ফুটবলারদের ফিটনেসই এখন বড় চ্যালেঞ্জ

প্রকাশ | ২৩ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
আগামী নভেম্বরে নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ফুটবল ম্যাচকে সামনে রেখে আজ থেকে জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্প শুরু হচ্ছে -ফাইল ফটো
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্প শুরু হতে যাচ্ছে আজ থেকে। ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ৩৬ ফুটবলারের মধ্যে করোনা নেগেটিভ ফুটবলাররা রাজধানীর অভিজাত একটি হোটেলে আজ রিপোর্ট করবেন স্থানীয় সহকারী কোচ মাসুদ পারভেজ কায়সারের কাছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ফুটবলারদের ফিটনেস ফেরানোটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে কোচ জেমি'ডের জন্য। আগামী ২৫ অক্টোবর ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর মাঠ, ফুটবলারদের কোভিড টেস্টসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নভেম্বরের দুই প্রীতি ফুটবল ম্যাচ দিয়ে বন্ধ্যাত্ব কাটিয়ে ফের মাঠে ফিরতে যাচ্ছে ফুটবল। আগামী ১৩ ও ১৭ নভেম্বর ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা রয়েছে ম্যাচগুলো। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাফুফে। করোনার এই পরিস্থিতিতে কোনো রকম ঝুঁকি নিতে চাননি ইংলিশ কোচ জেমি ডে। তাই গত আগস্টে যে প্রাথমিক দলটি ঘোষণা করা হয়েছিল বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ ম্যাচের জন্য, সেই দলটিই অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। খেলোয়াড়রা করোনা পরীক্ষা করে আসবেন। যাদের রিপোর্ট নেগেটিভ হবে তাদেরই ওঠানো হবে ক্যাম্পে। প্রধান কোচ জেমি ডে আসবেন ২৯ অক্টোবর। একই দিনে ডেনমার্ক থেকে ঢাকায় আসবেন দলীয় অধিনায়ক জামাল ভুইয়াও। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ফিনল্যান্ড প্রবাসী ফুটবলার তারিক কাজি অবশ্য আরও একদিন আগেই আসছেন। আজ খেলোয়াড়রা রিপোর্ট করবেন সহকারী কোচ মাসুদ পারভেজ কায়সারের কাছে। তিনজন স্থানীয় কোচের তত্ত্বাবধানে ২৪ অক্টোবর থেকে অনুশীলন শুরু করার কথা রয়েছে বাংলাদেশ দলের। তারা হলেন কায়সার, সৈয়দ গোলাম জীলানী এবং মোস্তফা আনোয়ার পারভেজ। তাদের অধীনেই জেমি ঢাকায় না আসা পর্যন্ত অনুশীলন করবে টিম বাংলাদেশ। জামাল-রবিউলরা অনুশীলন করবেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এবং কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মুস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে। ঢাকায় এসে কোয়ারেন্টিন শেষে দলের অনুশীলনে যোগ দেবেন জেমি ডে। দুই সপ্তাহের মতো সময় পাবেন তিনি, যা আন্তর্জাতিক ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট নয়। তবে সেই সময়ের মধ্যেই যতটা সম্ভব দলকে প্রস্তুত করবেন বলে জানিয়েছেন। লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকায় ফিটনেসে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। তাই ম্যাচে ফেরার পাশাপাশি পুরনো ফিটনেসে ফেরানোরও চ্যালেঞ্জও থাকবে। কোচ জেমি ডে দৈনিক যায়যায়দিনকে বলেন, 'প্রীতি ম্যাচের আগে প্রস্তুতির জন্য আমরা মাত্র ২০ দিনের মতো সময় পাব। এটা পর্যাপ্ত নয়। তবে আমার মনে হয় ছেলেরা এই সময়টাকে খুব ভালোভাবে কাজে লাগাবে। আশা করি সবাই ইনজুরিমুক্ত অবস্থাতেই দলে ফিরবে। এটা একটা দারুণ শুরু হবে আগামী বছরের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতির জন্য।' ম্যাচের আগে তিন দফায় করোনা পরীক্ষা করা হবে ফুটবলারদের। ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার এক সপ্তাহ পর এবং ম্যাচ শুরুর আগে ১০ অক্টোবর আরেক দফা কোভিড টেস্ট করা হবে জেমি'ডের শিষ্যদের। নেপাল ফুটবল দল ঢাকায় আসার পর অনুশীলন করবে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব মাঠ ও কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মুস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে। তবে নেপাল কবে ঢাকায় আসবে তা এখনো ঠিক হয়নি। কারণ এখন পর্যন্ত দলের জন্য চাটার্ড ফ্লাইট ঠিক করতে পারেনি নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।