না খেলেই পয়েন্ট পেতে পারে বাংলাদেশ

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আসরকে ঘিরে প্রত্যাশা ছিল কতই-না। ম্যারম্যারে টেস্টকে আরও জমজমাট ও দর্শকপ্রিয় করতে নানা পরিকল্পনা বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার। কিন্তু এক বেরসিক কোভিড ভেস্তে দিল সব আয়োজন। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় এরই মধ্যে বাতিল করা হয়েছে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত বেশ কিছু সিরিজ। এই প্রতিযোগিতার সমাপ্তি টানার জন্য বাতিল হওয়া সিরিজগুলোর পয়েন্ট অংশগ্রহণকারী দুই দলের মাঝে ভাগ করে দিতে পারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এমন কিছু হলে না খেলেই বেশ কিছু পয়েন্ট পাবে বাংলাদেশ। বর্তমান পরিস্থিতিতে বলা যায় এতে টাইগারদের লাভই হবে বেশি। বাংলাদেশের ঝুলিতে যোগ হবে ৮টি ম্যাচের পয়েন্ট। তবে সেক্ষেত্রে বিকল্প ভাবনাও আছে সংস্থাটির। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসবে আইসিসির পরবর্তী কার্যনির্বাহী কমিটির সভায়। এমন তথ্য জানিয়েছে ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো। করোনার কারণে এরই মধ্যে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশের চারটি সিরিজ স্থগিত হয়ে আছে। ক্রিকেট বন্ধ হওয়ার আগে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত তিনটি ম্যাচ খেলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। এর মাঝে একটিতেও জয়ের দেখা পায়নি মুমিনুল হকের দল। আইসিসির পয়েন্ট ভাগাভাগির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে তা বাংলাদেশের জন্য শাপেবর হতে যাচ্ছে। কারণ পয়েন্ট ভাগাভাগি হলে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের ৭ নম্বরে উঠে আসতে পারে টাইগাররা। কোনো ম্যাচে জয় না পাওয়ায় বর্তমানে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। টাইগারদের ঠিক উপরেই অবস্থান করছে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৭ টেস্টে এক জয় নিয়ে ৮ নম্বরে রয়েছে প্রোটিয়ারা। এছাড়া ৫ ম্যাচে এক জয়ে ক্যারিবিয়ানরা আছে সাতে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নিয়ম অনুযায়ী ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ড্র হলে দুই দল ২০ পয়েন্ট করে পাবে। তিন ম্যাচের সিরিজের ক্ষেত্রে প্রতি দল পাবে ১৩ পয়েন্ট। এই হিসাবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ ম্যাচ, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২ ম্যাচ, শ্রীলংকার বিপক্ষে ৩ এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২ ম্যাচের সিরিজের পয়েন্ট ভাগাভাগি হলে বাংলাদেশের পয়েন্ট হবে ৭৩। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বর্তমান পয়েন্ট যথাক্রমে ৬৪ ও ৬০। ফলে নবম অবস্থান থেকে দুই ধাপ এগিয়ে টেবিলের ৭ নম্বরে উঠে আসবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।