্রাণভোমরা লিওনেল মেসি Ñওয়েবসাইট
লিওনেল মেসিকে নিয়ে একটা কথা প্রচলিত আছে। ক্লাব বাসেের্লানায় তিনি যেমন ভালো খেলেন, জাতীয় দলে নাকি তেমনটা খেলতে পারেন না। কথাটা অনেকটা সত্য। তবে প্রয়োজনীয় মুহূতের্ কিন্তু এই মেসিই আজেির্ন্টনার ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হন। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে গ্রæপ পবের্র শেষ ম্যাচে যেমন গোল করে দলকে নিয়ে গেছেন বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে। বলা তো যায় না, সেখানে আবার কি না কী করে বসেন খুদে জাদুকর! ফরাসি ফুটবলার স্যামুয়েল উমিতিতিকে তাই কিছুটা দুশ্চিন্তা পেয়ে বসেছে। শনিবার কোয়াটার্র ফাইনাল নিধার্রণী ম্যাচে উমতিতির ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে মেসির আজেির্ন্টনা। শক্তির বিচারে দুদলে খুব বেশি পাথর্ক্য না থাকলেও ফমের্র বিচারে এগিয়ে রাখতে হচ্ছে ফরাসিদের। গ্রæপ পবের্র কোনো ম্যাচে হারেনি তারা। অপরদিকে, কোনোমতে শেষ ষোলোতে উঠেছে আজেির্ন্টনা। তবে পেছনে অবদান ছিল মেসির। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ভাগ্য নিধার্রণী ম্যাচে মহামূল্যবান একটি গোল করেছিলেন তিনি। ক্লাব বাসেের্লানার হয়ে যেমনটি অহরহ করে থাকেন বঁা পায়ের জাদুকর। বাসাের্ত মেসির গোল করা নিয়মিত দৃশ্য। বিপদে তার কাছ থেকেই সবচেয়ে বেশি সাহায্য পায় কাতালান জায়ান্টরা। অথচ আজেির্ন্টনার হয়ে নামলে তাকে অচেনা মনে হয়! পেছনে কারণটা আসলে কি? মেসিকে কাছ থেকে দেখা উমতিতি জানিয়েছেন, বাসার্ আর আজেির্ন্টনার খেলার ধরন আর খেলোয়াড়দের ভিন্নতার কারণেই পারফরম্যান্সে এত ফারাক, ‘মেসি বাসেের্লানায় যেভাবে খেলে, আজেির্ন্টনায় সেভাবে খেলতে পারে না। যদিও আজেির্ন্টনাতে বেশ কয়েকজন ভালো মানের খেলোয়াড় রয়েছে তবুও মেসি বাসার্র মতো কাউকে পায় না। বাসার্ আর আজেির্ন্টনার খেলার ধরনও সম্পূণর্ ভিন্ন।’ জাতীয় দলে মেসি সেরা নন। তাই বলে ক্লাব সতীথের্ক খাটো করে দেখার কোনো কারণ দেখছেন না উমতিতি। তিনি ভালো করেই জানেন, নিজের দিনে যেকোনো দলকে একাই গুঁড়িয়ে দেয়ার সামথর্্য রাখেন মেসি, ঘুরিয়ে দিতে পারেন যেকোনো ম্যাচের মোড়। এই প্রসঙ্গে ফরাসি ডিফেন্ডার বলেন, ‘মেসি আজেির্ন্টনাকে বেশ কয়েকবার বঁাচিয়েছে। যখনই তারা হারতে বসেছে, মেসি হাজির হয়েছে তাদের উদ্ধারকতার্ হয়ে। তাকেসহ আজেির্ন্টনা কঠিন প্রতিপক্ষ। তার এত এত ফুটবলীয় গুণাবলি থাকার কারণেই আমি সেটা বুঝতে পারছি।’ ‘সি’ গ্রæপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলেও ফ্রান্স প্রত্যাশানুযায়ী খেলতে পারেনি। তিন ম্যাচে মোটে তিনটি গোল করতে পেরেছে ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়নরা! অথচ দলের আক্রমণভাগে তারকা ফুটবলারের ছড়াছড়ি। গ্রæপ পবের্র শেষ ম্যাচে ডেনমাকের্র সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করার পর ফ্রান্সের পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা ওঠে। তবে দলের মাঝমাঠের খেলোয়াড় এন’গোলো কান্তে সবাইকে আশ্বাস দিয়েছেন, শেষ ষোলোতে আরও ভালো খেলা উপহার দেবে তার দল, ‘আমি মনে করি, আমরা আরও ভালো করতে পারি। পরবতীর্ ম্যাচে আরও উন্নতি করব।’ মাঝমাঠের আরেক খেলোয়াড় পল পগবা অবশ্য এত নরম সুরে কথা বলেননি। সমালোচকদের রীতিমতো এক হাত নিয়েছেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা রাগত সুরেই বলেছেন, ‘তারা কি চায় যে আমরা ১০-০ গোলে জিতি?’