এসি মিলান-আর্সেনালের জয়

প্রকাশ | ২৪ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
এক কথায় উড়ছে এসি মিলান। গত মৌসুমেই ইঙ্গিত মিলেছিল, আর নতুন মৌসুমে বিধ্বংসী চেহারা নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে ইতালিয়ান ক্লাবটি। কোনো বাধাই তাদের সামনে টিকতে পারছে না। ইতালিয়ান ঘরোয়া লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর ইউরোপিয়ান মঞ্চেও দারুণ শুরু তাদের। বৃহস্পতিবার রাতে উয়েফা ইউরোপা লিগে সেল্টিকের মাঠ থেকে ৩-১ গোলের দারুণ এক জয় নিয়ে ঘরে ফিরেছে এসি মিলান। একই রাতের উয়েফা ইউরোপা লিগের অপর ম্যাচগুলোয় ছিল ইংলিশ ক্লাবের দাপট।র্ যাপিড ভিয়েনার মাঠ থেকে ২-১ গোলে জিতে ফিরেছে আর্সেনাল। টটেনহাম ঘরের মাঠে ৩-০ গোলে হারিয়েছে এলএএসকেকে। লেস্টার সিটিও নিজেদের মাঠে একই ব্যবধানে জিতেছে জোরিয়া লুহানস্কের বিপক্ষে। এছাড়া স্পা্যানিশ ক্লাব গ্রানাডা ২-১ গোলে নেদারল্যান্ডসের ক্লাব পিএসভিকে এবং ফরাসি ক্লাব নিসকে ৬-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে জার্মান ক্লাব বেয়ার লেভারকুসেন। নাপোলির বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে এজেড আল্কাতারা। রোমা ২-১ গোলে ইয়ং বয়েসকে আর সিভাসপোরের বিপক্ষে ৫-৩ গোলের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে স্প্যানিশ ক্লাব ভিয়ারিয়াল। বৃহস্পতিবার রাতের এই জয়ের পথেই আবার নতুন এক কীর্তি গড়েছে এসি মিলান। ২০২০-২১ মৌসুমে খেলা প্রত্যেক ম্যাচে ২ বারের বেশি গোল করেছে তারা। এতে পুরানো রেকর্ড বইয়ের খাতা নতুন করে খুঁলেছে স্তেফানো পিওলির দল। সব মিলিয়ে টানা ১০ ম্যাচে ২ বা তার বেশি গোল করে ছুঁয়েছে ৫৬ বছরের আগের রেকর্ড। শেষবার সেই ১৯৫৬ সালে মিলানের ক্লাবটি এই রেকর্ডটি গড়েছিল। সেল্টিক পার্কের ম্যাচ শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত জমে ছিল। স্বাগতিকরা দারুণ খেললেও হারের ক্ষত নিয়েই তাদের ছাড়তে হয়েছে মাঠ। ১৪তম মিনিটে এসি মিলানকে এগিয়ে নেন রাদে ক্রুনিচ। সামু কাস্তিলেয়োর ক্রস থেকে হেডে বল জালে জড়ান তিনি। এরপর বিরতিতে যাওয়ার মিনিট তিনেক আগে সফরকারীদের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ধারে আসা ব্রাহিম দিয়াজ। ২ গোলে পিছিয়ে পড়ে খেলায় ফিরতে মরিয়া সেল্টিক দারুণ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিল। অবশেষ তারা সফল হয় ৭৬ মিনিটে। মোহাম্মদ এলইউনুসির গোলে খেলায় ফেরে উত্তেজনা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে পিটার হাউজ জাল খুঁজে পেলে ৩-১ গোলের স্বস্তির এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে এসি মিলান। এদিকে উয়েফা ইউরোপা লিগের গ্রম্নপ পর্বের ম্যাচে বৃহস্পতিবার রাতে জয় পেয়েছে আর্সেনাল। তারা ২-১ গোলে হারিয়েছের্ যাপিড ভিয়েনাকে। যদিও ভিয়েনার মাঠে শুরুতে পিছিয়ে পড়েছিল গানাররা। পরে চার মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে জয় তুলে নেয়। অবশ্য প্রথমার্ধে কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি। প্রথমার্ধে গোলশূন্য থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায় ভিয়েনা। এ সময় ভিয়েনার টেক্সিয়ারসিস ফাউন্টাস গোল করে এগিয়ে নেন দলকে। পিছিয়ে পড়া আর্সেনাল ঘুরে দাঁড়ায় ম্যাচের ৭০ মিনিটের মাথায়। এ সময় নিকোলাস পেপের ফ্রি-কিক থেকে উড়ে আসা বলে ডেভিড লুইস হেড দিয়ে জালে জড়িয়ে সমতা ফেরান। ৭৪ মিনিটের মাথায় পিয়েরে এমরিক আউবেমেয়াং গোল করে দারুণ স্বস্তি এনে দেন কোচ মাইকেল আর্তেতাকে। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে আর্সেনাল। খেলা শেষে গানারদের কোচ আর্তেতা বলেছেন, 'আমরা জানতাম ম্যাচটি কঠিন হবে। শুরুতে আমাদের কিছু সিদ্ধান্তে ম্যাচটি আরও কঠিন হয়ে যায়। বিশেষ করে গোলটি হজম করার পর। অবশ্য সবগুলো ভুল আমার। যেহেতু সিদ্ধান্তগুলো আমি নিয়েছিলাম। শেষে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ায় ছেলেদের ধন্যবাদ দিতে চাই যে, শুরুতে গোল হজম করে তারা উদ্যম হারিয়ে ফেলেনি।'