জাতীয় দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময় এটা : জেমি ডে

প্রকাশ | ৩০ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাংলাদেশ ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে
জাতীয় ফুটবল দলের দুটি প্রীতি ম্যাচ দিয়ে আবারও বাংলাদেশে ফিরতে যাচ্ছে ফুটবল। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৩ ও ১৭ নভেম্বর ঢাকাতে নেপালের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচ দুটি। ফিফা টায়ার ওয়ানের অন্তর্ভুক্ত এই ম্যাচগুলো খেলতে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলছে জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্প। হেড কোচ জেমি ডে বৃহস্পতিবার ফিরেছেন ঢাকায়। জানালেন জাতীয় ফুটবল দলের জন্য মাঠে ফেরার এই সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নেপালের বিপক্ষে জয়ের চেয়ে জেমির কাছে বাংলাদেশে ফুটবল ফেরানোর প্রধান লক্ষ্য। বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফিরেছেন কোচ জেমি ডে। উঠেছেন রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে। কোচ জেমি ডে জানালেন এখন কাজে ফিরতে চান, 'দীর্ঘ সময় পর আবারও বাংলাদেশে ফিরেছি। সামনে আমাদের দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ আছে। এখন কাজ শুরু করব। জাতীয় দলের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়।' দীর্ঘদিন মাঠে ফুটবল নেই। যে কারণে আপনিও ছিলেন ছুটিতে। যুক্তরাজ্যে আপনার এই ৭-৮ মাসের মতো সময়টা কীভাবে কাটিয়েছেন? জানতে চাইলে জেমি বলেছেন, 'এই সময়ের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রম্নপে আমি ফুটবলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। তাদের বিভিন্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম দিয়েছি। এটা কঠিন ছিল এই দীর্ঘ সময়ে তাদের ফিজিক্যাল এবং মেন্টালি ট্রেনিংয়ের মধ্যে রাখা।' বাফুফে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজন করতে যাচ্ছে। এই ম্যাচগুলো পেয়ে আপনি কতটা খুশি হয়েছেন? এটি কি আপনার ফুটবলারদের জন্য ভালো হয়েছে? জেমির উত্তর, 'তা অবশ্যই। ম্যাচগুলোতে জয়ের লক্ষ্য নিয়েই আমরা খেলব। তবে আমাদের মূল লক্ষ্যটা শুধু ম্যাচ জেতাই নয়। দীর্ঘদিন পর আমরা আবার মাঠে ফিরছি এটাই বড় বিষয়। তাই নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে আমার মনে হয় জয়ের চেয়ে এটাই লক্ষ্য হওয়া উচিত। কারণ তার চেয়ে বড় দেশের ফুটবল আবার মাঠে ফিরবে। সেটা ঠিকঠাক হলে আগামী বছরের ম্যাচগুলোতে ভালো কিছু করার ভিত্তি তৈরি করবে বাংলাদেশ।' অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের সেরা প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা হাতে ২০ দিনের মতো সময় পাচ্ছি। এই সময়ের মধ্যে তৈরি হতে হবে। তবে আমাদের মতোই প্রতিপক্ষরাও প্রায় একই সমান সময় পেয়েছে।' যোগ করেন জেমি। এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে অনুশীলন শুরু করেছে নেপালও। দলের কোচ বাল গোপাল মহারাজন মনে করেন বাংলাদেশ আর নেপাল দলের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই, 'এই মুহূর্তে আমি তো তেমন পার্থক্য দেখছি না। দুই দলই কোভিডের পর প্রথম ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে। দুই দলের খেলোয়াড়রাই অনুশীলনের বাইরে ছিল দীর্ঘদিন। এখন মাঠে সবার নতুন করে পরীক্ষা হবে। উভয় দলেরই জয়ের সুযোগ ৫০-৫০ থাকবে। মাঠের লড়াইয়ে যারা গোলের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারবে তারাই জিতবে।' উলেস্নখ্য, একটা সময় নেপাল সহজ প্রতিপক্ষ হলেও সাম্প্রতিক সময়ে নেপালের সঙ্গে ফুটবল দ্বৈরথে বাংলাদেশ বেশ পিছিয়ে। সর্বশেষ দুই ম্যাচেই হার মেনেছিল জেমি'ডের শিষ্যরা। ২০১৮ সালে সাফ ফুটবলে নিজেদের মাঠে গ্রম্নপ পর্বে হারতে হয়েছিল ২-০ গোলের ব্যবধানে। এরপর ২০১৯ সালে এসএ গেমসেও ১-০ গোলের ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল লাল-সবুজরা।