স্স্নগ ওভার নিয়ে ভাবছেন রুবেল

'স্স্নগ ওভারে সারাবিশ্বের সব পেস বোলারই মার খায়। এটা নিয়ে কোনো কিছু বলার নেই। আমরা আন্তর্জাতিক ম্যাচে সবেচেয়ে বেশি সাফার করি স্স্নগ ওভারে গিয়ে। তাই স্স্নগ ওভারে আমরা যেন মার কম খাই, এটা নিয়ে গিবসনের সঙ্গে আমাদের অনেক কাজ করার আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবেও উনার সঙ্গে স্স্নগ ওভার নিয়ে কাজ করব। কীভাবে আমি স্স্নগ ওভারে উন্নতি করতে পারি, কীভাবে স্স্নগ ওভারে ভেরিয়েশন আনতে পারি, এগুলো নিয়ে কাজ করব।'

প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
তিন দলের টুর্নামেন্ট বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে বল হাতে দারুণ বোলিং করছেন ডানহাতি পেসার রুবেল হোসেন -বিসিবি
তিন দলের টুর্নামেন্ট বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে দুর্দান্ত বোলিং করছেন ডানহাতি পেসার রুবেল হোসেন। উইকেটশূন্য প্রথম ম্যাচের পর থেকে চলছে ডানহাতি এই পেসারের বোলিং তান্ডব। পর পর দুই ম্যাচে ৩টি করে উইকেটের নেওয়ার পর সোমবার চতুর্থ ম্যাচে নিয়েছেন ৪টি। সব মিলিয়ে ১০ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল বোলার তিনি। এই সাফল্যের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। তার পরামর্শে নতুন বলে সুইং নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন দারুণভাবে। এবার নতুন বলে স্স্নগ ওভার নিয়ে ভাবছেন তিনি। তিন ম্যাচে দারুণ বোলিং করে ১০ উইকেট। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে কিছুটা হলেও সন্তুষ্ট বললেন রুবেল, 'নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। খুব ভালো বোলিং হচ্ছে। চেষ্টা করছি, আরও ভালো করার। দলকে জেতাতে পারছি, এটাই সবচেয়ে বড় তৃপ্তি আমার। তবে এতটুকুতেই তৃপ্ত হতে চাই না। এটা ধরে রাখতে চাই। সামনে যেহেতু আমাদের অনেক খেলা আছে, সেখানে যেন এই পারফরম্যান্স অব্যাহত রাখতে পারি।' দুই ম্যাচে টানা ম্যাচসেরা, একটিতে সেরা বোলিংয়ের পুরস্কার। ক্যারিয়ারের সেরা সময় কি এটাই? জানতে চাইলে ডানহাতি পেসার একটু হেসে বললেন, 'ক্যারিয়ারে এর চেয়ে ভালো সময় গেছে কিনা, সেটা বলা কঠিন। খেলাধুলায় তো ভালো সময়, খারাপ সময় আসবেই। এখন খুব ভালো টাচে আছি, এটা ঠিক। তবে এভাবে হিসাব করা কঠিন। ২০১৫ বিশ্বকাপেও খুব ভালো সময় গিয়েছিল। কিন্তু এটা তো (বিসিবি প্রেসিডেন্ট'স কাপ) নিজেদের ভেতরে খেলা। একটানা দুই ম্যাচে সেরার পুরস্কার, সেরা বোলিংয়ের পুরস্কার, সেই হিসেবে এটা অন্যরকম অনুভূতি দিচ্ছে। তবে জাতীয় দলের হয়ে খেলে ভালো পারফরম্যান্সের সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনা করা সম্ভব নয়। তিন দলের এই টুর্নামেন্টে নতুন বলে বোলিং করতে দেখা যাচ্ছে রুবেলকে। নতুন বলে বোলিং করার সুফল পাচ্ছেন বলেই মনে করছেন তিনি, 'সত্যিই