নেপালের বিপক্ষে জয়ে চোখ বাংলাদেশের

'আমি বুঝতে পারছি ছেলেরা সাত মাস ধরে মাঠে নেই। আমাদের একটা নতুন ম্যাচ শুরু হতে যাচ্ছে। আমরা অবশ্যই ম্যাচগুলো জিততে চাই। নেপাল টিম শক্তিধর। আমরা যদি ভালো খেলতে পারি অবশ্যই আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল আসবে।' জেমি ডে, কোচ

প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
সব কিছু ঠিক থাকলে নেপালের বিপক্ষে দুই ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ দিয়ে আবারো ফুটবলে ফিরতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী ১৩ ও ১৭ নভেম্বর ঢাকাতে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচ দুটি। ফিফা টায়ার ওয়ান এর অন্তর্ভুক্ত এই ম্যাচগুলো খেলতে ইতোমধ্যে ৩৬ সদস্যের দলও ঘোষণা করেছে বাফুফে। বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ-নেপাল প্রীতিম্যাচ সম্পর্কে নিজেদের প্রত্যাশা, প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানিয়েছেন জাতীয় দলের কোচ জেমি ডে এবং ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ। দীর্ঘদিন পর আমরা দুটি ম্যাচ খেলতে যাচ্ছি। আপনার মূল উদ্দেশ্যটা কি? বাংলাদেশে আবার ফুটবল শুরু করা? নাকি ম্যাচ জেতা? এমন প্রশ্নের উত্তরে কোচ জেমি ডে বলেছেন, 'আমি বুঝতে পারছি ছেলেরা সাত মাস ধরে মাঠে নেই। আমাদের একটা নতুন ম্যাচ শুরু হতে যাচ্ছে। আমরা অবশ্যই ম্যাচগুলো জিততে চাই। নেপাল টিম শক্তিধর। আমরা যদি ভালো খেলতে পারি অবশ্যই আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল আসবে।' করোনা পরিস্থিতিতে সব ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করেই ক্যাম্প শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন কাজী নাবিল, 'তারা যেখানেই আছে। কোভিড টেস্ট করেই ক্যাম্পে আসবে। ক্যাম্পে আসার পর আরও দু'তিন বার তাদের টেস্ট করা হবে। এই পরিস্থিতিতে ম্যাচ আয়োজন করা খুবই চ্যালেঞ্জিং। আমাদের উপর দায়িত্ব বেশি পড়ে যাচ্ছে। যেহেতু ক্যাম্প শুরু করতে যাচ্ছে। আমরা কেউই সব কিছু জানি না। অবশ্যই অন্যদের সহায়তা আমাদের নিতে হবে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়সহ অন্যদের সহায়তা নেব। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই। আমাদের ও প্রতিপক্ষ দলকে নিরাপদ রাখা। খেলাটা সুন্দরভাবে করা।' বর্তমান পরিস্থিতিতে এই দুই ম্যাচে দর্শক রাখার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে নাবিল বলেছেন, 'অন্যান্য দেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে যে ম্যাচগুলো দেখছি। খুব বেশি পরিমাণ দর্শক থাকে না। আমরা আশা করব এখানেও যেন স্বল্পসংখ্যক দর্শক রাখতে পারি। কিন্তু এ বিষয়টাও অন্য অনেকগুলো বিষয়ের মতো আমাদের আন্তঃমন্ত্রণালয় মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আমাদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সরকার থেকে যে সিদ্ধান্তটা হবে। সেটা আমরা মেনে নিয়ে বাস্তবায়ন করব। তবে একেবারে দর্শকশূন্য ম্যাচ অন্যরকম লাগবে। তাই আমরা আশা করব অল্পসংখ্যক দর্শক যেন আমরা রাখতে পারি।' ইউরোপে আমাদের থেকে করোনার পরিস্থিতি খারাপ। জেমিসহ তার কোচিং স্টাফরা এসে আইসোলেশনে থাকবে কিনা। এত অল্প সময়ের মধ্যে ম্যাচগুলো কি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে কিনা? জানতে চাইলে নাবিল বলেছেন, 'সব খেলোয়াড় তাদের সম্পর্কে জানে। সব ধরনের প্রোগ্রাম তাদের দেওয়া হয়েছে। আমাদের স্থানীয় কোচ কায়সার ও অন্যরা মিলে সেগুলো করে ফেলবে। ঢাকায় আসার পূর্বে তারা তাদের কোভিড টেস্ট যুক্তরাজ্যে করাবে। তারা এখানে আসার কিছুদিন পর আমাদের এখানেও টেস্ট করা হবে। প্রথম কিছুদিন তারা ফুটবলারদের থেকে কিছুটা দূরেই অবস্থান করবে। তবে দলের অবস্থা তারা পর্যবেক্ষণ করবে।' ম্যাচগুলো সন্ধ্যার দিকে আয়োজন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু সেই পরিমাণ আলো বর্তমানে ফ্লাড লাইটে নেই। এ বিষয়ে বাফুফের পক্ষ থেকে কি ধরনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে নাবিল বলেছেন, 'সন্ধ্যা বেলায় খেলা হলে কি হবে সেটা আমাদেরকে দেখতে হবে। ফ্লাড লাইট কাজ করছে কিনা সেটা আগেই পরীক্ষা করে দেখা হবে। আমরা যুবও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে আলোচনা করে নেব কোনো ব্যবস্থা করা যায় কি না। যদি দেখা যায় ফ্লাড লাইটের আলোর স্বল্পতা আছে। তাহলে আমরা সে অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেব যেভাবে ভালো মতো ম্যাচটা খেলা যায়।'