প্রেসিডেন্টস কাপে নজর কেড়েছেন যারা

শেষ হয়েছে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ টুর্নামেন্ট। ফাইনালে নাজমুল একাদশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মাহমুদউলস্নাহ একাদশ। গোটা টুর্নামেন্টজুড়ে যারা ভালো খেলেছেন তাদের তালিকা তৈরি করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই তালিকায় যেমন মুশফিকুর রহিমের ঠাঁই হয়েছে তেমনই রিশাদ আহমেদের মতো তরুণরাও জায়গা করে নিয়েছেন সেরাদের দলে। ওয়ানডে ফরম্যাটের এই আসরে অভিজ্ঞদের তুলনায় দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়েছেন অপেক্ষাকৃত কম আলোচনায় থাকা ক্রিকেটাররা। নজর কেড়েছেন সুমন খানের মতো নবীনরা। আসরের নানারকম তথ্য নিয়ে প্রতিবেদন

প্রকাশ | ২৭ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট ট্রফি হাতে মুশফিকুর রহিম -বিসিবি
বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের প্রথম আসরে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন মুশফিকুর রহিম। দল ফাইনালে হেরেছে। কিন্তু আপন আলোয় উদ্ভাসিত ছিলেন মুশি। সেরা খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিম ৫ ম্যাচে করেন ৪৩.৮০ গড়ে ১ সেঞ্চুরি ও ২ ফিফটি মিলে ২১৯ রান। যেখানে সর্বোচ্চ ছিল ১০৩ রানের ইনিংস। টুর্নামেন্টে এই একটি শতক এসেছে মুশফিকের ব্যাটে। তারপরের অবস্থানেই আছেন নাজমুল একাদশের আরেক ব্যাটসম্যান ইরফান শুক্কুর। ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত মুখ ইরফান শুক্কুর চমক দেখিয়েছেন প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই। টুর্নামেন্টের সেরা এই ব্যাটসম্যান সমান ম্যাচে ২ ফিফটিতে সংগ্রহ করেছেন ২১৪ রান। আছে ৭৫ রানের একটি ইনিংস। গড় ৭১ দশমিক ৩৩। স্ট্রাইক রেট ৮৮ দশমিক ০৬। গোটা টুর্নামেন্টেই দুর্দান্ত ছিলেন ইরফান শুক্কুর। দলের বিপর্যয়ে হেসেছে তার ব্যাট। তার সর্বোচ্চ ৭৫। আর ফাইনালে দলকে শিরোপা উপহার দেওয়া লিটনের সেই ৬৮ রান আছে পঞ্চম স্থানে। শিরোপাজয়ী অধিনায়ক মাহমুদউলস্নাহ রিয়াদ ১৬২ রান নিয়ে আছেন তৃতীয় স্থানে। ১৫৭ রান নিয়ে চতুর্থ আফিফ। ইমরুল ১৪৬ রান নিয়ে আছেন পঞ্চম স্থানে। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানেও এগিয়ে মুশফিক। আসরে একমাত্র সেঞ্চুরিটি তার। ১০৩ রানের সে ইনিংসটিই এবারের আসরের সর্বোচ্চ রান। এরপরের দুই স্থান দখলে রেখেছেন দুই তরুণ আফিফ ৯৮ ও মেহেদী ৮২ রান নিয়ে। বল হাতে সবার ওপরে সাইফুদ্দিন। চার ম্যাচে তার উইকেট ১২টি। পেসারদের দু্যতি ছড়ানোর আসরে এক ম্যাচ বেশি খেলে ১৬১ রান দিয়ে সমান ১২টি উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রুবেল হোসেন। টুর্নামেন্টের সেরা বোলার রুবেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলেন ধারাবাহিক। পাঁচ ম্যাচে ৩.৯৭ ইকোনমিতে বল করে নিয়েছেন ১২ উইকেট। টুর্নামেন্টে একবার নিয়েছেন ৫ উইকেট। ফাইনালে সবার নজর কেড়ে ৫ উইকেট তুলে নেওয়া আরেক পেসার সুমন খানের তিন ম্যাচে উইকেট সংখ্যা ৯টি। ৫ উইকেট নিয়ে সুমন খান হয়েছেন ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়। আসরের আগে তেমন একটা পরিচিতি না থাকলেও প্রেসিডেন্টস কাপের অন্যতম আবিষ্কার এই সুমন। আটটি করে উইকেট নিয়েছেন দুই পরীক্ষিত সৈনিক মুস্তাফিজ ও আল আমিন। এবাদত আটটি ও কামব্যাক পেস্নয়ার অব দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার পাওয়া তাসকিন উইকেট পেয়েছেন ৭টি। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ রানার্সআপ নাজমুল একাদশের। মাহমুদউলস্নাহ একাদশের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ২৬৪ রান করে তারা। বৃষ্টিবিঘ্নিত আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়ন মাহমুদউলস্নাহর দলের ৬ উইকেটে ২২২ রান। ওয়ানডে ফরম্যাটের এই আসরে ৫ ম্যাচ খেলে সবচেয়ে বেশি ৭টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন ইমরুল কায়েস। সমান ম্যাচে ৫টি ছক্কা ইরফান শুক্কুরের। সেরা ফিল্ডার নুরুল হাসান সোহান ৫ ম্যাচে ৯ ডিসমিশাল, ৯ ক্যাচ। কামব্যাক অব দ্য টুর্নামেন্ট দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকা তাসকিন বেশ নজর কেড়েছেন ক্রিকেটে ফিরে। ৫ ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়েছেন ৪.৪৮ ইকোনমিতে। সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় রিশাদ আহমেদ ৪ ম্যাচ, ৪ উইকেট, ৪.২১ ইকোনমি, ৩ ক্যাচ। এছাড়াও বিসিবি প্রেসিডেন্টস স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন শেখ মাহাদী হাসান, সাইফউদ্দিন, সুমন খান, আফিফ হোসেন ও তৌহিদ হৃদয়।