নতুন বলে বোলিং করা উপভোগ করছি। বোলিংটাও ভালো হচ্ছে। করোনাকালীন সময় হয়তো আমি বাগেরহাটে অনুশীলন করিনি, ঢাকায় কিছুদিন অনুশীলন করেছি। তখন কিন্তু আমরা ওয়ানডের জন্য অনুশীলন করিনি। আমরা লাল বলে টেস্টের প্রস্তুতি নিয়েছি। ওই সময় লাইন-লেন্থ নিয়েই বেশি কাজ করেছি। নতুন বলেই আমি বেশি কাজ করেছি। লাল নতুন বলে সাধারণত সুইং অনেকক্ষণ ধরে থাকে। অনুশীলনটা ভালো হওয়ার ফল পাচ্ছি এই ম্যাচগুলোতে। এছাড়া নতুন বল নিয়ে গিবসনের সঙ্গে কিছুদিন কাজ করছি। সুইংটা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, কিভাবে আরও ভালো করা যায়, সেই চেষ্টাই করছি আমি।' বোলিং কোচ গিবসনের সঙ্গে যেসব কাজ করেছেন সেই সক কাজ সম্পর্কে রুবেল বলেন, 'গিবসন সব পেসারকে নিয়েই নতুন বলে কাজ করেছেন। আমাকে গিবসন গ্রিপটা দেখিয়ে দিয়েছেন। আমি সাধারণত গ্রিপটা একটু টাইট করে ধরি। এখন গ্রিপটা ওতটা টাইট করে ধরছি না। আলতোভাবে ধরেই ডেলিভারি দিচ্ছি। এতে আমার সুইংটা আরও ভালো হচ্ছে। নতুন বলে সুইং সবারই হয়। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করাই খুব কঠিন কাজ। আমার মনে হচ্ছে, নতুন বলে আমার সুইংয়ের নিয়ন্ত্রণ ভালো হয়েছে। এটা এখন ধরে রাখতে চাই।' তিনি টুর্নামেন্টে উইকেট পাওয়ার পর ক্যারিবিয়ান স্টাইলে কোমর দুলিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। বিশেষ কোনো কারণে এমন উদযাপন করেননি বলেই জানালেন তিনি, 'এবারের উদযাপন একটু ভিন্নভাবে করেছি। কোনো পস্নান ছিল না, ক্যারিবিয়ান টাইপের উদযাপন করেছি। ভিন্ন কিছু করতে অনেক সময় মজা লাগে।' নতুন বলে ভালো করলেও স্স্নগ ওভারে একটু খরচে বোলিং হচ্ছে। আর তাই স্স্নগ ওভারে নিজের ধার বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন রুবেল, 'স্স্নগ ওভারে সারাবিশ্বের সব পেস বোলারই মার খায়। এটা নিয়ে কোনো কিছু বলার নেই। আমরা আন্তর্জাতিক ম্যাচে সবেচেয়ে বেশি সাফার করি স্স্নগ ওভারে গিয়ে। তাই স্স্নগ ওভারে আমরা যেন মার কম খাই, এটা নিয়ে গিবসনের সঙ্গে আমাদের অনেক কাজ করার আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবেও উনার সঙ্গে স্স্নগ ওভার নিয়ে কাজ করব। কীভাবে আমি স্স্নগ ওভারে উন্নতি করতে পারি, কীভাবে স্স্নগ ওভারে ভেরিয়েশন আনতে পারি, এগুলো নিয়ে কাজ করব।' প্র্রেসিডেন্ট'স কাপে সব পেসারই ভালো করছেন। পেসারদের এমন প্রতিযোগিতা দারুণভাবে উপভোগ করছেন রবেল, 'সব পেস বোলারই ভালো লাইন-লেন্থে বোলিং করছে। সব দলের পেসাররাই দ্রম্নত নতুন বলে উইকেট তুলে নিয়েছে। আমার মনে হয়, পেস বোলারদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকা খুব ভালো। এমন প্রতিযোগিতা বাংলাদেশ দলের জন্যও ভালো। সবাই ভালো করতে চায়। যখন প্রতিযোগিতা বেশি থাকবে, তখন ফোকাসও বেশি থাকবে। এটি বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য খুব ভালো।'